সোমবার ● ৬ জুন ২০১৬
প্রথম পাতা » অপরাধ » বিশ্বনাথে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৫
বিশ্বনাথে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৫
বিশ্বনাথ ( সিলেট ) প্রতিনিধি :: সিলেটের বিশ্বনাথে উপজেলা সদরের নতুন বাজারে তুলার (ইজারার) টাকা উত্তোলনকে কেন্দ্র করে ৫ জুন রবিবার রাত ৯টায় দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘঠেছে ৷ বিশ্বনাথ বাজারের ইজারাদার সুন্দর আলী গং ও নতুন বাজার ক্ষুদ্র সবজি ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আইয়ুব আলী গংদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে৷ এতে পথচারীসহ উভয় পক্ষের প্রায় ৫ জন আহত হয়েছেন ৷ আহতরা হলেন সুন্দর আলী, আজব আলী, সেলিম আহমদ, জয়নাল আবেদীন, পথচারী মুসলিম আলী৷ এলাকার মুরব্বী ও বণিক সমিতির হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে৷
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে ইজারাদারদেরকে তুলার টাকা হিসেবে নতুন বাজারের ক্ষুদ্র সবজি ব্যবসায়ীরা জনপ্রতি ৫ টাকা করে দিয়ে আসছিলেন৷ সম্প্রতি বাজারের ইজারাদাররা তুলার টাকা ৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০ টাকা করেছেন৷ রোববার রাতে তুলার টাকা বৃদ্ধি নিয়ে বাজারের ইজারাদার সুন্দর আলী ও নতুন বাজার ক্ষুদ্র সবজি ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আইয়ুব আলীর মধ্যে বাগবিতন্ডা হয়৷ বাগবিতন্ডার জের ধরে দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে৷
বিশ্বনাথ নতুন বাজার ক্ষুদ্র সবজি ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আইয়ুব আলী বলেন, বাজারের ইজারাদার কর্তৃক তুলার (ইজারা) টাকা অতিরিক্ত হারে (৫ টাকা থেকে ১০ টাকা) বৃদ্ধির প্রতিবাদ করি আমরা (সবজি সমিতি)৷ এরই জের ধরে তারা (সুন্দর গং) আমাদের উপর হামলা করেছে৷
বিশ্বনাথ নতুন বাজার বণিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি শামীম আহমদ বলেন, আজ সকালে উপজেলার ৫২ মৌজার মুরব্বীদের উপস্থিতিতে বাজারে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে৷ সেই সভায় আমি (শামীম) ইজারাদার সুন্দর আলীর পিতা ও বনিক সমিতির সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব মবশ্বির আলীর কাজে থাকা সমিতির ফান্ডের ৩ লাখ টাকা ও নতুন বাজার মাছহাটার নিচে ও পার্শে স্থাপিত ১২টি দোকান কোঠার প্রতিটি থেকে ৫ লাখ টাকা করে উত্তোলন করা ৬০ লাখ টাকা’সহ মোট ৬৩ লাখ টাকার হিসাব বুঝে পাইনি বলে উত্তাপন করি৷ সেই সাথে এলাকার মুরব্বীদের কাছে বিচার প্রার্থী হই এই টাকাগুলোর ব্যাপারে৷ আর এরই জের ধরে সবজি বাজারকে কেন্দ্র করে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে৷
বাজারের তুলার টাকা বৃদ্ধি করা হয়নি দাবি করে বিশ্বনাথ বাজারের ইজারাদার সুন্দর আলী বলেন, প্রায় ৩ বছর ধরে তুলার টাকা হিসেবে সবজি বাজারের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে জনপ্রতি ১০ টাকা করে উত্তোলন করা হচ্ছে৷ আমার পিতার উপর মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্যোশ্য প্রনোদিতভাবে অভিযোগ উত্তাপন করা হয়েছে৷ সমিতির বা দোকান বিক্রির কোন টাকা আমার পিতার কাছে নেই৷ এমনকি আমার পিতা মসজিদ কমিটিরও কোন দায়িত্বশীল ব্যক্তি ছিলেন না কিংবা এখনও নেই৷ বাজারের তুলা টাকায় জোরপূর্বকভাবে ‘আইয়ুব আলী ও শামীম আহমদ’ ভাগ দাবি করে আসছে৷ আমরা এর প্রতিবাদ করায় তারা আমাদের উপর হামলা করেছে৷