মঙ্গলবার ● ৩১ মে ২০১৬
প্রথম পাতা » পাবনা » ঈশ্বরদীতে পুণঃ নির্বাচনের দাবি
ঈশ্বরদীতে পুণঃ নির্বাচনের দাবি
ঈশ্বরদী প্রতিনিধি:: (১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৩ বাংলা: বাংলাদেশ সময় বিকাল ৫.৫৫মিঃ) নাটোর-৪ আসনের এমপি অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস কর্তৃক ২৫ লাখ টাকা নিয়ে প্রশাসনকে ব্যবহার করে আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি মনোনীত নৌকা প্রতিকের নিশ্চিত বিজয়ী প্রার্থীকে পরাজিত করার প্রতিবাদে ও পুণঃ নির্বাচনের দাবিতে জনাকীর্ণ সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে৷ ৩১ মে মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় সদ্য সমাপ্ত বড়াইগ্রাম উপজেলার ৬ নং গোপালপুর ইউয়িন পরিষদ নির্বাচনের আওয়ামীলীগ প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু বক্কর সিদ্দিক নিজ বাড়িতে সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করেন৷ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য দেন আবু বক্কর সিদ্দিক৷ এছাড়াও এজেন্ট আঃ হালিমসহ অন্যান্য এজেন্ট ও কর্মীরা বক্তব্য দেন৷
লিখিত বক্তব্যে আবু বক্কর সিদ্দিক অভিযোগ করে বলেন, নাটোর-৪ আসনের এমপি অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস আওয়ামীলীগ বিরোধী প্রার্থীদের নিকট থেকে ২৫ লাখ টাকা নেন৷ সেই টাকা দিয়ে উপজেলা প্রিজাইডিং অফিসারসহ দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রশাসনের সদস্যদের কিনে নেন৷ তাদের ব্যবহার করে নির্বাচনের আগের দিন সন্ধ্যায় ২০/২৫ টি ব্যালট পেপার নিয়ে চশমা প্রতিকের বিদ্রোহী প্রার্থী আব্দুস সালাম খানকে দেন৷ রাতেই ওই প্রার্থী তাদের এজেন্টদের দিয়ে ব্যালট পেপারে সীল মারেন৷ নির্বাচন শুরুর পর থেকে নৌকা প্রতিকের এজেন্টদের প্রশাসন দিয়ে হয়রানী করা হয়৷ এ সুযোগে একজন ভোটার ১০/১২ টি করে একভাঁজে ভোট প্রদান করে৷ রাওতাসহ বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে এজেন্টদের বের করে দিয়ে ভোট গননা না করে এবং এজেন্টদের সাক্ষর না নিয়ে ব্যালট বাক্স উপজেলায় নিয়ে মনগড়া ফলাফল ঘোষনা করা হয়৷ তিনি আরো বলেন,এক কেন্দ্রে সকল চেয়ারম্যান প্রার্থীদের প্রাপ্ত ভোট সংখ্যা ছিল ১৭০০৷ অপর পক্ষে সকল মেম্বর প্রার্থীদের প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা হয় ১৫০০৷ যা কোন ভাবেই সম্ভব হতে পারেনা৷ সম্মেলনে আবু বক্কর সিদ্দিকসহ শতশত কর্মী সমর্থকরা এমপি’র ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিজ স্বার্থ হাসিলে আওয়ামীলীগকে ক্ষতিগ্রস্থ করার প্রতিবাদ,পুণঃনির্বাচন দাবি ও আওয়ামীলীগ সভানেত্রীর জোড়ালো হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়৷