রবিবার ● ৫ জুন ২০১৬
প্রথম পাতা » ঢাকা » জাতীয় মুফাসসির পরিষদের স্মরণ সভা
জাতীয় মুফাসসির পরিষদের স্মরণ সভা
মুহাম্মদ আবদুল কাহহার, ঢাকা প্রতিনিধি :: (২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৩ বাংলা : বাংলাদেশ সময় রাত ১০.২০মিঃ) বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আল-হাদিস এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক, প্রফেসর ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর ছিলেন একজন ব্যতিক্রমী খ্যাতিমান আলেমে দ্বীন ৷ তিনি বড় মাপের একজন জ্ঞানী হওয়া সত্ত্বেও কখনই অহংকার আসতে পারে এমন কোন কথা বলতে ও কাজ করতে আমরা দেখিনি ৷ কঠিন ও জটিল মাসয়ালাকে সহজভাবে উপস্থাপন করতে পারতেন ৷ এককথায় তিনি ছিলেন নির্মল হদয়ের একজন মানুষ ৷ পরকালের কাজকে অগ্রাধিকার দিতেন এবং তা নিয়েই ব্যস্ত থাকতেন ৷ স্মরণ সভায় আগত বক্তারা স্যারকে নিয়ে এভাবেই কথা বলেছিলেন৷
৪জুন শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বিজয়নগরের এক অডিটরিয়ামে বাংলাদেশ জাতীয় মুফাসসির পরিষদ ঢাকা মহানগরী এ স্মরণ সভার আয়োজন করে ৷ বিশিষ্ট মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও শরীফবাগ কামিল মাদরাসার মুহাদ্দিস মাওলানা মাহমুদুল হাসান এর সঞ্চালনায়, মুফাসসির পরিষদের সভাপতি মুহাদ্দিস আমিরুল ইসলাম বিলালীর সভাপতিত্বে স্মরণ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক নয়া দিগন্ত সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিন ৷
বিশেষ অতিথি ছিলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর গবেষক ও আলেমে দ্বীন ইসলামী বিশ্ব বিদ্যালয়’র আল কোরআন অ্যান্ড স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. হাফেজ এ বি এম হিযবুল্লাহ ৷ অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সরকারি মাদরাসা-ই-আলিয়ার সাবেক প্রিন্সিপাল প্রফেসর ইসলাম গণী, বাংলাদেশ মসজিদ মিশনের সেক্রেটারী জেনারেল ড. খলিলুর রহমান মাদানী, প্রফেসর ড. আ ব ম সিদ্দিকুর রহমান আশরাফী, ছারছিনা দরবারের ছোট পীর শাহ মোহাম্মদ আরিফ বিল্লাহ সিদ্দিকী, মুফতি মোহাম্মদ যাকারিয়া, মোহাম্মদ ইমদাদ হোসাইন, মাওলানা নাজিম উদ্দীন, মরহুমের জামাতা ড. খোন্দকার হাবিবুল্লাহ, মাওলানা আবুল কালাম আজাদ আযহারী, সভার শুরুতে পবিত্র কুরআন তিলাওয়াত করেন মাওলানা আবুল কালাম আজাদ আল-আযহারী, মাওলানা ইবরাহিম খলীল প্রমুখ ৷
প্রধান অতিথি নয়া দিগন্ত সম্পাদক তার বক্তব্যে বলেন, মরহুম প্রফেসর ড. আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর ইসলামকে বর্তমান যুগের আঙ্গিকে উপস্থাপন করেছেন ৷ সমাজে আলেমগণই মানুষকে সত্য বলা শেখায় ৷ ধর্ম মানুষকে নৈতিক শিক্ষা দেয় ৷ তিনি আরো বলেন, মরহুমের কর্ম ও আদর্শই তাকে যুগ যুগ বাঁচিয়ে রাখবে ৷ স্মরণ সভায় অন্যান্য বক্তারা বলেন, শিরক ও বিদআতমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠায় তাঁর অবদান মুসলিম মিল্লাত অনাগতকাল স্মরণ রাখবে ৷ প্রত্যেকের ঈমানকে বিশুদ্ধ করতে তার লেখা বইগুলো সংগ্রহ করে তা ব্যক্তি জীবনে আমলের পাশাপাশি তার লেখনি ও চিন্তাধারাকে এগিয়ে নিতে আহবান জানানো হয় ৷ শ্রদ্ধেয় স্যার জ্ঞানের এক উচ্চতায় অবস্থান করলেও তিনি ছিলেন বিনয়ী, পরোপকারী এবং ইসলামের বিশুদ্ধ খাদেম ৷ পরিশেষে দুয়া-মুনাজাতের মাধ্যমে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করা্ হয় ৷