শিরোনাম:
●   দাবি না মানলে ২৮ জানুয়ারি থেকে কর্ম বিরতি ●   ঈশ্বরগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যানকে অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন ●   আত্রাইয়ে গাঁজাসহ গ্রেপ্তার-২ ●   আত্রাইয়ে হাতুরিতে আহত কৃষি শ্রমীকের মৃত্যু ●   সিলেটে বনভান্তের ১০৬ তম জন্মবার্ষিকী পালন ●   রংপুর বিভাগীয় ট্যাংকলরী শ্রমিক ইউনিয়নে নির্বাচনী তফসীল ঘোষণা ●   রাঙামাটি জেলা বিএনপির নেতা সাইফুল ইসলাম ভুট্টোর দলীয় স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার ●   কাউখালিতে দিনব্যাপী সম্প্রীতি ফুটবল টুর্ণামেন্ট আগামী ২৪ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে ●   কাউখালীতে আজিমুশশান সুন্নী সম্মেলন ●   রাবিপ্রবি’তে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত ●   শহীদদের আত্মত্যাগকে ক্ষমতার সিডি হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে ●   ঈশ্বরগঞ্জে ব্রেস্ট ক্যান্সার প্রতিরোধ বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত ●   শিক্ষকদের গবেষণা দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে অবদান রাখছে : চুয়েট ভিসি ●   রামগড়ে আড়াই লাখ টাকা জরিমানা : ৫টি ইটভাটা বন্ধ ●   নবীগঞ্জে সেনাবাহিনীর অভিযানে ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার-১ ●   রাবিপ্রবি’তে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত ●   পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের নতুন চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল অনুপ কুমার চাকমা ●   রংধনু ক্লাবের সম্মাননা পেলো সংবাদ কর্মী আকতার হোসেন ●   রেডব্রিজ কমিউনিটি ট্রাস্টের শিক্ষার্থী এওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠান সম্পন্ন ●   গোলাপগঞ্জে পিকআপের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত ●   পার্বতীপুর জামায়াতের মোটরসাইকেল শোডাউন ●   মিরসরাইয়ে বিএনপি-স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা খুন : স্থানীয় নেতাকর্মীদের স্বাক্ষ্য গ্রহণ করলো তদন্ত কমিটি ●   অর্থনৈতিক বৈষম্য দূর না হলে রাজনৈতিক সংস্কার টেকসই হবেনা ●   ঈশ্বরগঞ্জে জিয়াউর রহমানের ৮৯ তম জন্মবার্ষিকী পালিত ●   চট্টগ্রাম-রাঙামাটি মহাসড়কে গাড়ির ধাক্কায় যুবকের মৃত্যু ●   রংধনু ক্লাবের কার্যকরী পরিষদের অভিষেক ●   কাশখালী রশিদিয়া তা’লীমুল কুরআন একাডেমীতে বার্ষিক মাহফিল সম্পন্ন ●   পানছড়িতে সন্ত্রাসীদের দ্বারা ৩জন হামলার শিকার ●   আলীকদমে সড়কে ঝরলো ৩ প্রাণ ●   ঈশ্বরগঞ্জে রবিদাস সম্প্রদায়ের মাঝে কম্বল বিতরণ
রাঙামাটি, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১০ মাঘ ১৪৩১



CHT Media24.com অবসান হোক বৈষম্যের
সোমবার ● ৯ মে ২০১৬
প্রথম পাতা » উপ সম্পাদকীয় » ডক্টর ওয়াজেদ মিয়ার বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবন
প্রথম পাতা » উপ সম্পাদকীয় » ডক্টর ওয়াজেদ মিয়ার বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবন
সোমবার ● ৯ মে ২০১৬
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

