বৃহস্পতিবার ● ৯ জুন ২০১৬
প্রথম পাতা » অপরাধ » গাজীপুরে স্কুল ছাত্র হত্যার দায়ে তিনজনের ফাঁসি
গাজীপুরে স্কুল ছাত্র হত্যার দায়ে তিনজনের ফাঁসি
গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি :: (২৬জৈষ্ঠ ১৪২৩ বাংলা: বাংলাদেশ সময় রাত ১১.০২ মি:) গাজীপুরে প্রায় বিশ বছর আগে স্কুল ছাত্র অপহরণের পর হত্যার দায়ে তিনজনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত৷
৯ জুন বৃহস্পতিবার দুপুরে গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মোঃ ফজলে এলাহী ভূইয়া জনাকীর্ন আদালতে এ আদেশ দেন৷
ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার সালদৈ এলাকার আব্দুল হাই এর ছেলে আতাউর রহমান ওরফে আতা, একই এলাকার হাসিম উদ্দিনের ছেলে আলম হোসেন ও কফিল উদ্দিনের ছেলে মোঃ ইউসুফ (পলাতক)৷
গাজীপুর জজ কোর্টের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এডভোকেট মোঃ মকবুল হোসেন জানান, গত ১৯৯৬ সালের ৫ সেপ্টেম্বর কাপাসিয়ার সালদৈ এলাকার মোঃ আব্দুল বাতেন বেপারীর ছেলে স্কুল ছাত্র মোঃ গিয়াস উদ্দিনকে (১৫) উক্ত আসামিরা অপরহণ করে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে৷ এ ঘটনায় নিহতের বাবা আব্দুল বাতেন বেপারী বাদী হয়ে কাপাসিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন৷
এদিকে দাবিকৃত মুক্তিপণ না পেয়ে আসামিরা গিয়াস উদ্দিনকে মেরে গুম করে রাখে৷ পরে পুলিশ মামলার এজাহারভূক্ত আসামি ইউসুফকে গ্রেফতার করা হলে তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক তিন মাস পর কাপাসিয়ার মাধুলি বিল থেকে গিয়াস উদ্দিনের বস্তা বন্দী কংকাল উদ্ধার করা হয়৷
দীর্ঘ শুনানীর পর ২০ জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত ওই তিন আসামির প্রত্যেককে পেনাল কোডের ৩০২ ধারায় ফাঁসি ও ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়৷ এছাড়া ৩৮৭ ধারায় যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা, ৩৬৫ ধারায় ৭ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা এবং ২০১ ধারায় ৩ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও তিন হাজার টাকা করে জরিমানার আদেশ দেন৷
এ মামলায় অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় একই এলাকার জজ মিয়া ও তার স্ত্রী সমেজা খাতুন ওরফে বিলকিসকে খালাস প্রদান করা হয়৷
গাজীপুর আদালত পুলিশের পরিদর্শক মোঃ রবিউল ইসলাম জানান, রায় ঘোষণার সময় আতাউর ও আলম কাঠগড়ায় উপস্থিত থাকলেও ইউসুফ পলাতক৷
অপরাধে সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত না হওয়ায় এ মামলার অপর আসামি জজ মিয়া ও তার স্ত্রী সমেজা খাতুন বিলকিসকে আদালত খালাস দিয়েছে বলে জানান রবিউল৷
রাষ্ট্র পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এডভোকেট মোঃ মকবুল হোসেন৷ আসামি পক্ষে ছিলেন এডভোকেট সুষমা রাণী মন্ডল৷
রায় ঘোষণার পর আসামীদের স্বজনরা আদালত প্রাঙ্গণে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন৷