সোমবার ● ৯ মে ২০১৬
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » সিলেটের সর্পবন্ধু ইব্রাহিম আলী
সিলেটের সর্পবন্ধু ইব্রাহিম আলী
মোঃ আবুল কাশেম,বিশ্বনাথ ( সিলেট ) প্রতিনিধি :: (২৬ বৈশাখ ১৪২৩ বাংলা : বাংলাদেশ সময় রাত ১১.২০মিঃ) সর্পরাজ ইব্রাহিম আলী (৫৭)৷ বিষাক্ত সাপদের ভালোবেসে সঙ্গী করে যিনি পাড়ি দিয়েছেন জীবনের ৫৭ বছর৷ সাপ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন তিনি৷ এখনও সাপের সন্ধানে ছুটে বেড়ান দেশের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রানত্মে৷ সেই সাথে লতা-পাতা দিয়ে নিজের তৈরী রোগ নিরাময়কারী ভেজষ দিয়ে মানুষের উপকার করে আসছেন তিনি৷
সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জের সদর উপজেলার সোনাপুর গ্রামের বাসিন্দা ইব্রাহিমের জন্ম ভারতের আসাম রাজ্যে৷ তার পিতা তাহের আলীও ছিলেন ওঝা ও কবিরাজ৷ ছোটবেলা থেকেই বাবার কাছ থেকে গূণমন্ত্রের বিভিন্ন বিষয়ে প্রাথমিক জ্ঞান লাভ করেন তিনি৷ পরে ভারতের আসাম রাজ্যের কামরূপ কামাখ্যায় (পানামং মায়ারাজ্য) সর্প বিদ্যা ও তন্ত্র-মন্ত্রে একাধারে ১৮ বছর প্রশিক্ষণ নেন তিনি৷ তার গুরু আসামের সামলাল গারওয়ালি নেংটা নাগার কাছ থেকে গূণমন্ত্র শিখেন ইব্রাহিম৷
এর পর ভারতের বিভিন্ন রাজ্য ঘুরে নিজ দেশে ফিরে আসেন ইব্রাহিম৷ তার অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে তিনি বিষধর সাপ কিং কোবরা, কোবরা, পংকি আলদ, সূর্যমূখী, মাছুয়া আলদ, গাছুয়া আলদ, দুধরাজ, কেরেট আলদসহ বিভিন্ন প্রজাতির সাপ ধরে দেশব্যাপী পরিচিতি লাভ করেন৷ যে কোন প্রজাতির সাপ নিজের বশে আনতে ইব্রাহিম পারদর্শী৷
বর্তমানে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় অস্থায়ী বসতি স্থাপন করেছে তার সাপুড়ে টিম৷ টিমে রয়েছে তার ছেলে-মেয়ে, শিষ্য ও একাধিক সাপুড়ে পরিবার৷ তারা কালিগঞ্জবাজারের পাশের উচু ধানী জমিতে তাবু টেনেছেন৷ কোথাও সাপের উত্পাতের খবর শুনলেই ঝুলি কাঁধে নিয়ে পৌছনে যান ইব্রাহিম ও তার দল৷ এ কাজে তাকে সহযোগীতা করেন তার ছেলে আল-মামুন, মাহিদুল হোসেন ও নাতি হাসিম৷ ইতিমধ্যে এ এলাকা থেকে ধরা পড়েছে মাছুয়া আলদ, গাছুয়া আলদ, দুধরাজ, কেরেট আলদ প্রজাতির সাপ৷
ইব্রাহিম আলী বলেন, সাপকে ভয় পাওয়ার কিছু নেই৷ সাপ কারো ক্ষতি করেনা৷ ওরা আমাদের বন্ধু৷ এখন বর্ষা মৌসুম৷ তাই সাপেরা অনেক সময় মানুষের বাসা-বাড়িতে প্রবেশ করে৷ ভয়ে অনেকেই বাড়ির বাহিরে থাকেন, কেউ আবার মেরে ফেলেন৷ আমরা বিনা পয়সার সাপ ধরি৷ যে কেউ (০১৭৪৭৩১৫৮৮১) আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন৷