রবিবার ● ২২ মে ২০১৬
প্রথম পাতা » কক্সবাজার » মায়ানমার ও আসাম অভিমুখে ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু
মায়ানমার ও আসাম অভিমুখে ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু
অনলাইন ডেস্ক :: ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু’র প্রভাবে উপকূল জুড়ে রেকর্ড পরিমান বৃষ্টিপাত হয়েছে। শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টা পর্যন্ত মাত্র দেড় ঘন্টায় পটুয়াখালীতে ১০৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এই অতি বৃষ্টি রোয়ানুকে দুর্বল করে দিতে পারে বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা।
এদিকে পায়রা বন্দরের কাছাকাছি অবস্থান করা ঘূর্ণিঝড়টির বর্তমান গতিবিধি দেখে ধারণা করা হচ্ছে এটি সকাল ১১টার দিকে পায়রা বন্দর এলাকা ত্যাগ করে মায়ানমার ও ভারতের আসাম অভিমুখে যাত্রা করতে পারে।
কলাপাড়া রাডার ষ্টেশনের কর্মকর্তা প্রকৌশলী প্রদীপ চক্রবর্তী জানান, ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু’র ব্যাপ্তি ছিল দুইটি বাংলাদেশের সমান আকৃতির। সাগরের উপরি ও নিম্নভাগে অবস্থান নেয় রোয়ানু। অতি বৃষ্টিই রোয়ানুকে দুর্বল করবে এবং মানুষের জানমালের বিপর্যয় থেকে রক্ষা করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ওই কর্মকর্তা জানান, রোয়ানুর কিছু অংশ এখনও পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ১৫০ কিলোমিটার দূরে দুর্বল হয়ে অবস্থান করছে। যে কারণে হালকা দমকা হাওয়া ও মাঝারি বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। তিনি জানান, আজ শনিবার সকাল ১১টার দিকে পায়রা সমুদ্র বন্দর এলাকা ত্যাগ করে রোয়ানু বার্মা ও ভারতের আসামের দিকে রওয়ানা হতে পারে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে স্বাভাবিক জেয়ারের চেয়ে ৩ থেকে ৪ ফুট পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় চরাঞ্চলসহ জেলার নিম্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া না গেলেও বিচ্ছিন্ন দ্বীপ রাঙ্গাঁবালী উপজেলার বিভিন্ন এলাকার অন্তত দুই শতাধিক কাঁচা ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তবে এর মধ্যে অন্তত শতাধিক কাচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে বলে জানান উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তপন কুমার ঘোষ। সকাল থেকেই ওই এলাকার লোকজনকে আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
এদিকে কুয়াকাটা-সোনারচর সংলগ্ন দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরের বড় বড় ঢেউ উপকূলে আছড়ে পরছে। মানুষের স্বাভাবিক চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জানা গেছে, রোয়ানু’র প্রভাবে রাঙ্গাবালী, দশমিনা ও গলাচিপার বিচ্ছিন্ন কয়েকটি বেড়িবাঁধ বিহীন চরে বেশকিছু কাচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এছাড়া গাছপালার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এসব চরে উচ্চ জোয়ারের পানি প্রবেশ করায় বসতিরা আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছে।