রবিবার ● ১২ জুন ২০১৬
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম নিয়ে রিটকারীদের বিরুদ্ধে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের মামলা
রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম নিয়ে রিটকারীদের বিরুদ্ধে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের মামলা
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি :: বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, নতুন দিগন্ত পত্রিকার সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে ইসলাম ধর্ম অবমাননার অভিযোগে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে মামলা হয়েছে।বাংলাদেশ ফেৎনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মুফতি মাসুম বিল্লাহ বাদী হয়ে ১২ জুন রবিবার এমামলা করেন।
রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের বিরুদ্ধে রিটকারী ১৫ জনের বেশীরভাগ মারা যাওয়ায় জীবিতদের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করা হয়। মামলার অপর ৫ আসামি হলো, হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি সিআর দত্ত, মাসিক সংস্কৃতির সম্পাদক বদরুদ্দিন ওমর, আইনজীবী সুব্রত চৌধুরী এবং সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব বোরহান উদ্দিন খান জাহাঙ্গীর।
বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ২৯৫ (ক) ধারায় প্রতিহিংসাবশত ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসীদের ধর্মে অবমাননা করা এবং ২৯৮ ধারার ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসীদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে আসামিদের বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়েছে।
মামলায় বলা হয়, ১৯৮৮ সালে সংবিধানে ‘প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’সংযোজন হয়। সেখানে ‘অন্যান্য ধর্মও প্রজাতন্ত্রে শান্তিতে পালন করা যাবে’মর্মে বিধান রাখা হয়। রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে পবিত্র কুরআন, গীতা, ত্রিপটক পাঠের মাধ্যমে সংবিধানের এই অনুচ্ছেদের বাস্তবায়ন ঘটছে।
মাসুম বিল্লাহ তার আর্জিতে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের তৎপরতা তুলে ধরে বলেছেন, “বাংলাদেশে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ গঠিত হয়েছে। তারা তাদের ধর্মীয় স্বার্থ রক্ষার জন্য সচেষ্ট। যদিও এদের মধ্যে কোনো ধর্মীয় ঐক্য নেই; সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানদের ধর্মের বিরোধিতা করা তাদের একমাত্র কাজ। বাংলাদেশে হিন্দু কল্যাণ ট্রাষ্ট রয়েছে। যার মাধ্যমে হিন্দুদের বিভিন্নমূখী কল্যাণকর কাজ রাষ্ট্রীয় টাকায় সম্পন্ন হয় এবং দুর্গাপূজার মন্ডপ হলেই ১টন টিআর দেওয়া হয়। অথচ নিঃস্ব মুসলমানদের ঈদ উপলক্ষ্যে ১টি টাকা কিংবা কিংবা আধা কেজি সেমাই অথবা ১ কেজি চিনি দেওয়া হয় না। যারা এত সুবিধাভোগী তারা কি কারণে রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের বিরোধীতা করে তা বোধগম্য নয়।”
আরো বলা হয়, প্রজাতন্ত্রে সকল ধর্ম স্বাধীনভাবে ধর্ম পালন করার পরও তা সংবিধান থেকে বাদ দেওয়ার জন্য ১৯৮৮ সালে ১৪৩৪ /৯৮ নম্বর রিট আবেদন হয়। যা পরবর্তীতে খারিজ হয়। কিন্তু আসামিরা ২০১১ সালের ৫ ডিসেম্বর খারিজ হওয়া ওই রিটের পক্ষে পক্ষভুক্ত হন এবং হাইকোর্ট রুল জারি করেন। পরবর্তীতে তাও খারিজ করে হাইকোর্ট।
“রিট আবেদনকারীরা একটি ধর্মহীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চায় এবং বুঝে শুনে ইসলাম ধর্মের সমুন্নতাকে খর্ব করার অসৎ উদ্দেশ্যে বাংলাদেশের সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাদ দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করে।
“এ উদ্যোগ বাস্তবায়নের জন্য তারা হাই কোর্টে রিট আবেদন করে সম্পূরক রুল জারি করিয়ে সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীসহ আসামিরা সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাদ দেওয়ার জন্য রিটে পক্ষভুক্ত হয়ে প্রতিহিংশাবশত ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসীদের ধর্ম অবমাননা বাংলাদেশের ১৪ কোটি মুসলমানসহ বিশ্বের ১০০ কোটি মুসলমানের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছে।আসামীদের কৃত ২৯৮ক/২৯৮ ধারার অপরাধ জঘন্য অপরাধ।”