রবিবার ● ১৯ জুন ২০১৬
প্রথম পাতা » অপরাধ » গাজীপুরে স্কুলছাত্রীকে হত্যার দায়ে যুবকের ফাঁসি
গাজীপুরে স্কুলছাত্রীকে হত্যার দায়ে যুবকের ফাঁসি
গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি :: (৫আষাঢ় ১৪২৩ বাংলা : বাংলাদেশ সময় রাত ৯.৫২মিঃ) গাজীপুরে স্কুলছাত্রী কবিতা দাশকে হত্যার দায়ে এক যুবককে ফাঁসির আদেশ ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে আদালত৷
১৯ জুন রবিবার বেলা পৌনে ১১টায় গাজীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক একেএম এনামুল হক জনাকীর্ন আদালতে এ রায় প্রদান করেন৷
এ সময় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি বিক্রম চন্দ্র সরকার ওরফে বিজয় সরকার (২৫) আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিল৷ সে কালিয়াকৈর উপজেলার ছোট কাঞ্চনপুর গ্রামের রামপদ সরকারের ছেলে৷
গাজীপুর জজ কোর্টের পিপি এডভোকেট মোঃ হারিছ উদ্দিন আহমেদ আমাদের গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি মুহাম্মদ আতিকুর রহমান আতিককে জানান, প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় ২০১৫ সালের ১৩ অক্টোবর গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার বোর্ডঘর এলাকায় স্থানীয় বিজয় স্বরণী উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী কবিতা দাসকে (১৪) ছুরিকাঘাত করে বিক্রম চন্দ্র সরকার৷
গুরুতর আহত কবিতাকে সহপাঠী ও স্থানীয়রা উদ্ধার করে কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিত্সক তাকে মৃত ঘোষণা করেন৷ এ ঘটনার পর স্থানীয়রা বিক্রমকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে৷
ওই দিনই নিহতের বাবা সাগর মনি দাস বাদী হয়ে কালিয়াকৈর থানায় মামলা দায়ের করেন৷ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আতিকুর রহমান তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি বিজয় সরকারকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন৷
পরে মামলায় বিক্রম সরকার ওরফে বিজয় সরকারকে দোষী সাব্যস্ত করে ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে রবিবার বিজ্ঞ আদালত আসামিকে ফাঁসি ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন৷
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন পিপি এডভেকেট হারিছ উদ্দিন আহমেদ আর আসামি পক্ষে ছিলেন এডভোকেট ফজলুল হক৷
গাজীপুর কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক রবিউল ইসলাম আমাদের গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি মুহাম্মদ আতিকুর রহমান আতিককে জানান, কবিতা মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া থানার রামরাবন এলাকার সাগর চন্দ্র মনি দাসের মেয়ে৷ সে কালিয়াকৈরের বিজয় স্বরণী উচ্চ বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণির ছাত্রী ছিল৷ বিদ্যালয়ে আসা যাওয়ার পথে বিক্রম বিভিন্ন সময় তাকে উত্ত্যক্ত করত৷
এ বিষয়ে অভিভাবকদের কাছে অভিযোগ দেওয়ার পর বিক্রমকে শাসন করা হয়৷ এ কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে ২০১৫ সালের ১৩ অক্টোবর দশম শ্রেণির টেস্ট পরীক্ষায় অংশ নিতে গেলে বিক্রম বিদ্যালয়ের গেটের সামনে কবিতাকে এলোপাথাড়ি ছুরিকাঘাত করে৷ গুরুতর আহতাবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিত্সক তাকে মৃত ঘোষণা করেন৷
এ সময় স্থানীয়রা বিক্রমকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন৷ পরে নিহতের বাবা বাদী হয়ে কালিয়াকৈর থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দেয়৷ আদালত উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে রবিবার বিক্রমের ফাঁসির রায় ঘোষণা করেন৷