সোমবার ● ২০ জুন ২০১৬
প্রথম পাতা » অপরাধ » কাশিমপুর কারাগার থেকে ঢাকায় মীর কাসেম
কাশিমপুর কারাগার থেকে ঢাকায় মীর কাসেম
গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি :: (৬আষাঢ় ১৪২৩ বাংলা : বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬.৩৬মিঃ) মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধী জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীকে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার পার্ট-২ থেকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে৷
২০ জুন সোমবার সকাল ৭টা ২০ মিনিটে পুলিশের প্রিজন ভ্যানে করে তাকে ঢাকায় কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়৷
কাশিমপুর কারাগার পার্ট-২ এর সিনিয়র জেল সুপার প্রশান্ত কুমার আমাদের গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি মুহাম্মদ আতিকুর রহমান আতিককে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ৷
২০১৪ সালের ২ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়ে মীর কাসেমকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়৷ গত ৮ মার্চ আপিলের রায়েও সেই সাজা বহাল থাকে৷
আপিল বিভাগের ওই রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) জন্য কাসেমের আইনজীবীরা রবিবার সর্বোচ্চ আদালতে আবেদন করেন৷ রিভিউ না টিকলে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইতে পারবেন মীর কাসেম৷ সে প্রার্থনা নাকচ হলে সরকারের সিদ্ধান্ত অনুসারে কারা কর্তৃপক্ষ তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের ব্যবস্থা নেবে৷
একাত্তরে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে ২০১২ সালের ১৭ জুন মতিঝিলে নয়া দিগন্ত কার্যালয় থেকে গ্রেফতার করা হয় জামায়াতের কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য কাসেমকে৷ পরের বছর ৫ সেপ্টেম্বর অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় তার যুদ্ধাপরাধের বিচার৷
এ মামলার শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষ ৬৩ বছর বয়সী মীর কাসেমকে আখ্যায়িত করেছে পাকিস্তানের খান সেনাদের সঙ্গে মানবতাবিরোধী অপরাধে লিপ্ত হওয়া ‘বাঙালি খান’ হিসাবে, যিনি সে সময় জামায়াতের তখনকার ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রসংঘের পূর্ব পাকিস্তান শাখার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন৷
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানি সেনাদের সহযোগিতায় ছাত্রসংঘের বাছাই করা সদস্যদের নিয়ে গঠিত সশস্ত্র আলবদর বাহিনীর চট্টগ্রাম অঞ্চলের কমান্ডার হিসেবে মীর কাসেম যেসব মানবতাবিরোধী অপরাধ ঘটান, তা উঠে এসেছে এই রায়ে৷
ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মীর কাসেম ১৯৮৫ সাল থেকে জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ অর্থাত্ মজলিসে শুরার সদস্য হিসেবে দলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছিলেন৷ তিনি হলেন জামায়াতের পঞ্চম শীর্ষ নেতা, চূড়ান্ত রায়েও যার সর্বোচ্চ সাজার সিদ্ধান্ত এসেছে৷