ডক্টর ওয়াজেদ মিয়ার বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবন

---

লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল :: বাঙালি জাতির এক গর্বিত ও আলোকিত মানুষের নাম ড. এম এ ওয়াজিদ মিয়া৷ তিনি এক বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবনের অধিকারী৷ তিনি ১৯৪২ সালে ১৬ ফেব্রুয়ারি রংপুর জেলার পীরগঞ্জের ফতেপুর গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন৷ তাঁর পিতার নাম আব্দুল কাদের মিয়া ও মাতার নাম ময়জুন্নেসা৷ তিনি পিতামাতার ৭ সন্তানের মধ্যে সর্ব কনিষ্ঠ৷
গ্রামের প্রাইমারী বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণী ও পীরগঞ্জ থানার হাইস্কুলে ৬ষ্ঠ শ্রেণী পর্যন্ত অধ্যয়ন শেষে ১৯৫২ সালের জুলাই মাসে রংপুর জেলা স্কুলে ভর্তি হন৷ ১৯৫৬ সালে ম্যাট্রিক পাশ করেন৷ ম্যাট্রিক পাশ করার পর রাজশাহী সরকারী কলেজে বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হন৷ ১৯৫৮ সালে উচ্চ মাধ্যমিক (বিজ্ঞান) কৃতিত্বের সঙ্গে পাশ করার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থ বিদ্যা বিভাগে ভর্তি হন৷ ১৯৬১ সালের প্রথম দিকে শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক আদশের্র প্রতি আকৃষ্ট হয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগে যোগদান করেন, ১৯৬০-৬১ সলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হল ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ছাত্রলীগের পক্ষে সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন৷ উল্লেখ্য যে, সে সময় তত্‍কালীন পূর্ব পাকিস্তানের গভণর্র ছিলেন জেনারেল আজম খান৷ ছাত্র আন্দোলন আস্তে আস্তে বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে এবং জোরদার হতে থাকে৷ আন্দোলন শুরু হওয়ার ৩য় দিনে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি শাহ্ মোয়াজ্জেম হোসেন বিকল ৬.০০ টায় বলেন ওয়াজেদ তুমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোর মধ্যে একমাত্র নির্বাচিত সহ-সভাপতি, মুজিব ভাই তোমার সঙ্গে দেখা করতে চান৷ তুমি এখনি আমার সঙ্গে চল৷ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৩২ নম্বর বাড়ীতে এম এ ওয়াজেদ মিয়ার এটাই প্রথম সাক্ষাত্‍৷
১৯৬১ সালে ছাত্র আন্দোলনে গ্রেফতার হওয়ার ১১ দিন পর এম. এ ওয়াজেদ মিয়ার সঙ্গে দেখা করার জন্য আসে তাঁর বন্ধু আঞ্জুমান ৷ সাক্ষাত্‍ শেষে ফেরার পথে দেখা হয় জেলগেটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারবগের্র সঙ্গে৷ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এম. এ ওয়াজদ মিয়াকে পরিচয় করিয়ে দেন তার পরিবারের সকলের সঙ্গে৷ এটাই প্রথম দেখা শেখ হাসিনার সঙ্গে৷ তিনি ৩০ এপ্রিল ১৯৬৩ সালে তত্‍কালীন পাকিস্তান আণবিক শক্তি কেন্দ্রে যোগদান করেন৷ ১৯৬৭ সালে আগষ্ট মাসে পি. এইচ. ডি ডিগ্রী শেষ কনে৷ ১৭ নভেম্বর ১৯৬৭ সালে শবে-বরাতের রাত্রে পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম. এ ওয়াজেদ মিয়া সাথে শেখ হাসিনার শুভ বিবাহ সম্পন্ন হয়৷ সে সময় বঙ্গবন্ধু ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ছিলেন৷ পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম. এ ওয়াজেদ মিয়া বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে গেলে বঙ্গবন্ধু তাঁকে একটি রোলেঙ্ ঘড়ি উপহার দেন৷ যা পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম. এ ওয়াজেদ মিয়া সংরক্ষণ করে রেখেছিলেন৷ পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম. এ ওয়াজেদ মিয়া ইতালীর ট্রিয়েষ্টস্থ আন্তর্জাতিক তাত্তি্বক পদার্থ কেন্দ্রে ৬ মাস গবেষণা কর্ম শেষে ১৯৭৪ সনের ১ জানুয়ারি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন৷ ১৯৭৫ সালের ৯ আগষ্ট পশ্চিম জার্মানীস্থ বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জনাব হুমায়ুন রশিদ চৌধুরীর বিশেষ আমন্ত্রণে পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম. এ ওয়াজেদ মিয়া শেখ হাসিনা, শেখ রেহানাসহ তাঁর চেলে জয় ও মেয়ে পুতুলকে নিয়ে জার্মানীর রাজধানী মেলবর্নে যান৷
১৫ আগষ্ট ১৯৭৫ শুক্রবার সকাল ৬.৩০ ঘটিকায় ঘুম ভাঙ্গে জার্মানীর রাষ্ট্রদূতের ডাকে৷ তারপর এক সময় জানতে পারেন বঙ্গবন্ধুকে স্ব-পরিবারে হত্যা করা হয়েছে৷ ২৫ আগষ্ট আত্মরক্ষা এবং পরিবারের নিরাপত্তার জন্য আশ্রয় নেন ভারত৷ ১৯৭৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকাকালে শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে একবার ওয়াজেদ মিয়ার সাক্ষাত্‍ হয়৷ ১৯৭৫ সালের ৩ অক্টোবর পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম. এ ওয়াজেদ মিয়া ভারতীয় আণবিক শক্তি কমিশনের অধীনে আণবিক খনিজ বিভাগে দিল্লীস্থ কেন্দ্রে যোগদান করেন৷ ১৯৭৬ সালে ১ অক্টোবর সাময়িক ও দৈনিক ভিত্তিতে ভারতীয় আণবিক শক্তি কমিশন থেকে পমরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম. এ ওয়াজদ মিয়ার জন্য একটি পোষ্ট ডক্টোরাল ফেলোশীপের বন্দোবস্ত করা হয়৷ ঐ ফেলোশীপের শর্তানুসারে বাসা ও অফিসে যাতায়াতের সুবিধাদির অতিরিক্ত দৈনিক ভাতা প্রদান করা হতো ৬২ রুপি ৫০ পয়সা মাত্র৷ ১৯৭৭ এর গোড়ার দিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রী মোরারজী দেশাই ক্ষমতায় আসার পর ১৯৭৮ সালে পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম.এ ওয়াজেদ মিয়ার পরিবারের উপর বিভিন্ন ধরণের চাপ ও হয়রাণিমূলক কার্যক্রম শুরু হয়৷ পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম. এ ওয়াজেদ মিয়া আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুস সামাদ আজাদ, এম কোরবান আলী ও মেয়ে পুতুলকে সহ শেখ হাসিনাকে ১৭ মে ১৯৮১ সালে ঢাকা পাঠান৷ ৫ জুন ১৯৯২ সালে পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম. এ ওয়াজেদ মিয়া, শেখ হাসিনা ও জয়কে নিয়ে সৌদি যান সৌদি বাদশার অতিথি হিসাবে, ৯ জুন পবিত্র হজ্জ ব্রত পালন করেন৷ তিনি বাংলাদেশ আণবিক শক্তি কমিশনের ভৌত বিজ্ঞান সদস্য ছিলেন, পরবর্তীতে চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন৷ ১৯৯৯ সালে অবসর গ্রহণ করেন৷ ২০০৯ সালের ৯ মে ৬৭ বছর বয়সে এই কৃতি পুরুষ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন৷ তাঁর শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী তাঁকে পীরগঞ্জ উপজেলার ফতেপুর গ্রামে তাঁর বাবা-মায়ের কবরের পাশে দাফন করা হয়৷

