বৃহস্পতিবার ● ২৬ মে ২০১৬
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » তিন পার্বত্য জেলায় সকাল-সন্ধ্যা শান্তিপূর্ণ ভাবে হরতাল পালন
তিন পার্বত্য জেলায় সকাল-সন্ধ্যা শান্তিপূর্ণ ভাবে হরতাল পালন
ষ্টাফ রিপোর্টার :: (১২ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৩ বাংলা : বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬.২০মিঃ) পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে সেনাবাহিনী প্রত্যাহারে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার প্রতিবাদে বৃহসপতিবার ২৬ মে তিন পার্বত্য জেলায় পার্বত্য নাগরিক পরিষদ ও পার্বত্য বাঙালী ছাত্র পরিষদের ডাকা হরতাল রাঙামাটি,বান্দরবান ও খাগড়াছড়িতে শান্তিপূর্ণ ভাবে পালন করা হয়।
সেনা ক্যাম্প প্রত্যাহার ও ২০০১ সালের ভূমি আইন পুণ:বিবেচনার প্রতিবাদে ৩ পার্বত্য জেলায় সকাল-সন্ধ্যা স্বতস্ফুর্ত, শান্তিপূর্ণ ভাবে হরতাল পালন করা হয় ।
২০০১ সালের ভূমি আইন পুণ:বিবেচনার এবং ৪ টি সেনা ব্রিগ্রেড ছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে সকল সেনা ক্যাম্প প্রত্যাহারে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণার প্রতিবাদে তিন পার্বত্য জেলায় হরতালের ঘোষণা দেন পার্বত্য নাগরিক পরিষদ ।
রাঙামাটি শহর ঘুরে দেখা গেছে রিজাভবাজার, তবলছড়ি ও রাঙামাটি শহরের প্রান কেন্দ্র বনরুপা এলাকায় প্রায় সকল দোকান ও ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান গুলি বন্ধ রাখা হযেছে ।
হরতাল চলাকালিন সরকারী অফিস,আদালত,ব্যাংক,বীমা,বেসরকারী ও করর্পোরেট অফিস গুলি খোলা ছিল তবে জনসমাগম কম ছিল,শহরের সরকারী ও বেসরকারী ব্যাংক খোলা থাকলেও লেন দেন কম হয়েছে।
এদিকে সকাল থেকে রাঙামাটি জেলা শহরের সাথে সড়ক ও নৌ পথে যোগাযোগ বন্ধ ছিল, ছেড়ে যায়নি দুরপাল্লার কোন যানবাহন। শহরের ভিতর সিএনজি অট্রোরিক্সা চলাচল বন্ধ ছিল।
হারতালের কারণে যান চলাচল বন্ধ থাকায় জেলার বাহির থেকে আসা জনসাধারনকে দীর্ঘ পথ পায়ে হেঁটে চলাচল করতে হয়েছে।
শহরের কলেজ গেইট,ষ্টেডিয়াম এলাকা,ভেদ ভেদী, মানিকছড়ি,কোর্ট বিল্ডীং, রিজার্ভবাজার, পুরাতন বাস ষ্টেশন দোয়েল চত্বর, তবলছড়ি ও বনরুপা এলাকায় পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদ,পার্বত্য বাঙ্গালী শ্রমিক পরিষদ ও পার্বত্য গণ পরিষদের নেতা - কর্মীদের পিকেটিং করতে দেখা গেছে।
পার্বত্য নাগরিক পরিষদ ও পার্বত্য বাঙালী ছাত্র পরিষদের ডাকা পার্বত্য জেলায় সকাল-সন্ধ্যা হরতাল চলাকালিন রাঙামাটি পার্বত্য জেলায় কোন ধরনের কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি বলে সিএইচটি মিডিয়া টুযেন্টিফোর ডটকমকে জানান জেলা পুলিশ সুপার সাঈদ তারিকুল হাসান।
উল্লেখ্য গত ১৩ মে শুক্রবার সকাল ১১ টায় ঢাকা জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে পার্বত্য নাগরিক পরিষদ ও পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের উদ্যোগে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় পার্বত্য নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান আলকাছ আল মামুন ভূইঁয়া এ ঘোষণা দিয়ে ছিলেন ।
পাহাড়ে অপহরণ, মুক্তিপণ, গুম চাদাঁবাজি ,খুন,ধর্ষণ, রাহাজানি এবং টোকেন বাণিজ্য যতদিন পর্যন্ত পার্বত্য চট্টগ্রামে বন্ধ হবে না ততদিন সেনাবাহিনী রাষ্ট্রের প্রয়োজনে থাকতে হবে। সর্বোপরি, সেনাবাহিনীর অনুপস্থিতিতে পার্বত্য এলাকা বিভিন্ন দেশের বিচ্ছিন্নতা বাদীদের স্বর্গরাজ্যে ও নিরাপদ আস্তানায় পরিণত হবে সেজন্য সেনা ক্যাম্প প্রতাহারের সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে বলে তাদের দাবি।