রবিবার ● ৮ মে ২০১৬
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » আলীকদমে চেয়ারম্যান পদে ৪ ইউনিয়নে মনোনীত-৩
আলীকদমে চেয়ারম্যান পদে ৪ ইউনিয়নে মনোনীত-৩
আলীকদম (বান্দরবান) প্রতিনিধি :: (২৫ বৈশাখ ১৪২৩ বাংলা : বাংলাদেশ সময় রাত ৯.২০মিঃ) আলীকদমে বহু কাঠখড় পুড়িয়ে ত্রিমাত্রিক দ্বন্দ্বকে পাশ কাটিয়ে অবশেষে চারটি ইউনিয়নের মধ্যে তিনটি ইউনিয়নে বিএনপির একক প্রার্থী চড়ান্ত৷ গত শুক্রবার বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এর স্বাক্ষরিত তিনটি মনোনয়ন প্রার্থীদের হাতে পৌঁছে দেওয়া হয়৷ পরবর্তী গত শনিবার ১নং আলীকদম সদর ইউনিয়নের মোঃ নাছির উদ্দিনের মনোনয়ন বাতিল করে উপজেলা বিএনপি’র সদস্য মোঃ ইউনুছ মিয়াকে এই মনোনয়ন দেওয়া হয়৷ বিএনপির মহাসচিব স্বাক্ষরিত রিটার্ণিং অফিসার, আলীকদম উপজেলা বরাবরে লিখিত এক পত্রের বরাতে এ তথ্য জানা যায়৷
উপজেলার চারটি ইউনিয়নের মধ্যে তিনটি ইউনিয়নে মনোনয়ন প্রাপ্ত প্রার্থীরা হলেন, ১নং আলীকদম ইউনিয়ন থেকে উপজেলা বিএনপি’র সদস্য মোঃ ইউনুছ মিয়া, ২নং চৈক্ষং ইউনিয়ন থেকে বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ জয়নাল আবেদীন এবং ৩নং নয়াপাড়া ইউনিয়ন থেকে উপজেলা বিএনপি’র যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক জুলফিকার আলী ভুট্টো৷ তবে ৪নং কুরুপ পাতা ইউনিয়নে বিএনপির কোন কমিটি না থাকায় নীতিমালা অনুষারে ওই ইউনিয়ন থেকে কোন প্রার্থীর নাম আসেনি বলে জানান উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ৷
নির্বাচন কমিশনের ৩য় দফায় আলীকদম উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের নির্বাচনের তফসিল ঘোষনার পর থেকে উপজেলা বিএনপিতে প্রার্থী মনোনয়ন বিষয়ে শুরু হয় নানা তোড়জোড়৷ উপজেলা বিএনপিতে ত্রিমাত্রিক মনোভাব বিরাজমান থাকায় দীর্ঘদিন ধরে নেতাকর্মীদের জেলা শহর থেকে শুরম্ন করে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় পর্যন্ত দৌড়ঝাঁপ চলছিল৷
অন্যদিকে দুটি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত আলীকদম উপজেলাকে চারটি ইউনিয়নে বিভক্ত করায় আন্তঃ ইউনিয়ন সীমানা বিরোদের কারণে উপজেলার চারটি ইউনিয়নেরই নির্বাচন পিছিয়ে ৬ষ্ঠ ধাপে ৪ জুন ভোট গ্রহনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়৷ ৯ এপ্রিল মনোনয়ন পত্র দাখিলের শেষ তারিখের কাছাকাছি এসে ৭ এপ্রিল তিনটি ইউনিয়নের দলীয় মনোনয়নের বিষয়টি চুড়ান্ত করে বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটি৷ অন্যদিকে বিএনপি থেকে মনোনয়ন না পেয়েও নির্বাচন করার সিদ্ধান্তে অনড় অবস্থানে রয়েছে অনেকেই৷ ২নং চৈক্ষং ইউনিয়ন ও ৩নং নয়াপাড়া ইউনিয়নে বিএনপি থেকে বিদ্রোহের আভাস পাওয়া গেছে৷ প্রার্থী মনোনয়নের বিষয়ে আলীকদম উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল কালাম এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি এবিষয়ে সাংবাদিকেদের সাথে কোন কথা বলতে রাজি হয়নি৷
নির্বাচন কমিশন কতৃক প্রথম দফা নির্বাচন তফশীল ঘোষনার পর থেকেই সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে শুরু হয়েছে মাঠ চষে বেড়ানো৷ বিগত নির্বাচনগুলোর সাথে এবারের নির্বাচন পদ্বতিগত ভাবে কিছুটা ভিন্ন হওয়াতে প্রার্থীদের নানা জল্পনা কল্পনার ঘটিয়ে অবশেষে মনোনয়ন৷ কে হবে দলের প্রিয় ব্যক্তি আর কে হবে বিদ্রোহী এই ভয়ে কুড়ে কুড়ে খাওয়া থেকে গুটি কয়েক পরিত্রান পেলেও আ.লীগ এবং বিএনপি দুদল থেকেই বিদ্রোহের আশঙ্কা এখন তুঙ্গে৷ তবে বিগত পৌরসভা নির্বাচনে ভোটারদের কাতারে যেসব ভোটারদেরকে দেখা যায়নি এবারের ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে ভোটারের কাতারে দেখা যাবে তাদেরকেও৷ নির্বাচন কমিশনের ঘোষনা মতে হালনাগাদ ভোটার তালিকা দিয়েই এবারের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ায় নতুন ভোটারদের জোয়ার কোন দিকে গড়াবে সেটাও মাথায় রাখছেন প্রার্থীরা৷