মঙ্গলবার ● ১৪ জুন ২০১৬
প্রথম পাতা » অপরাধ » ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে প্রার্থী হওয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে মামলা
ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে প্রার্থী হওয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে মামলা
সোহেল রানা, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি :: (৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৩ বাংলা : বাংলাদেশ সময় রাত ৮.৪৭মিঃ) সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার নওগাঁ ইউনিয়নে বিএনপি মনোনীত নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান এস এম আমিরুল ইসলাম গ্রহ’র (ধানের শীষ) প্রার্থী হওয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে মামলা দায়ের করা হয়েছে৷ সোমবার নির্বাচন ট্রাইব্যুনালে (নির্বাচন ট্রাইব্যুনাল মামলা নং-১৪/১৬) সিরাজগঞ্জে স্বতন্ত্র প্রার্থী মিজানুর রহমান মজনু (আনারস) বাদী হয়ে মামলাটি করেন৷ মামলায় জেলা নির্বাচন অফিসার সিরাজগঞ্জ, রিটার্নিং অফিসার তাড়াশ ও চেয়ারম্যান এস এম আমিরুল ইসলাম গ্রহসহ ২৭ জনকে বিবাদী করা হয়েছে৷
মামলায় অভিযোগ করা হয়-এস এম আমিরুল ইসলাম গ্রহ তার নিজগ্রাম কালুপাড়ায় হাসনা হ্যাচারী এন্ড ফিশারিজ লিমিটেড নামে একটি যৌথ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অনুকুলে ভূয়া প্রকল্প দেখিয়ে ২০০৪ সালে বাংলাদেশ ব্যাংক ই.ই.এফ ইউনিট থেকে ১ কোটি ৯৯ লাখ ৯০ হাজার টাকা ঋনের আবেদন করে৷ পরে ঋণের ১কোটি টাকা উত্তোলন করে প্রদর্শিত প্রকল্পে ব্যয় না করে আত্মস্যাত্ করেন৷ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ সরেজমিনে তদন্তে তার প্রকল্পের অস্তিত্ব না পেয়ে তাকে ঋণ খেলাপি হিসাবে গন্য করে একাধিকবার অর্থ ফেরত প্রদানের জন্য তাগাদা দেন৷ সর্বশেষ কর্তৃপক্ষ গত ২০০৭ সালের ২০ আগষ্ট তাকে ১৫ দিনের মধ্যে অর্থ ফেরতের নির্দেশ দিলেও তিনি তা প্রদান করেননি৷ এমতবস্থায় গত ২৩ এপ্রিল তাড়াশে অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে ৫নং নওগাঁ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন প্রতিদ্বন্ধিতার জন্য তিনি মনোনয়ন পত্র জমা দেন৷ অপর প্রতিদ্বন্দী প্রার্থীরা এস এম আমিরুলল ইসলাম গ্রহ’র প্রার্থীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ঋণ খেলাপির প্রামান্য কাগজপত্রসহ রিটানিং অফিসার বরাবরে অভিযোগ করেন৷ এরপরও তার মনোনয়নের বৈধতা দিয়ে তাকে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়৷
অভিযোগের আর উল্লেখ করা হয় আমিরুল ইসলাম গ্রহ নির্বাচনে তার নিজ এলাকার ১টি ভোটকেন্দ্র দখল করে ব্যাপকভাবে ভোট কারচুপি করে মাত্র ২১৪ ভোটের ব্যবধানে বাদীকে পরাজিত করে অবৈধভাবে নির্বাচিত হয়েছে৷
তাড়াশ উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসার ও রির্টানিং অফিসার মোহাম্মাদ আবু হানিফ বলেন, যেহেতু মামলা হয়েছে, আদালত যা করবেন সেটাই হবে৷
জেলা নির্বাচন অফিসার আব্দুর রহিম জানান, প্রার্থী ট্রাইবুনালে মামলা করতেই পারে৷ তবে নির্বাচনে নীতিমালায় নির্বাচন অফিসারকে বিবাদী করার সুযোগ নেই৷ যদি করে থাকে সেটি আদালত দেখবেন৷