শনিবার ● ৪ জুন ২০১৬
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » ৬ষ্ঠ ধাপে রাঙামাটিতে ৪৮টি ইউনিয়নে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ
৬ষ্ঠ ধাপে রাঙামাটিতে ৪৮টি ইউনিয়নে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ
ষ্টাফ রিপোর্টার :: (২১ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৩ বাংলা : বাংলাদেশ সময় রাত ১০.১০মিঃ) ৬ষ্ঠ ধাপে রাঙামাটি পার্বত্য জেলার ১০টি উপজেলায় ৪৮টি ইউনিয়নের ৪৩৯টি কেন্দ্রে কোন ধরনের সহিংস ঘটনা ছাড়াই শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহন এবং সিএইচটি মিডিয়া টুয়েন্টিফোর ডটকম এর প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্য মতে উপজেলা গুলিতে ভোট গ্রহন সুষ্ঠ ভাবে সম্পন্ন হয়েছে । ৪জুন শনিবার সকাল ৮টা থেকে ভোট গ্রহন শুরু হয়ে টানা বিকাল ৪ টা পর্যন্ত চলে। বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোটাররা সকাল থেকে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিতে দেখা গেছে। অধিকাংশ কেন্দ্রে পাহাড়ি বাঙ্গালী উভয়েরই ভোট দিতে দেখা যায়। তবে পুরুষ ভোটারের চেয়ে নারী ভোটারের উপস্থিতি বেশী লক্ষ করা গেছে । চেয়ারম্যান পদে কেবল কাউখালী উপজেলার ফটিকছড়ি ইউনিয়নে স্থানীয় আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল ইউপিডিএফ সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী ধন কুমার চাকমা বিনাপ্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিত হন।এছাড়া সাধারণ আসনে ৮১ জন এবং সংরক্ষিত আসনে ২৬ মহিলা জন বিনাপ্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিত হন।
নির্বাচন চলাকালে জেলার ৫টি ইউনিয়নের কেন্দ্রে জাল ভোট, কেন্দ্র দখল ও ভোট কারচুপির অভিযোগ এনে বিএনপি’র ৩ জন, আওয়ামীলীগের ১ জন ও ১ জন স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী তাদের নির্বাচন বর্জনের ঘোষনা দেন।
এদের ভিতর কাউকালী উপজেলায় ১নং মডেল বেতবুনিয়া ইউনিয়নের বিএনপি’র চেয়ারম্য্যান পদ প্রাথী শওকত হোসাইন, ঘাগড়া ইউনিয়নের খোরশেদ আলম ও কাপ্তাইয়ের ওয়াগ্গা ইউনিয়নের জাফর আহমেদ স্বপন। অপর দুইজন হলেন, বিলাইছড়ির কেংড়াছড়ি ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের সমর্থিত সাইদূল ইসলাম ও নানিয়ারচরের বুড়িঘাট ইউনিয়নের মিজানুর রহমান।
ইউপি নির্বাচন চলাকালে কাপ্তাই, কাউখালী, লংগদু ও বরকল উপজেলায় কয়েকটি কেন্দ্রে জাল ভোট, কেন্দ্র দখলকে কেন্দ্র করে চেয়ারম্যান পদ প্রাথীদের সমর্থকদের ভিতর ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার খবর পাওয়া গেছে । ছোট হরিণা কেন্দ্রে ২জন অাহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছে সেখানের স্থানীয় প্রতিনিধি এবং আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী। এছাড়া বড় ধরনের দুর্ঘটনার কোন খবর পাওয়া যায়নি।
শনিবার সকাল থেকে বিভিন্ন কেন্দ্রে ঘুরে দেখা গেছে ভোটারদের দীর্ঘ লাইন। বিশেষ করে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর লোকজন সকাল ৮ টা থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দেয়ার জন্য অপেক্ষায় থাকতে দেখা গেছে ।
রাঙামাটি সদর, লংগদু, কাপ্তাই ,কাউখালীসহ বিভিন্ন উপজেলায় ৩০জন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট,১০জন জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেটসহ, ষ্টাকিং ফোর্স হিসাবে র্যাব,বিজিবি,পুলিশসহ অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনীর উপস্থিতি ছিলো লক্ষনীয়।
জেলার ৪৮টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে স্থানীয় আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন ৮২, আওয়ামী লীগ ৪১, বিএনপি ২০, জাতীয় পার্টি ৪জন ও ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের ২ জন।
জেলা নির্বাচন অফিসার মুহাম্মদ নাজিম উদ্দীন জানান, এবারের ইউপি নির্বাচনে দুগর্ম এলাকায় নির্বাচনী কাজে যাতায়াতের জন্য মোট ৫৩টি কেন্দ্রে হেলিকপ্টার ব্যবহার হয়েছে। এ হেলিকপ্টারের করে সকালে নির্বাচনী সরঞ্জামসহ কর্মকর্তাদের পৌছে দেয়া হয় বিকাল ৪টার পর হেলিকপ্টারে করে সীলগালা করা ব্যালেট বক্সসহ কর্মকর্তাদের আবার উপজেলা সদরে ফেরৎ আনা হয়।
জেলার ৪৮ ইউনিয়নে এবার মোট ভোটার রয়েছেন ৩ লাখ ২৩ হাজার ৮৭০জন। পুরুষ ১ লাখ ৭০ হাজার ২৬৭ এবং মহিলা ১ লাখ ৫৩ হাজার ৬০৩ জন বলে তথ্যটি নিশ্চিত করে রাঙামাটি জেলা নির্বাচন অফিস।