শনিবার ● ১০ অক্টোবর ২০১৫
প্রথম পাতা » রাঙামাটি » রাঙামাটিতে জামায়াতে ইসলামী’র ঈদ-পুনর্মিলনী
রাঙামাটিতে জামায়াতে ইসলামী’র ঈদ-পুনর্মিলনী
রাঙামাটি জেলা জামায়াত সেক্রেটারী হাশেমুল হক খন্দকার বলেন, ঈদ আমাদের শিক্ষা দেয় ত্যাগ ও কুরবানীর ৷ যে কোন অবস্থায় ও পরিস্থিতিতে মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর রাহে অর্থ-সম্পদ কুরবানীসহ প্রয়োজনে নিজের জীবনকেও বিলিয়ে দিতে হবে ৷ এটিই হলো ঈদ-উল-আযহার প্রকৃত তাত্পর্য ও শিক্ষা ৷ শুক্রবার বনরূপা ৭নং ওয়ার্ড জামায়াত আয়োজিত বনরূপাস্থ ইসলামিক সেন্টার মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক ঈদ-পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির আলোচনায় তিনি একথা বলেন ৷ পৌর জামায়াত সেক্রেটারী ও ৭নং ওয়ার্ড সভাপতি মনছুরুল হক এর সভাপতিত্বে এবং সাবেক ছাত্রনেতা ও জামায়াত কর্মী মো: রহমত উল্যাহর পরিচালনায় আয়োজিত উক্ত ঈদ-পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আলোচনা রাখেন রাঙামাটি জেলা জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য ও পৌর আমীর মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম ৷ উক্ত ঈদ-পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে পৌর জামায়াত এসিঃ সেক্রেটারী মোঃ আব্দুস সালাম, জামায়াত নেতা মাওলানা নুর মোহাম্মদ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও জামায়াত নেতা আহম্মদ হোসেন, জামায়াত নেতা ও বিশিষ্ট চিকিত্সক ডা: এ এইচ এম হানিফ, রাঙামাটি শহর শাখার শিবির সভাপতি মো: কামরুল হাসান ও সেক্রেটারী মো: মোরশেদ আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন ৷
প্রধান অতিথি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন আছে বলে মনে হয় না ৷ এমন কোন মুহুর্ত নেই যে, দেশের কোন না কোন জায়গায় ধর্ষণ, হত্যা, গুম, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, নারী নির্যাতন, শিশু নির্যাতন, সাধারন মানুষের উপর পুলিশি নির্যাতন, শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস ইত্যাদি সংগঠিত হচ্ছে না ৷ দেশ এখন অরাজকতা ও বিশৃঙ্খলার মধ্যে চলছে ৷
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার সুষ্ঠুভাবে দেশ পরিচালনার পরিবর্তে বিরোধি দলীয় নেতা কর্মীদের গ্রেফতার নির্যাতন ও মামলা-হামলা করে চলছে ৷ সরকার মানুষের মৌলিক মানবাধিকার কেড়ে নিয়েছে ৷ বর্তমানে মানুষের জান মালের কোন নিরাপত্তা নেই এমনকি বিদেশীদেরকেও বর্তমান এ অগণতান্ত্রিক সরকার জান মালের নিরাপত্তা দিতে পারছে না ৷ নরওয়ে ও জাপানের দুই বিদেশী নাগরিক নির্মমভাবে নিহত হওয়ার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক দুনিয়ায় বাংলাদেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিষয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে এবং বাংলাদেশের মর্যাদা আন্তর্জাতিক দুনিয়ায় ভীষণভাবে ক্ষুন্ন হয়েছে ৷
প্রধান অতিথি ক্ষোভে প্রকাশ করে বলেন, সরকার তার ক্ষমতার মসনদকে দীর্ঘস্থায়ী করার জন্য জামায়াতে ইসলামীকে নিশ্চিহ্ন করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ৷ ইতিমধ্যে জামায়াতের দুই সিনিয়র নেতা মো: কামারুজ্জামান ও মো: আব্দুল কাদের মোল্লাকে বিচারিক হত্যাকান্ডের মাধ্যমে শহীদ করেছে ৷ বর্তমানে জামায়াতের সেক্রেটারী জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদকেও কথিত মানবতা বিরোধী অপরাধের নামে হত্যা করার ষড়যন্ত্র করছে ৷ জামায়াতের হাজার হাজার নেতা কর্মীকে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করে গণতন্ত্র ও আইনের শাসনকে অবজ্ঞা করে অন্যায়ভাবে জেলখানায় বন্দি করে রেখেছে ৷ তিনি অবিলম্বে গ্রেফতারকৃত জামায়াতের নেতা কর্মীদের মুক্তি দাবী করেন ৷ তিনি দৃঢ় অঙ্গিকার ব্যক্ত করে বলেন, যতই নির্যাতন নিপীড়নের ষ্টীম রোলার চালানো হউক না কেন বাংলাদেশের এই জমিনে যতদিন না কুরআন সুন্নাহর আইন প্রতিষ্ঠিত হবে, ততদিন পর্যন্ত জামায়াতে ইসলামীর নেতা কর্মীরা তাদের চেষ্টা প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে ৷
বিশেষ অতিথি মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সরকার জামায়াতের নেতৃত্বকে নিশ্চিন্ন করার অন্তরালে মূলত এ দেশ থেকে ইসলামের অগ্রযাত্রাকে দাবিয়ে রাখতে চায় ৷ যেদিন ইসলাম বিজয়ী হবে সেদিনই বাংলাদেশের কোটি কোটি মুসলিম সত্যিকার ঈদের আনন্দের প্রকৃত স্বাদ উপভোগ করতে পারবে ৷ তিনি জামায়াতে ইসলামীর নেতা কর্মীদের গণতন্ত্র ও আইনের শাসন পূন: প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত থাকার জন্য আহ্বান জানান ৷(সংবাদ বিজ্ঞপ্তি)