বৃহস্পতিবার ● ৯ জুন ২০১৬
প্রথম পাতা » অপরাধ » শত কোটি টাকা আত্মসাতকারী রবিউল দুইদিনের রিমান্ডে
শত কোটি টাকা আত্মসাতকারী রবিউল দুইদিনের রিমান্ডে
সোহেল রানা, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি:: (২৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৩ বাংলা: বাংলাদেশ সময় রাত ১১.২৬মি:) যমুনা নদী বেষ্টিত দুর্গম চরাঞ্চল সিরাজগঞ্জের কাজিপুরের নাটুয়ারপাড়ায় পলস্নবী হাইজিং-মাল্টিপারপাস কোম্পানীসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে দ্বিগুন মুনাফা ও পস্নট দেবার নাম করে দরিদ্র গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রায় অর্ধশত কোটি টাকা আত্মসাতকারী প্র্রতিষ্ঠানের কর্ণধার রবিউল আলমের দুই রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত৷ ৯ জুন বৃহষ্পতিবার দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট শরীফুল ইসলাম শুনানী শেষে এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন৷ এর আগে শনিবার বিকেলে স্থানীয় জনতা নাটুয়ারপাড়া থেকে রবিউলকে আটকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেন৷
কাজিপুর থানার উপ-পরিদর্শক কামাল উদ্দিন জানান, আগামী দুএকদিনের মধ্যেই তাকে রিমান্ড নেয়া হবে৷
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে সমবায় সমিতির একটি রেজিষ্ট্রি নেয় প্রতারক রবিউল আলম ও তার সহযোগী আবুল কালাম আজাদ৷ পরবর্তীতে একতা কর্মসংস্থান মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড নাম ব্যবহার করে শুরু করে তাদের অবৈধ ব্যাংকিং কার্যক্রম৷ লোভনীয় বেতন ও কমিশনের প্রলোভন দেখিয়ে প্রথমে এলাকার ৮০জন এজেন্ট নিয়োগ করে৷ এসকল এজেন্টরা কৌশলে এলাকার বিধবা, অসহায়, দরিদ্রদের দ্বিগুন লাভে ডিপিএস ও ডিপোজিট করতে উদ্বুদ্ধ করে৷ গ্রামের দরিদ্র মানুষ দ্বিগুন লাভের আশায় ২০ হাজার থেকে ৮ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ডিপিএস করতে থাকে৷ অল্পদিনেই অধিক টাকা সংগ্রহ করে প্রতারক চক্র অসহায়-মানুষদের মনে বিশ্বাস জন্মানোর জন্য ২০১৩ সালে নর্থ বেঙ্গল ইউনাইটেড এগ্রো এন্ড ডেইরী লিমিটেড, নর্থবেঙ্গল ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল, নর্থবেঙ্গল পার্সেল নামে তিন-চারটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলে৷ এ সকল প্রতিষ্ঠানের শেয়ার বিক্রির নামে দরিদ্রদের কাছ থেকে আরো টাকা হাতিয়ে নেয়৷ এরই এক পর্যায়ে নদীভাঙ্গা মানুষগুলো আশ্রয়স্থল গড়ে দেবার জন্য পলস্নবী হাউসিং নামে আরো একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে নতুন করে ফাঁদ পাতে৷ নগদ ১লক্ষ ২০ হাজার টাকা প্রদান করলে বগুড়ার শেরপুরে ২ শতাংশ জমি দেয়া হবে বলে ঘোষনা দেয়া হয়৷ নানা ধরনের চটকধারী অফারের ফাঁদে পড়ে নদীভাঙ্গা অসহায় মানুষগুলো, জমিজমা, গবাদি পশু, ধানপাটসহ অন্যান্য জিনিসপত্র বিক্রি করে নগদ দিয়ে দিয়ে চক্রের এ ফাঁদে পা দেয়৷ স্ট্যাম্প স্বাক্ষর দিয়ে প্রতারক চক্র টাকা জমা নেয়৷ পরে স্থানীয়রা বগুড়ার শেরপুরে গিয়ে জানতে পারে জমিজমার সবকিছুই ভুয়া৷ এক পর্যায়ে গ্রাহক টাকার চাপ দিলে প্রতিষ্ঠানে তালা ঝুলিয়ে পালিয়ে যায়৷ সম্প্রতি এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদনও গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়৷