রবিবার ● ২৯ মে ২০১৬
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » সকল প্রতিকুলতা কাটিয়ে রাঙামাটি জেলার ইউপি নির্বাচন ৬ষ্ঠ ধাপে ৪জুন
সকল প্রতিকুলতা কাটিয়ে রাঙামাটি জেলার ইউপি নির্বাচন ৬ষ্ঠ ধাপে ৪জুন
নির্মল বড়ুয়া মিলন :: (১৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৩ বাংলা : বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭.৪৪মিঃ) নির্বাচন কমিশন ঘোষিত রাঙামাটি পার্বত্য জেলার ১০ উপজেলার ৪৯ টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন তৃতীয় ধাপে গত ২৩ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিলো পববর্তীতে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন তারিখ পিছিয়ে ৬ষ্ঠ ধাপে ৪জুন তারিখে নির্ধারন করেন।
জেলার ১০ উপজেলার ৪৯ টি ইউনিয়নের মধ্যে চন্দ্রঘোনা ইউনিয়ন পরিষদ সীমানা নির্ধারন জটিলতার কারণে ইউপি নির্বাচন স্থগিত রয়েছে। বাকি ৪৮ টি ইউনিয়নে এবার নির্বাচন হচ্ছে। ৪৯ টি ইউনিয়ন হচ্ছে রাঙামাটি সদর উপজেলার বন্দুক ভাঙ্গা ইউনিয়ন, জীবতলী ইউনিয়ন পরিষদ, মগবান ইউনিয়ন পরিষদ , সাপছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ, কুটুকছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ , বালুখালী ইউনিয়ন পরিষদ , বাঘাইছড়ি উপজেলার বাঘাইছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ , রুপকারী ইউনিয়ন পরিষদ , সাজেক ইউনিয়ন পরিষদ , মারিশ্যা ইউনিয়ন পরিষদ , খেদারমারা ইউনিয়ন পরিষদ ,আমতলী ইউনিয়ন পরিষদ , সারোয়াতলী ইউনিয়ন পরিষদ , বঙ্গলতলী ইউনিয়ন পরিষদ , কাপ্তাই উপজেলার কাপ্তাই ইউনিয়ন পরিষদ , চিৎমরম ইউনিয়ন পরিষদ , ওয়াগ্গা ইউনিয়ন পরিষদ , রাইখালী ইউনিয়ন পরিষদ , কাউখালী উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়ন পরিষদ , কলমপতি ইউনিয়ন পরিষদ , বেতবুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদ , কার্টিকছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ , নানিয়ারচর উপজেলার নানিয়ারচর ইউনিয়ন পরিষদ , ঘিলাছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ , বুড়িঘাট ইউনিয়ন পরিষদ , সাবেক্ষং ইউনিয়ন পরিষদ , জুরাছড়ি উপজেলার জুরাছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ , মৈদং ইউনিয়ন পরিষদ , দুমদুম্যা ইউনিয়ন পরিষদ , বনযোগীছড়া ইউনিয়ন পরিষদ , বরকল উপজেলার বরকল ইউনিয়ন পরিষদ , আইমাছড়া ইউনিয়ন পরিষদ , বড় হরিনা ইউনিয়ন পরিষদ , সুবলং ইউনিয়ন পরিষদ , ভুষনছড়া ইউনিয়ন পরিষদ , লংগদু উপজেলার লংগদু ইউনিয়ন পরিষদ , মাইনী মুখ ইউনিয়ন পরিষদ , ভাসান্যাদাম ইউনিয়ন পরিষদ , গুলশাখালী ইউনিয়ন পরিষদ , কালাপাকুজ্যে ইউনিয়ন পরিষদ , আটারক ছড়া ইউনিয়ন পরিষদ , বগাচটর ইউনিয়ন পরিষদ , রাজস্থলী উপজেলার ঘিলাছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ , বাঙ্গাল হালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ , গাইন্দা ইউনিয়ন পরিষদ , বিলাইছড়ি উপজেলার বিলাইছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ , কেংড়াছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ , ফারুয়া ইউনিয়ন পরিষদ ও বড়থলি ইউনিয়ন পরিষদ ।
উল্লেখ্য,গত ৭ মার্চ ক্ষমতাসীন দলের নেতা পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার পার্বত্য অঞ্চলে সেনা শাসন নয় আঞ্চলিক দল গুলোর অস্ত্রবাজী ও চাঁদাবাজীর শাসন চলছে বলে অভিযোগ করেছেন। তিনি পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের উপর আঞ্চলিক সংগঠন গুলো যে ভাবে শাসন চালাচ্ছে এই শাসন পার্বত্য অঞ্চলের সেনা শাসনের চাইতেও করুন বলে দাবি করেছেন ৷ তিনি পাহাড়ের সাধারণ মানুষ আজ তাদের অত্যাচারে নির্যাতনে নিষ্পেষিত হয়ে আছে ৷
