শনিবার ● ১১ জুন ২০১৬
প্রথম পাতা » অপরাধ » পুলিশে চাকুরী দেওয়া কথা বলে ৬ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
পুলিশে চাকুরী দেওয়া কথা বলে ৬ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
বিশ্বনাথ ( সিলেট ) প্রতিনিধি :: (২৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৩ বাংলা : বাংলাদেশ সময় রাত ৮.৩৯মিঃ) বিশ্বনাথে পুলিশে চাকুরী দেওয়ার কথা বলে ৬ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে৷ এঘটনায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দিলেও প্রায় এক মাসেও মামলা নেয়নি পুলিশ৷
জানা গেছে, বিশ্বনাথ উপজেলার খাজাঞ্চী ইউনিয়নের মুফতিরবাজারের পল্লী চিকিৎসক ও ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা থানার হামির্দি পুর্বপাড়া গ্রামের মো. কামরুজ্জামানের ভাগ্নেকে পুলিশে চাকুরী দেওয়ার কথা বলে বিশ্বনাথ উপজেলার খাজাঞ্চী ইউনিয়নের তবলপুর গ্রামের ছুনু মিয়ার পুত্র রইছ আলী ৬ লাখ টাকা নেন৷ ২০১৫ সালের ২০ নভেম্বর স্ট্যাম্পের মাধ্যমে এই টাকা গ্রহন করেন রইছ আলী৷ ঐ চুক্তিনামায় স্বাক্ষী হিসেবে রয়েছেন তবলপুর গ্রামের মুক্তিযুদ্ধা ছৈইফ উল্লাহ, মুক্তিযুদ্ধা আলকাছ আলীসহ অনেকেই৷ চুক্তিনামা অনুযায়ী পুলিশে চাকুরী দিতে ব্যর্থ হওয়ায় রইছ আলী গত ১২ এপ্রিল ৬ লাখ টাকার মধ্যে ২লাখ ৪০ হাজার টাকা ফেরত দেন এবং বাকী টাকা ফেরত দিতে এক সপ্তাহের সময় চেয়ে নেন৷ কামরুজ্জামান পরবর্তীতে রইছ আলীর কাছে টাকা চাইলে সে উত্তিজিত হয়ে অশ্লীল ভাষায় গালি গালাজ করে৷ এবিষয়ে গত ১১ মে রইছ আলীকে অভিযুক্ত করে বিশ্বনাথ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন কামরুজ্জামান৷ থানা পুলিশ অভিযোগটি আমলে না নেওয়ায় পুলিশের সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি মিজানুর রহমানের স্বরনাপন্ন হন কামরজ্জামান৷ তখন বিশ্বনাথ থানা পুলিশকে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য লিখিতভাবে নির্দেশ প্রদান করেন ডিআইজি৷ এরপর প্রায় ১মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো অভিযোগটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করেনি পুলিশ এমন অভিযোগ করেছেন কামরুজ্জামান৷ এদিকে বাদি কামরুজ্জামান পুলিশের স্বরনাপন্ন হওয়ায় তাকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছেন অভিযুক্ত রইছ আলী৷ যার কারনে গত ৫ জুন বিশ্বনাথ থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করেছেন কামরুজ্জামান৷ ডায়েরী নং ১৭২৷