রবিবার ● ১৫ মে ২০১৬
প্রথম পাতা » অপরাধ » গাজীপুরে দুই যুবককে কুপিয়ে হত্যা
গাজীপুরে দুই যুবককে কুপিয়ে হত্যা
গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি :: (১ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৩: বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭.২৫মিঃ) গাজীপুর সিটি করপোরেশনের টঙ্গীর এরশাদনগর এলাকায় ধারালো অস্ত্রে কুপিয়ে দুই যুবককে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা৷ নিহতদের মধ্যে আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনের এক নেতা রয়েছেন৷
১৫ মে রবিবার সকালে পুলিশ লাশ দুটি উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে৷ খবর পেয়ে গাজীপুরের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মোঃ দেলোয়ার হোসেন, পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিআইবি) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ আর এম আলিফ, র্যাব সদস্য ও থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন৷
নিহতরা হলেন- এরশাদনগর এলাকার ৪নং ব্লকের আলাউদ্দিনের ছেলে শরিফুল ইসলাম শরিফ (৩২)৷ তিনি শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদের গাজীপুর মহানগরের ৪৯নং ওয়ার্ডের সভাপতি ছিলেন৷ অপরজন হলেন- একই এলাকার বাসিন্দা জনৈক হারুনের ছেলে জুম্মন মিয়া (২৬)৷ তিনি স্থানীয় একটি টুপি কারখানায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন৷
পুলিশ ও নিহতদের স্বজনরা জানান, শনিবার দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে এরশাদনগর ৫নং এলাকায় শামীম ও হাসান নামের দুই বন্ধু শরিফুল ইসলামকে ডেকে নেন৷ জুম্মন শরিফের সহযোগী৷ বাসার পাশ থেকে তাকেও নিয়ে যান শামীম ও হাসান৷ এরপর থেকে শরিফ ও জুম্মন নিখোঁজ ছিলেন৷ সকালে স্থানীয়রা তাদের লাশ দেখে পুলিশে খবর দেয়৷
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ আর এম আলিফ জানান, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড৷ আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ জোড়া হত্যার ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে৷ ঘটনাস্থল থেকে চার জোড়া সেন্ডেল, মাথার একটি ক্যাপ, একটি স্ক্রু ডাইভার এবং পাশের পুকুর থেকে প্রায় দুই ফিট লম্বা একটি ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে৷
তিনি আরো জানান, শরিফকে ডেকে নেওয়ার পর তাদের বাড়ির প্রধান ফটক বাইরে থেকে তালা মারা ছিল৷
নিহত শরিফুল ইসলামের সুইটি (১৩) এবং সোহানা (৭) নামের দুই মেয়ে সন্তান রয়েছে৷ এ ছাড়া তাদের বাড়ির বাহিরের দিকে সিসি ক্যামেরা লাগানো রয়েছে৷
নিহত শরীফের মেয়ে সুইটি আক্তার জানান, রাত ১২টার দিকে তার বাবাকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায় ৪-৫ জন লোক৷ পরে তাকে এরশাদ নগরের বিলের পাড়ে নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে৷ এ ঘটনা দেখে ফেলায় আমার বাবার বন্ধু জুম্মনকেও হত্যা করা হয়৷ তিনি তার বাবার হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবি করেন৷
টঙ্গী থানার এসআই জহিরুল ইসলাম জানান, সকাল ৭টার দিকে এরশাদনগর এলাকার একটি রাস্তার পাশে জুম্মন ও পাশের জলাশয়ে শরিফের লাশ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা থানায় খবর দেয়৷ খবর পেয়ে লাশ দুটি উদ্ধার করা হয়৷ নিহত জুম্মনের মাথা দ্বিখন্ডিত এবং শরিফুলের ঘাড়সহ উভয়ের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে৷ কে বা কারা কখন তাদের হত্যা করেছে, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে৷ লাশ ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে৷