গত ২৪ মার্চ রাঙামাটিতে সচেতন পার্বত্য জনগন এর ব্যানারে জনসমাবেশে পাহাড়ে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও চাদাঁবাজি বন্ধে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে চিরুণী অভিযান পরিচালনার আহবান জানান সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী ও রাঙামাটি জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি দীপংকর তালুকদার ৷ আয়োজিত জনসমাবেশে অবৈধ অস্ত্রধারী, অপহরণ, গুম, খুন ও নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে রাঙামাটির নিউ মার্কেট চত্তরে এক বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অথিতির বক্তব্যে দীপংকর তালুকদার এ আহবান জানান৷
রাঙামাটির ৪৯টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন স্থগিত হওয়ার পর পাহাড়ে নির্বাচনী আমেজে ভাটা পড়ে যায় ৷ নির্বাচন কমিশন ৩য় দফার নির্বাচন পিছিয়ে ৬ষ্ঠ পর্য়ায়ের তফশীলে অন্তর্ভুক্তি করার সিদ্ধাস্ত নেয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে ৷ প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো প্রার্থী মনোনয়ন দিতে না পারায় নির্বাচনে সবার অংশ গ্রহন নিশ্চিত করতে এ সিদ্ভান্ত নেয় নির্বাচন কমিশন ৷
পাহাড়ের আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলগুলো ছাড়া প্রধান রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপিসহ অন্যান্য দলের প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিতে না পারায় রাঙামাটি জেলার ৪৯ টি ইউনিয়ন পরিষদের ৩য় দফার নির্বাচন পিছিয়ে ৬ষ্ঠ পর্য়ায়ের তফশীলে অন্তভুক্তি করার সিদ্ধান্ত নেয় নির্বাচন কমিশন ৷
নির্বাচন কমিশনের এই সংক্রান্ত নির্দেশনা ২৯ মার্চ মঙ্গলবার দুপুরে রাঙামাটি জেলা নির্বাচন অফিস ও সংশ্লিষ্ট রিটানিং অফিসারদের বরাবরে পাঠানো হয় ৷
২৯ মার্চ মঙ্গবার রাঙামাটি জেলার ৪৯ টি ইউনিয়নে দাখিলকৃত মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাইয়ের দিন নির্ধারিত ছিলো ৷ দুপুর নাগাদ নির্দেশনার আসার পর নির্বাচনী কার্যক্রম স্থগিত হয়ে যায় ৷
গত ২৩ এপ্রিল তৃতীয় ধাপে যে ৬৮৫ ইউপিতে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন তাতে এ জেলার ৪৯ ইউনিয়ন অনত্মভর্ক্ত ছিল৷ তাই ২৭ মার্চ ছিলো মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ছিলো ৷
একই ভাবে ৪৯টি ইউনিয়নে সংরক্ষিত ওয়ার্ডের ৪০৩ জন এবং সাধারণ ওয়ার্ডের সদস্যপদে মোট ১২৮২জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র জমা দেন ৷ মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাইয়ের দিন নির্ধারিত ছিলো ২৯ মার্চ ৷
এসময় পর্যন্ত রাঙামাটির ৪৯টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে পাহাড়ের তিনটি আঞ্চলিক দলের সমর্থিত ১২১ জন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের ৩১জন, বিএনপি’র মনোনীত ২০জন, জাতীয় পার্টির (এরশাদ) মনোনীত ৫ জন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত ৩জনসহ মোট ১৮০জন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে তাদের মনোনয়নপত্র জমা দেন ৷
এ সময়ের মধ্যে রাঙামাটি জেলার ৪৯টি ইউপির মধ্যে ১৮টিতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি ২৯ টিতে কোন প্রার্থী দিতে পারেনি ৷
পাহাড়ের স্থানীয় দল গুলোর তৈরি করা ভীতির কারণেই এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠার পর নির্বাচন কমিশন তাদের সিদ্ধান্ত পরির্বতন করেন ৷
তৃতীয় দফায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা বিপুল উত্সাহ ও উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে ২৭মার্চ তৃতীয় দফায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য রাঙামাটির বরকল উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের মধ্যে ৪টি ইউনিয়নে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বরকল উপজেলা শাখার প্রার্থীরা নৌকা প্রতীক নিয়ে মনোনয়ন পত্র জমা দেন ৷
