বৃহস্পতিবার ● ২৬ মে ২০১৬
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » রাঙামাটিতে খামার ব্যবস্থাপনার দিনব্যাপী ওরিয়েন্টেশন
রাঙামাটিতে খামার ব্যবস্থাপনার দিনব্যাপী ওরিয়েন্টেশন
ষ্টাফ রিপোর্টার : (১২ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৩ বাংলা : বাংলাদেশ সময় বিকাল ৫.৫৫মিঃ) রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ ও দাতা সংস্থা সিএইচটিডিএফ-ইউএনডিপি’র বাস্তবায়নে এবং ডানিডার অর্থায়নে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা প্রকল্প (২য় পর্যায়) এর আওতায় সমন্বিত খামার ব্যবস্থাপনার কৃষক মাঠ স্কুল বিষয়ে জেলার বিভিন্ন উপজেলার কৃষি, প্রাণী সম্পদ ও মত্স্য বিভাগের ৪৫জন কর্মকর্তাদের দিনব্যাপী ওরিয়েন্টেশন কর্মসূচী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে৷
বুধবার ২৫মে সকালে রাঙামাটি জেলা প্রাণী সম্পদ দপ্তরের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ কর্মসূচীর উদ্ধোধন করেন৷
জেলা মত্স্য বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য সাধন মনি চাকমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে রাঙামাটি কৃষি বিভাগের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা কৃষ্ণ প্রসাদ মল্লিক, কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা প্রকল্পের এঙ্পার্ট একেএম আজাদ, প্রাণী সম্পদ বিভাগের ভেটেনারি সার্জন ডাঃ দেবরাজ চাকমা৷ স্বাগত বক্তব্য দেন কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা প্রকল্পের জেলা কর্মকর্তা সুকিরন চাকমা৷
উদ্ধোধনকালে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বলেন, বর্তমান সরকার কৃষক ও কৃষি বান্ধব সরকার৷ দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধি এবং জমি হ্রাসের প্রেক্ষাপটে মানুষের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা বিধানের জন্য এবং পাশাপাশি কৃষি ও কৃষকের ভাগ্য উন্নয়নের লক্ষে বর্তমান সরকার গ্রহণ করেছেন বেশ কিছু যুগান্তকারী পদৰেপ৷ এরই ফলশ্রুতিতে দাদা জাতীয় শস্যে স্বয়ং সম্পূর্ণতা অর্জনের পাশাপাশি শস্য রপ্তানী করা হচ্ছে৷ কৃষক এবং কৃষিবিদদের প্ররিশ্রমের ফলে খাদ্য ঘাটতির দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ অর্জণ করতে সক্ষম হয়েছে৷ তিনি বলেন, পাহাড়ের প্রত্যান্ত এলাকার কৃষকদের কৃষিবিদরা ভালো পরামর্শ প্রদানের জন্যও আহ্বান জানান তিনি৷ তিনি বলেন, আগের তুলনায় এ অঞ্চলে এখন ভালো মানের আম, তরমুজ, আনারসসহ উন্নত জাতের অনেক ফলের উত্পাদন বাড়ছে৷ স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে অন্য জেলায়ও রপ্তানি হচ্ছে৷ এ জেলার ফল ফরমালিনমুক্ত হিসেবে ব্র্যান্ড হিসেবে পরিটিতি লাভ করেছে৷ মত্স্য ও প্রানী ক্ষেত্রেও অনেক সফলতা লাভ করেছে এ জেলা৷ তিনি এ জেলার উত্পাদন বৃদ্ধিতে কৃষি, মত্স্য ও প্রাণী সম্পদ বিভাগের কর্মকর্তাদের কৃষকদের সহযোগিতা প্রদানের আহ্বান জানান৷