শনিবার ● ২৮ মে ২০১৬
প্রথম পাতা » জাতীয় » ঈশ্বরদীর সাত ইউনিয়নের নির্বাচন বর্জন: মারপিটে আহত ১৫ ও আটক-৩
ঈশ্বরদীর সাত ইউনিয়নের নির্বাচন বর্জন: মারপিটে আহত ১৫ ও আটক-৩
ঈশ্বরদী প্রতিনিধি:: (১৪জ্যৈষ্ঠ ১৪২৩ বাংলা: বাংলাদেশ সময় রাত ৮.৩০মিঃ) শনিবার ২৮ মে ঈশ্বরদীতে অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিএনপির চার চেয়ারম্যান প্রার্থী এবং আওয়ামীলীগের দু’বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচন প্রত্যাখ্যান ও বয়কট করেছেন৷ আওয়ামীলীগ চেয়ারম্যান প্রার্থীর নির্দেশে তাদের সমর্থক গোষ্ঠি কর্তৃক ভোট কেন্দ্র দখল,ভোট প্রদানে বাধা প্রদান,জোরপূর্বক নৌকা প্রতিকে সিল মেরে নেওয়া,পুলিং এজেন্টদের মারধর করে কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়াসহ আইনশৃংখলা বাহিনী,রিটার্নিং অফিসার,নির্বাচন কমিশনার সুষ্ঠ ব্যবস্থা গ্রহন না করার প্রতিবাদে এ নির্বাচন বর্জন করেছেন৷ এদের মধ্যে মুলাডুলি ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ফান্টু মন্ডল ও পাকশী ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা মুতাফিজুর রহমান সেলিম সকাল সাড়ে ১০ টায় নির্বাচন বর্জন করে সাংবাদিকদের জানিয়ে দেন৷ অপর দিকে পাকশীর বিএনপি প্রার্থী জাকিউল ইসলাম তপন সরদার দুপুর ১২ টায় ইপিজেড গেটস্থ নির্বাচনী অফিসে সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে নির্বাচন বয়কটের ঘোষনা দেন৷ এসময় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক এমপি সিরাজুল ইসলাম সরদার,শ্রমিকদল নেতা আহসান হাবিব,আব্দুল মান্নান টিপু,মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আবু সিদ্দিকসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন৷ বেলা ২ টায় মুলাডুলি ও দাশুরিয়ার দু’ বিএনপি চেয়ারম্যান প্রার্থী আমিনুল ইসলাম কেনেডি ও সিরাজুল ইসলাম দাশুরিয়ায় সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে নির্বাচন বয়কট করেন৷ এসময় উপজেলা বিএনপির সভাপতি শামসুদ্দিন মালিথাসহ দলের অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন৷ ওদিকে সাঁড়ার বিএনপি প্রার্থী আক্কাস আলী দুপুর ১ টায় নির্বাচন বয়কট করেন৷ সাত ইউনিয়নে নির্বাচন চলাকালে বাবুলচারা,মিরকামারী, মানিকনগর আনসার মাঠ স্কুল কেন্দ্র মেম্বর প্রার্থী ও সমর্থকদের মধ্যে মারপিট,ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ায় প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম ও মিন্টুসহ ১৫ জন আহত হয়৷ আহতদের পাবনা ও ঈশ্বরদী হাসপাতালে চিকিত্সা দেওয়া হয়৷ জ্বাল ভোট দেওয়ার অভিযোগে বাবুলচারা কেন্দ্রে ভোট গ্রহন স্থগিত করা হয়েছে এবং সাহাপুর-ছলিমপুরের বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে পান্নুসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে ৷