মঙ্গলবার ● ১৭ মে ২০১৬
প্রথম পাতা » অপরাধ » ঝিনাইদহে স্বাস্থ্য বিভাগে চলছে প্রেষণ বাণিজ্য
ঝিনাইদহে স্বাস্থ্য বিভাগে চলছে প্রেষণ বাণিজ্য
ঝিনাইদহ প্রিতিনিধি :: (৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৩ বাংলা : বাংলাদেশ সময় সকাল ১১.১১মিঃ) ঝিনাইদহে স্বাস্থ্য বিভাগে চলছে ব্যাপকতর প্রেষণ বাণিজ্য৷ যে কারনে অসহায় হয়ে পড়েছে সাধারণ চিকিত্সক সহ সাধারণ মানুষ৷ ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে গাইনী চিকিত্সকের পদ দুই জন থাকলেও প্রেষণে আসা চিকিত্কদের নিয়ে এখন সেখানে ৪ জন কর্মরত৷ অপর দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গাইনী চিকিত্সক না থাকাই সাধারণ মানুষ চিকিত্সা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন৷
সূত্র থেকে জানা যায়, ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিয়মিত গাইনী চিকিত্সক হিসেবে কর্মরত আছেন সিনিয়র কনসালটেন্ট ডাঃ এমদাদুল হক ও জুনিয়র কনসালটেন্ট চলন্তিকা রাণী৷
এই দুইজন মুলত কোন মতে সামলাতে পারছেন৷ তারপরেও অর্থ বাণিজ্যের মাধ্যমে প্রেষণে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ডাঃ আলাউদ্দিন ও মারফিয়া খাতুন ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে কর্মরত আছেন৷ ঝিনাইদহে এসে তারা ক্লিনিক বানিজ্য নিয়ে মহাব্যাস্ত৷
হাসপাতালে তাদের নিয়মিত পাওয়া যায় না বলে অভিযাগ৷ এদিকে কালীগঞ্জ থেকে ডেপুটেশনে ঝিনাইদহ সদরে আসার কারণে সেখানকার গর্ভবতী মা ও মহিলারা চিকিত্সা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন৷ তারা নিরুপায় হয়ে বিভিন্ন ক্লিনিক ও পল্লী চিকিত্সকের নিকট যেতে বাধ্য হচ্ছে৷ এর ফলে অনেক মহিলা ভূল চিকিত্সায় মারা যাচ্ছে৷
সূত্র থেকে আরো জানা যায়, ডাঃ মারফিয়া খাতুন যদিও ইনডোর মেডিকেল অফিসার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) হিসাবে আছেন কিন্তু সার্বক্ষণিক ভাবে তিনি ঝিনাইদহ ইসলামী ব্যাংক কামিউনিটি হাসপতালে নিয়মিত প্রাইভেট রোগী দেখেন৷ হাসপাতালে তাকে তেমন পাওয়া যায় না৷ অন্যদিকে জেলার সাব সেন্টার গুলোতে কোন ডাক্তার পাওয়া যায় না৷ যাদেরকে পোস্টিং দেওয়া হয়েছে, তাদের ডেপুটেশনে জেলার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে খাটানো হচ্ছে৷
আর এসব হচ্ছে টাকায়৷ সিভিল সার্জন অফিসে মালপানি দিয়ে মাসের পর মাস এই অকাম চলছে৷ এ বিষয়ে ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন ডাঃ আব্দুস সালাম জানান, কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অজ্ঞান করা ডাক্তার না থাকার কারনে ডাঃ আলাউদ্দীন বসে বসে বেতন নিচ্ছিলেন৷
সে কারনে তাকে প্রেষণে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে ও ডাঃ মারফিয়া খাতুনকে স্বাস্থ্য বিভাগের খুলনা পরিচালক বদলি করে এই হাসপাতালে পাঠিয়েছেন৷