বুধবার ● ১৫ জুন ২০১৬
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » কাউখালীতে এখনো জমে উঠেনি ঈদের বাজার
কাউখালীতে এখনো জমে উঠেনি ঈদের বাজার
মোঃ ওমর ফারুক, কাউখালী :: (১আষাঢ় ১৪২৩ বাংলা : বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭.৪৮মিঃ) ঈদ মানে অনন্দ, ঈদ মানেই খুশি, ঈদ মুসলমানের একটি ধর্মীয় গুরুত্বপুর্ন সামাজিক উত্সব ৷ প্রতি বছর রমজান আসে মুসলমানদের আনন্দের বার্তা নিয়ে রমজান শেষে আনন্দে মেতে উঠেন মুসলমান পরিবারের সদস্যরা ৷ পুরো এক মাস সিয়াম সাধনার পরেই তবে ঈদের আনন্দ ৷ প্রতিটি রমজান শেষেই অপেক্ষা করতে থাকেন মুসলিম পরিবারের সদস্য ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা ঈদের জন্য নতুন নতুন জামা কাপড় কিনার জন্য ৷ কিন্তু রাঙামাটি জেলার কাউখালী উপজেলায় এখনো জমে উঠতে শুরু করেনি ঈদের বাজার ৷
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, কাউখালী উপজেলার তবুনিয়া, ঘাগড়া, কাশখালী, রাঙীপাড়া, নাইল্যাছড়ি ,ঘিলাছড়ি, পোয়াপাড়া, কাউখালী সদর এসব এলাকায় দোকান পাটে তেমন কোন গ্রাহক নাই ৷
দোকানীরা বসে বসে অলস সময় পার করছেন ৷ মেতে আছেন খোঁশ গল্পে আর আড্ডাঁয় ৷ ঈদের জন্য তুলেছেন বিভিন্ন নামীদামি কাপড়, থ্রি পিস, ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের জামা কাপড় সহ বিভিন্ন ঈদের প্রয়োজনীও বিভিন্ন সামগ্রীসহ প্রয়োজনীও দ্রব্য ৷
বেতবুনিয়া বাজারের ক্ষুদ্র ব্যাসায়ী বিমল এই প্রতিবেদককে প্রতিবছরের মতো আমরা এবারও ব্যাবসায়ীক লাভের আশায় অনেক নতুন নতুন কাপড় তুলেছি কিন্তু এখন পর্যন্ত গ্রাহকের তেমন সাড়া পাচ্ছিনা ৷ ঘাগড়া বাজারের কসমেটিক ব্যাবসায়ী কামাল বলেন রমজান আসছে সে উপলক্ষে দোকানে অনেক ধরনের কসমেটিকস তুলেছি কিন্তু রমজান চলে যাচ্ছে কিন্তু এখনো তেমন কোন বেচা কেনা হচ্ছেনা ৷ কচুঁখালী পাড়ার উপজাতীয় ব্যবসায়ী তরুন চাকমা বলেন অন্য কথা (কি খবং দা এৰন মুই এৰা ভিতরের চাবত আগং) কি বলব ভাই আমরা এখন ব্যাবসায়ীরা এখন খুব ভিতরের চাপের মুখে আছি ৷ উপজেলা সদরের ব্যাবসসায়ী আশরাফ বলেন, এবার রোজায় মনে করেছিলাম গত বছরের ছেয়ে এবার ভাল বেচাকেনা হবে কিন্তু এখন দেখি অবস্থা তেমন ভাল নয় ৷ তবে রমজানের ১৫ থেকে হয়তো একটু বেঁচাকেনা ভাল হতে পারে ৷ তা ছাড়াও এবার এলাকায় লোকজনের হাতে টাকা পয়সা তেমন নাই ৷ কারন আগের মতো এলাকায় তেমন ব্যাবসা বানিজ্য নাই ৷
অন্যদিকে ঘিলাছড়ির আতর আলরী ভিন্ন কথা আমরা যারা পাহড়ের ভিতর থাকি তাদের খোজ খবর ক্উেই রাখেনা কি আমাদের ঈদ কিসের আবার আনন্দ ৷ পাহাড় হতে সামান্য বাঁশ, গাছ, লাকড়ী সংগ্রহ করে কোনরকম বিক্রি করে ছেলে মেয়ে নিয়ে কোনরকম খেয়ে না খেয়ে বেঁচে থাকা ৷
কাউখালীতে ঈদের বাজার জমে না উঠা প্রসংগে কাউখালী স্থায়ী ব্যাবসায়ী কল্যাণ সমিতির সদস্য মোঃ জালাল উদ্দিন সওদাগর বলেন, আসলে মুলত কাউখালী সদরে কোন শিল্প কারখানা নাই তা ছাড়া বাশঁ, গাছ, ছন, লাকড়ীর ব্যবসা আগের মতো না থাকায় মানুষ আর্থিকভাবে একটু দুর্বল তারপরেও ঈদের বাজার সামনে আস্তে আস্তে জমবে বলে তিনি জানান ৷ অপরদিকে কাউখালী উপজেলার সিমান্তবর্তী উপজেলা রাঙ্গুনীয়ার রানীর হাট বাজার কাছে হওয়াতে বেশিরভাগ সাধারন মানুষ রানীর হাট বাজারেও চলে যান বলে জানান এই পুরাতন ব্যাবসায়ী ৷
পরিশেষে আসন্ন ঈদে আসত্মে আস্তে জমে উঠুক কাউখালী উপজেলার এ সকল বাজারগুলি ভরে উঠুক ক্রেতায় ৷ এটাই সকলের এক মাত্র চাহিদা তারই সাথে আনন্দ ভরে উঠুক কাউখালী সহ বাংলাদেশের প্রতিটি গ্রাম গঞ্জে, পাড়া মহল্লাসহ প্রতিটি পরিবার এবং প্রতিটি পরিবারের সদস্যরা এটাই সকলের প্রত্যাশা ৷