শনিবার ● ১৮ জুন ২০১৬
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » বৈজ্ঞানিকদের সফলতায় এক যুগ পরে কাপ্তাই লেকে কার্প জাতীয় মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন পূণঃনিশ্চিত
বৈজ্ঞানিকদের সফলতায় এক যুগ পরে কাপ্তাই লেকে কার্প জাতীয় মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন পূণঃনিশ্চিত
ষ্টাফ রিপোর্টার :: (৪ আষাঢ় ১৪২৩ বাংলা : বাংলাদেশ সময় দুপুর ১.১৫মিঃ) রাঙামাটির কাপ্তাই লেকে এ বছর প্রজনন মৌসুমে (মে-জুলাই) কার্প জাতীয় মা মাছ ডিম ছেড়েছে ৷ বাংলাদেশ মত্স্য গবেষণা ইনস্টিটিউট, নদী উপকেন্দ্র, রাঙামাটি পরিচালিত গবেষণায় দেখা যায় এ বছর কাসালং চ্যানেলে (কাট্টলী-বাঘাইছড়ি পর্যন্ত) কার্প জাতীয় মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন সংঘঠিত হয়েছে ৷ গত ১১ জুন শনিবার উপকেন্দ্রের বিজ্ঞানীগণ কাসালং চ্যানেলের মান্তানের টিলা নামক স্থান থেকে কার্প জাতীয় মাছের ডিম সংগ্রহ করেছেন ৷ এর ফলে প্রায় এক যুগ (১২ বছর) পরে কাপ্তাই লেকে কার্প জাতীয় মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন পূণঃনিশ্চিত করেন বাংলাদেশ মত্স্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা ৷ এখন ডিম থেকে রেনু ও পোনা তৈরির প্রস্তুতি চলছে ৷
১৮ জুন শনিবার সিএইচটি মিডিয়া টুয়েন্টিফোর ডটকমকে বাংলাদেশ মত্স্য গবেষণা ইনস্টিটিউট, নদী উপকেন্দ্র, রাঙামাটি কার্যালয়ের উর্দ্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. আবুল বাশার জানান, আবহাওয়ার বিভিন্ন অনুঘটক যেমন বজ্রসহ ভারী বৃষ্টিপাত, বিদ্যুত্ চমকানো, মেঘলা আকাশ, ঝড়ো বাতাস, প্রবল স্রোত, আমবশ্যা অথবা পূর্ণিমা এবং পানির তাপমাত্রা ইত্যাদির কারণে প্রাকৃতিক ভাবে কার্প জাতীয় মাছ প্রজনন করে ৷ তিনি আরো বলেন,গবেষণায় দেখা যায়, এ বছর কাপ্তাই লেকে কার্প জাতীয় মাছের প্রজনন পরিপক্কতা দেরিতে এসেছে, তাই এই মৌসুমে উপযুক্ত পরিবেশ পেলে আবারও কার্প জাতীয় মাছ ডিম ছাড়বে ৷
চলতি বছরের মে মাসে বৃষ্টিপাতের পরিমান খুব কম হলেও গত কয়েক দিনে ব্যাপক পরিমাণ পাহাড়ী ঢল ও ভারী বর্ষনের সাথে তীব্র বাতাস প্রবাহিত হয় ৷ ভারী বর্ষনের ফলে কাসালং চ্যানেলে পানির উচ্চতা এবং স্রোতের তীব্রতা অনেক বেড়ে যায় ৷ বাংলাদেশ মত্স্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীগণ উল্লেখ করেন এ বছর প্রাকৃতিক প্রজনন সংঘটনের সাথে বজ্রসহ ভারী বৃষ্টিপাত, বিদ্যুত্ চমকানো, মেঘলা আকাশ, ঝড়ো বাতাস এবং প্রবল স্রোতের অনুকূল প্রভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে ৷ ফলে কার্প জাতীয় মাছের আরো ডিম ছাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে ৷
বিজ্ঞানীদের মতে হ্রদে কার্প জাতীয় মাছের মজুদ বৃদ্ধি ও সংরক্ষন করতে হলে প্রাকৃতিক প্রজনন ক্ষেত্রগুলো পুণঃখনন ও সংরক্ষনের পাশাপাশি প্রজনন এলাকাগুলো অভয়াশ্রম ঘোষনা করে যথাযথ ব্যবস্থাপনার আওতায় আনতে হবে ৷
এবিষয়ে বিস্তারিত জানতে মো. আবুল বাশার, উর্দ্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, বাংলাদেশ মত্স্য গবেষণা ইনস্টিটিউট, নদী উপকেন্দ্র, রাঙামাটি, মোবাইল নং- ০১৭১৯ ৮১৮১৮৭ যোগাযোগ করতে অনুরোধ করা হয়েছে ।