মঙ্গলবার ● ১০ মে ২০১৬
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » ঝিনাইদহের স্বপ্নজয়ী মা স্কুল শিক্ষিকা আফরোজা
ঝিনাইদহের স্বপ্নজয়ী মা স্কুল শিক্ষিকা আফরোজা
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: (২৬ বৈশাখ ১৪২৩ বাংলা : বাংলাদেশ সময় রাত ১১.২২মিঃ) ‘স্বপ্নজয়ী মা’ হিসাবে সম্মাননা পুরস্কার পেয়েছেন ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার সলিমুন্নেছা পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা আফরোজা বুলবুল৷ মা হিসাবে সনত্মানদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তোলার অবদান হিসাবে এই সম্মাননা প্রদান করে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়৷ বিশ্ব মা দিবসে ‘স্বপ্নজয়ী মা’ শিরোনামে সারাদেশ থেকে ১৫ জন নারীকে এবারই প্রথম এ পুরস্কার প্রদান করা হয়৷
রোববার রাজধানীর ইস্কাটন রোড়ের মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের হলরুমে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আফরোজা বুলবুলের হাতে পুরস্কার তুলে দেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি৷ এসময় উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাছিমা বেগম ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) সাহিন আহমেদ চৌধুরী৷
কালীগঞ্জ শহরের থানা পাড়ার মৃত ইমদাদুল হক বাবলুর সহধর্মিনী আফরোজা বুলবুল তিন কন্যা সনত্মানের জননী৷ বড় মেয়ে তানিয়া আফরোজ তিথি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজ বিজ্ঞান বিষয়ে ২০০৬ সালে অনার্স ও ২০০৭ মাস্টার্স প্রথম শ্রেণিতে পাস করেন৷ তিথি বরিশালের গৌরনদী উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি)৷ দ্বিতীয় মেয়ে ফারিয়া আফরোজ দ্যূতি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফরেষ্ট্রি বিষয়ে ২০১০ সালে অনার্স ও ২০১১ সালে মাস্টার্স প্রথম শ্রেণিতে পাশ করেন৷ দ্যূতি বাংলাদেশ পুলিশের ঢাকা এসবি বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার৷ ছোট মেয়ে মারিয়া আফরোজ আঁকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিষয়ে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী৷
স্বপ্নজয়ী মা আফরোজা বুলবুল বলেন, ‘বাংলাদেশে ১৫ স্বপ্নজয়ী মায়ের মধ্যে নির্বাচিত হওয়ায় আমি গর্বিত৷ সরকার এবারই প্রথম এই স্বপ্নজয়ী মা সম্মাননা প্রদান করেছে যেখানে আমি আছি এটা আমার জীবনের বিশাল বড় একটা পাওয়া বলে আমি মনে করি৷ তিনি বলেন, আমার কোন ছেলে সনত্মান নেই৷ আমার তিন মেয়ে কিন্তুু এজন্য আমি কখনোই মন খারাপ করিনি৷ আমার স্বপ্ন ছিল মেয়েদের সুশিক্ষাই শিক্ষিত করা৷ আমার আজ সত্যি সত্যিই মনে হচ্ছে আমি সফল হয়েছি৷’
কালীগঞ্জ উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শরিফা খাতুন বলেন, ‘আমি আমার অধিপ্তরকে ধন্যবাদ জানাতে চাই৷ কারন মায়েদের যে সম্মান তা এই ‘স্বপ্নজয়ী মা’ সম্মাননার মধ্যে দিয়ে কিছুটা হলেও দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে৷ আমি মনে করি এই সম্মাননার মাধ্যমে দেশের মা এবং মেয়েরা আরো বেশি এগিয়ে যাওয়ার পথে অনুপ্রাণিত হবেন৷’