রাঙামাটি জেলা প্রশাসক সামসুল আরেফিনের সভাপতিত্বে প্রবল বষর্ণ ও ঘুর্ণিঝড় রোয়ানুর আঘাত উপেক্ষা করে খারাপ আবহাওয়ার মধ্যে গত ২১ মে শনিবার রাঙামাটি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিব উদ্দিন আহমদ।
আগামী ৪ জুন রাঙামাটি পার্বত্য জেলায় ইউপি নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিজিবি, র্যাব, পুলিশ, আনসারের সঙ্গে সেনাবাহিনীও মাঠে থাকবে বলে ঘোষণা দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার মো. কাজী রকিব উদ্দিন আহমদ।
তিনি আরো বলেছিলেন, আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গকারী যে দলের, গোষ্ঠীর ও সম্প্রদায়ের হোক না কেন, তাদের ছাড় দেওয়া হবেনা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সশস্ত্র সন্ত্রাসী বাহিনীকে গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তি দেওয়া জন্য। তাছাড়া পাহাড় থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে সেনা অভিযান অব্যাহত থাকবে। সুষ্ঠ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে প্রশাসন সব সময় প্রস্তুত।
এদিকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচনের দাবিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) বরাবর গত ১৫ মে শুক্রবার লিখিত অভিযোগ করে বসেন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি। সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির রাঙামাটি জেলা শাখার পক্ষ থেকে জেলা নির্বাচন কমিশনারের মাধ্যমে এ অভিযোগ করেন। এতে এ আঞ্চলিক অনিবন্ধিত রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অনিয়ম ও প্রভাব খাটানো-সংক্রান্ত ১৫টি অভিযোগ করেন।
রাঙামাটি জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. নাজিম উদ্দিন ইউপি নির্বাচন নিয়ে জনসংহতির অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, ইউপি নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগ ও নিরাপত্তা বাহিনীর অহেতুক হস্তক্ষেপ, অপপ্রচার এবং প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের হয়রানি করা হচ্ছে। বাঘাইছড়ি, লংগদু, জুরাছড়ি, বিলাইছড়ি ও রাজস্থলী উপজেলার স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সমর্থকদের ওপর ১৫টি হয়রানির ঘটনার বিবরণ দিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি।
জনসংহতি সমিতি উল্লেখ করেছে, সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) পরিচয় দিয়ে সমিতির রাজস্থলী থানা শাখার নেতা বাচ্চু চাকমাকে ফোন করে জানানো হয়, তাঁর বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে। তিনি যেন সতর্ক হন।
এ বিষয়ে কাপ্তাই সার্কেলের এএসপি মো. আবুল কাশেম বলেছিলেন, ‘আমি অভিযোগ পেয়েছি, তিনি (বাচ্চু) আওয়ামী লীগের লোকজনকে হুমকি দিচ্ছেন।’
বিলাইছড়ি উপজেলায় সেনাসদস্যরা উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ে গিয়ে পাঁচজন সদস্য প্রার্থীকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারে বাধা দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি।
এ ব্যাপারে দীঘলছড়ি সেনা জোনের অধিনায়ক লে. কর্নেল রুসনালুর রহমান মুঠোফোনে বলেছিলেন, ‘আমরা মনোনয়নপত্র প্রদান বা প্রত্যাহারের বিষয়ে কোনো কিছু করার কর্তৃপক্ষ নই। তবে অনেক প্রার্থীকে জীবননাশের হুমকি দেওয়ার বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি আমরা। তাই কয়েকজনকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছে, তাঁদের কেউ হুমকি দিয়ে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করাচ্ছে কি না ইত্যাদি।
