বুধবার ● ৮ জুন ২০১৬
প্রথম পাতা » অপরাধ » নিহত পুরোহিতের বাড়িতে ভারতীয় দুতাবাসের দুই কর্মকর্তা
নিহত পুরোহিতের বাড়িতে ভারতীয় দুতাবাসের দুই কর্মকর্তা
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: (২৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৩ বাংলা : বাংলাদেশ সময় রাত ৮.৫০মিঃ) ঝিনাইদহ সদর উপজেলার করাতিপাড়া গ্রামে মঙ্গলবার দুর্বৃত্তদের হাতে খুন হওয়া পুরোহিত আনন্দ গোপাল গাঙ্গুলী ওরফে নন্দের বাড়িতে ভারতীয় দুতাবাসের দুই কর্মকর্তা পরিদর্শন করেন৷
বুধবার বেলা ১১টার সময় ভারতীয় দুতাবাসের ফাস্ট সেক্রেটারি (রাজনৈতিক) রাজেশ উকাইয়া ও কনসুলার রমা কান্ত গুপ্ত আনন্দ গোপালের শোক সন্তপ্ত পরিবারকে সমবেদনা জানান৷
এ সময় ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার আলতাফ হোসেন, হিন্দু বৈদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি জয়ন্ত সেন দিপু, কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্মল চ্যাটাজি, ঝিনাইদহ হিন্দু বৈদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুবির কুমার সমাদ্দার ও পূজা উদযাপন পরিষদের কেন্দ্রেীয় নেতা কনক কান্তি দাশ উপস্থিত ছিলেন৷
ভারতীয় দুতাবাসের দুই কর্মকর্তাকে কাছে পেয়ে নিহত আনন্দ গোপালের স্ত্রী শেফালী গাঙ্গুলী, ছেলে অরুন গাঙ্গুলী, সিন্ধু গাঙ্গুলী, মেয়ে রিনা গাঙ্গুলী, মিনা গাঙ্গুলী ও আর্চনা গাঙ্গুলীসহ পরিবারের সদস্যরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন৷
দুতাবাসের ফাস্ট সেক্রেটারি (রাজনৈতিক) রাজেশ উকাইয়া ও কনসুলার রমা কান্ত গুপ্ত তাদের ধৈযর্্য ধরার পরামর্শ দেন৷ এ সময় ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার আলতাফ হোসেন জানান, এ হত্যাকান্ডের সঠিক কারণ খোজা হচ্ছে৷ তিনি জানান এ ঘটনার সাথে আইএস এর কোন যোগসুত্র নেই৷ বাংলাদেশে আতংক ছড়াতেই আইএস এর নামে বিবৃতি দেওয়া হচ্ছে৷ তিনি পুলিশের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহায়তার আশ্বাস দিয়ে বলেন, দুর্বৃত্তদের গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান পরিচালিত হচ্ছে৷
হিন্দু বৈদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি জয়ন্ত সেন দিপু, বলেন পুরোহিত হত্যার বিচার না পেলে আমরা কেন্দ্রীয় ভাবে বৃহত্ আন্দোলনের ডাক দেব৷ এদিকে পুরোহিত আনন্দ গোপাল হত্যার ২৭ ঘন্টা পার হলেও পুলিশ এখনো কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি৷ এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ সদর থানায় নিহতর ছেলে অরুন গাঙ্গুলী বাদী হয়ে একটি মামলা (মামলা নং ১০) করেছেন৷ পুলিশ মামলা ও তদন্ত সম্পর্কে বিস্তারিত কিছুই জানাতে পারছে না৷ জেলার পুলিশ কর্মকর্তারা দফায় দফায় বৈঠক করে হত্যাকারীদের সনাক্ত ও গ্রেফতার করতে কৌশল ঠিক করছেন বলে জানা গেছে৷
ভারতীয় দুতাবাসের দুই কর্মকর্তা নিহতের বাড়িতে থেকে ঝিনাইদহ পুলিশ সুপারের অফিসে যান এবং সেখানে পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হন৷ উল্লেখ্য গত মঙ্গলবার ঝিনাইদহ সদরের সোনাইখালী গ্রামের মহিষের ভাগাড় নামক স্থানে পুরোহিত আনন্দ গোপাল গাঙ্গুলী নন্দ (৭০) কে জবাই করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা৷ নলডাঙ্গা সিদ্ধেশ্বরী মন্দিরের পুরোহিত আনন্দ গোপাল একই উপজেলার করাতিপাড়া গ্রামের মৃত সত্য গোপাল গাঙ্গুলীর ছেলে৷
হত্যাকান্ড ঘটানোর কিছুক্ষন পরেই হিন্দু পুরোহিত হত্যার দায় স্বীকার করে জঙ্গি সংগঠন আইএস বিবৃতি দেয়৷ মঙ্গলকার ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে আসা খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি এসএম মনিরুজ্জামান সাংবাদিকদের জানান, এ ঘটনার সাথে নিঃসন্দেহে জঙ্গী সংগঠন জড়িত ৷