বুধবার ● ১৮ মে ২০১৬
প্রথম পাতা » অপরাধ » গাজীপুরে দুই যুবক খুনের ঘটনায় গ্রেফতার ২, অস্ত্র-ককটেল উদ্ধার
গাজীপুরে দুই যুবক খুনের ঘটনায় গ্রেফতার ২, অস্ত্র-ককটেল উদ্ধার
গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি :: গাজীপুরের টঙ্গীর দুই যুবক খুনের সঙ্গে সম্পৃক্ত এক আসামিসহ দুজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১ সদস্যরা৷ এ সময় দেশীয় অস্ত্র, ককটেল এবং ককটেল তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়৷
ত্রেফতারতৃতরা হলেন- টঙ্গীর এরশাদনগর এলাকার মৃত দুলাল মিয়ার ছেলে মোঃ কাজল মিয়া এবং সহযোগী আমলী বেগম (৪০)৷
র্যাব আমাদের গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি মুহাম্মদ আতিকুর রহমান আতিককে জানায়, সোমবার রাতে র্যাব-১ স্পেশালাইজড কোম্পানি গাজীপুরের একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিউল ইসলামের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করে৷ অভিযানকারী দলটি এরশাদনগর এলাকায় অভিযান চালিয়ে দুই যুবক খুনের অন্যতম অভিযুক্ত মোঃ কাজল মিয়াকে (২২) গ্রেফতার করে৷
র্যাব আরো জানায়, কাজলকে জিজ্ঞাসাবাদে সে দুই যুবক খুনের সঙ্গে নিজের সম্পৃক্ততা স্বীকার করেছে৷ তার ভাষ্য অনুযায়ী দুই যুবক খুনের ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী মোঃ কামরুজ্জামান ওরফে কামু৷ কামু টঙ্গী এলাকার মাদক ও অস্ত্র ব্যবসায়ী৷ কামুর সহযোগী ইয়াছিন, ইকবাল, হীরা, মোবারক, নাজমুল, সাগর এবং কাজল এই হত্যাকান্ডে অংশ নেয় বলে প্রাথমিকভাবে জানা যায়৷ কামু নিহত শরীফের কাছে মাদক বিক্রির দেড় লাখ টাকা চাইতে গেলে শরীফ দেই-দিচ্ছি বলে সময় ক্ষেপণ করতে থাকে৷
১০-১২ দিন আগে টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে শরীফ কামুর মাকে উদ্দেশ্য করে গালিগালাজ করে৷ এর প্রতিশোধ ও এলাকায় নিজের আধিপত্য বিস্তার করতে কামু শরীফকে খুনের পরিকল্পনা করে৷ ঘটনার আগের দিন বিকেলে হীরার ভাড়া বাড়িতে ইকবাল ও হীরা রামদা শান দেয় যেখানে কাজল উপস্থিত ছিল৷ তারা পরিকল্পনা করে, একটি মেয়ের কথা বলে শরীফকে ঘটনাস্থলে নিয়ে আসবে৷ এরই ধারাবাহিকতায় ঘটনার রাত সাড়ে ১১দিকে খুনিদের একজন ইকবাল নিহত শরীফকে ডেকে আনে৷ শরীফ জুম্মনকে সঙ্গে নিয়ে আসে৷ এরপর শরীফ রাত ১২টা ৪৮ মিনিটে ইকবালকে ফোন করে ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পথ এবং টর্চলাইটের আলোয় তাকে দেখার কথা নিশ্চিত করে৷ সেখানে মোবারক প্রথমে শরীফকে টেস্টার দিয়ে পেটের মধ্যে আঘাত করে এবং হীরা চাপাতি দিয়ে গলায় কোপ দেয়৷ নাজমুলও উপর্যুপরি কোপাঢ৷ শরীফকে কোপানো দেখে জুম্মন দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে৷ ইয়াছিন ও সাগর জুম্মনের পেছনে ধাওয়া করে মোল্ল্যাবাড়ীর গেইটে জুম্মন পড়ে গেলে সেখানে তাকে কুপিয়ে হত্যা করে৷
এ বক্তব্যের সত্যতা নিরূপণ ও আলামত জব্দের উদ্দেশ্যে ১৬ মে সোমবার রাতে পুনরায় এরশাদনগর এলাকায় হীরার ভাড়া বাসায় অভিযান পরিচালনা করে র্যাব৷ সেখানে হীরার বাসা থেকে পাঁচটি রামদা, দুটি ছোরা এবং ৫০০ গ্রাম গাঁজাসহ সহযোগী আমলী বেগমকে আটক করা হয়৷
এরপর মামলার এজাহারনামীয় আসামি সুমনের বাসায় অভিযান পরিচালনা করা হয়৷ সুমনের বাসা তল্লাশি করে একটি ককটেল, তারকাটা ও পাঁচ বোতল পেট্রল, চারটি রামদা, একটি কিরিচ এবং একটি চাপাতি উদ্ধার করা হয়৷ পলাতক আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে৷
১৭ মে মঙ্গলবার রাতে র্যাব-১ এসব তথ্য জানিয়েছেন৷