এবিষয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (পিসিজেএসএস)’র সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা সন্তু লারমা ২০ মে শুক্রবার রাঙামাটির জিমনিসিয়াম মাঠে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি)’র ২৭ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক ছাত্র সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন সরকার যদি মনে করে চুক্তি করা হয়েছে, বাস্তবায়ন করা হবে না। তারা যদি ভাবে আমার কাছে হাজারো মারণাস্ত্র আছে এ অস্ত্র দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষের আন্দোলন বন্ধ করা হবে। চুক্তিকে বিলুপ্তি করা হবে তা ভাবলে ভুল হবে। পাহাড়ের মানুষ শাসকগোষ্ঠীর হাজারো মারণাস্ত্রের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলবে।
তিনি আরও বলেন, সারা দেশে ইউপি নির্বাচনের নামে আওয়ামী লীগ ভোট চুরি উৎসব করে যাচ্ছে। এ চুরিতে আওয়ামী লীগকে স্থানীয় আমলা বাহিনী, পুলিশ বাহিনীরা সহযোগিতা করছে। পার্বত্য চট্টগ্রামেও সেই ভোট চুরি উৎসব করে যাচ্ছে। তিনি বলেন,গত ইউপি নির্বাচনে বান্দরবানে জাল ভোট পেপার ছাপিয়ে ব্যালট বাক্সে ঢুকিয়ে দিয়ে আওয়ামী লীগ নেতারা তাদের প্রার্থীকে জয়ী করেছে।
তিনি আরো বলেন, ভোট চুরি করার সুযোগ সৃষ্টি করতে রাঙামাটির ইউপি নির্বাচন পিছিয়ে দিয়ে ৬ষ্ঠ পর্যায়ে আনা হয়েছে। আগামী ৪ জুন আসন্ন রাঙামাটি ইউপি নির্বাচনে ভোট চুরি করা হলে রাঙামাটির মানুষ বসে থাকবে না বলেও তিনি হুশিয়ারি দেন।
সকল প্রতিকুলতা কাটিয়ে নির্বাচন কমিশন ঘোষিত রাঙামাটি পার্বত্য জেলার ১০ উপজেলার ৪৮ টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ৬ষ্ঠ ধাপে ৪জুন তারিখে অনুষ্ঠিত হবে।
এবিষয়ে সিএইচটি মিডিয়া টুয়েন্টিফোর ডটকম অনুসন্ধান কালিন দেখা যায় ৪৮ টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন সুষ্ঠ পরিবেশে করার সহযোগিতায় জেলার আইন শৃংখালা রক্ষাকারী বাহিনী ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা গুলি তৎপর হয়ে উঠেছে। স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা বিভিন্ন জায়গাতে সভা করছেন।
স্থানীয় জাতীয় রাজনৈতিক দলের নেতাদের অভিযোগ ছিল জেলায় অবৈধ অস্ত্রধারী, অপহরণ, গুম, খুন ও নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে । কিন্তু নির্বাচনের বাকি মাত্র ৫ দিন, এখনো অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করার কোন তথ্য গণমাধ্যমে দিতে পারেনি জেলার স্থানীয় আইন শৃংখালা রক্ষাকারী বাহিনী।
এবিষয়ে নির্বাচন কমিশন ঘোষিত রাঙামাটি পার্বত্য জেলার ১০ উপজেলার ৪৮ টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ৬ষ্ঠ ধাপে ৪জুন অনুষ্ঠিত হওয়ার সর্বশেষ প্রস্ততি চলছে বলে সিএইচটি মিডিয়া টুয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান রাঙামাটি জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. নাজিম উদ্দিন ।
এছাড়া রাঙামাটি জেলার এবারের ৪৮ টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে কাউখালী, কাপ্তাই, রাজস্থলী, বাঘাইছড়ি ও লংগদু উপজেলায় ক্ষমতাসীন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ (নৌকা) প্রতিক ৬ - ১২টি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ২-৪টি এবং স্বতন্ত্রসহ সহ অন্যান্য ১- ৩টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পেলেও ৪৮টির ভিতর বাদ বাকি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (পিসিজেএসএস),ইউনাইটেড পিপলস্ ডেমোক্রেটিভ ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (পিসিজেএসএস-এমএন লারমা গ্রুপ) নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে জয়ী হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।
রাঙামাটিতে জাতীয় রাজনৈতিক দল ও স্থানীয় আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল গুলির মধ্যে একে অপরের বিরুদ্ধে ইউপি নির্বাচন নিয়ে অভিযোগের তীর ছুড়েছেন বিভিন্ন সময়ে, সব অভিযোগ কাটিয়ে আগামী ৪ জুন অনুষ্ঠিতব্য ইউপি নির্বাচন কতটুকু সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ হয় তা দেখার অপেক্ষায় রয়েছেন রাঙামাটিবাসী।