লেখক : লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল
সভাপতি, বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদ৷
ই-মেইল :[email protected]





উপ সম্পাদকীয় এর আরও খবর

পার্বত্য চুক্তির ২৭ বছর : শান্তি চুক্তি পাহাড়ে বসবাসরত সকল জনগোষ্ঠীর অধিকার রক্ষায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ পার্বত্য চুক্তির ২৭ বছর : শান্তি চুক্তি পাহাড়ে বসবাসরত সকল জনগোষ্ঠীর অধিকার রক্ষায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ
একেএম মকছুদ আহমেদ এর সাংবাদিকতায় ৫৫ বছর :  গণমাধ্যমের ওপর উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আক্রমণ, হামলা ও হুমকি বৈষম্যবিরোধী চেতনার পরিপন্থি একেএম মকছুদ আহমেদ এর সাংবাদিকতায় ৫৫ বছর : গণমাধ্যমের ওপর উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আক্রমণ, হামলা ও হুমকি বৈষম্যবিরোধী চেতনার পরিপন্থি
বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী মৌলভীবাজারের পাঁচগাঁওয়ের দূর্গাপূজা ও কিছু কথা বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী মৌলভীবাজারের পাঁচগাঁওয়ের দূর্গাপূজা ও কিছু কথা
পার্বত্য চুক্তির ২৬ বছরে পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণ কি-কি বৈষম্যের স্বীকার তা নিয়ে একটি পর্যালোচনা পার্বত্য চুক্তির ২৬ বছরে পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণ কি-কি বৈষম্যের স্বীকার তা নিয়ে একটি পর্যালোচনা
আন্তর্বর্তীকালিন সরকার পাহাড়ের বিষয়ে যেকোনো সিদ্ধান্ত নিলে নিতে হবে গভীর বিচার-বিশ্লেষণের মাধ্যমে আন্তর্বর্তীকালিন সরকার পাহাড়ের বিষয়ে যেকোনো সিদ্ধান্ত নিলে নিতে হবে গভীর বিচার-বিশ্লেষণের মাধ্যমে
সবকিছু কেড়ে নিয়েছে স্বৈরাচারী খুনি হাসিনার আওয়ামীলীগ সবকিছু কেড়ে নিয়েছে স্বৈরাচারী খুনি হাসিনার আওয়ামীলীগ
রাঙামাটিতে ঐক্যবদ্ধ বড়ুয়া সমাজ গড়ে তোলার সম্ভবনার পথ দেখা দিয়েছে রাঙামাটিতে ঐক্যবদ্ধ বড়ুয়া সমাজ গড়ে তোলার সম্ভবনার পথ দেখা দিয়েছে
বর্তমান প্রেক্ষাপটে ১৯০০ সালের রেগুলেশান, (সংশোধিত) ১৯২০ আইনটি পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির পরিপন্থি নয় কি ? বর্তমান প্রেক্ষাপটে ১৯০০ সালের রেগুলেশান, (সংশোধিত) ১৯২০ আইনটি পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির পরিপন্থি নয় কি ?
আগামীতে  কারা দেশ চালাবে ? …সাইফুল হক আগামীতে কারা দেশ চালাবে ? …সাইফুল হক
সীমান্ত সড়ক পশ্চাদপদ পার্বত্য অঞ্চলকে উন্নয়নের স্রোতধারায় একীভূত করেছে সীমান্ত সড়ক পশ্চাদপদ পার্বত্য অঞ্চলকে উন্নয়নের স্রোতধারায় একীভূত করেছে

আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)