মঙ্গলবার ● ২১ জুন ২০১৬
প্রথম পাতা » ঢাকা » শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিককে লাঞ্চিত করার অভিযোগে ছাত্রলীগের নিন্দা
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিককে লাঞ্চিত করার অভিযোগে ছাত্রলীগের নিন্দা
ঢাকা :: শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে চাঁদাবাজির সংবাদ প্রকাশ করায় একটি জাতীয় দৈনিকের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিকে বেধড়ক পিটিয়েছেন শেকৃবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ দাশ ও তার অনুসারীরা। মারধরের সময় তারা অন্যান্য সাংবাদিকদেরও প্রাণ নাশের হুমকিও দিয়েছেন। ২০ জুন সোমবার দুপুর ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২নং গেটে এমন ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাংলানিউজ, দৈনিক যুগান্তর ও দৈনিক সমকালসহ কয়েকটি দৈনিক পত্রিকায় চাঁদাবাজিসহ সাংবাদিককে বেধড়ক পেটানোর সংবাদ প্রকাশিত হয় । এ বিষয়ে তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করেন শেকৃবি ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।
অপরদিকে উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে হামলাকারীদের প্রাণনাশের হুমকির প্রেক্ষিতে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে শেরেবাংলা নগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী (জিডি নং: ১৩৩৯) করেন মো: মাহসাব হোসেন রনি।
জিডিতে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ দাশ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান, মোল্লা আল মামুন, সহ-সভাপতি শামীম আহমেদ, গৌতম রায়(সাধারণ সম্পাদক, নবাব সিরাজ উদ-দৌলা হল ছাত্রলীগ)সহ অজ্ঞাত আরো ৭/৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়।
গত ৩০ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি কাজী নজরুল ইসলাম হলের ছাত্রলীগ সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বাবু তাঁর চিকিৎসার্থের জন্য সাহায্য চেয়ে উপাচার্য বরাবর এক মানবিক আবেদন করেন । আবেদনপত্রের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থীরাই স্বেচ্ছায় বৃত্তির ১২০০ টাকা থেকে ২০০ টাকা সাহায্য দিতে সম্মত হয়েছেন।
এ ব্যাপারে শেকৃবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ দাশ বলেন, জালিয়াতির মতো নিকৃষ্ট কোনো কাজ ছাত্রলীগ করে না। তিনি আরও বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশে থেকে তাঁদের সাহায্য করার জন্য ছাত্রলীগ রাজনীতি করে। কোনোপ্রকার মারপিট করা, জালিয়াতি করা ছাত্রলীগের কাজ নয়। রাজনৈতিক অঙ্গনে ছাত্রলীগের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্যই এ ধরনের পরিকল্পিত ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে তিনি দাবী করেন।
শেকৃবি ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি শামীম আহমেদ বলেন, প্রতিটি মানুষেরই উচিত আরেকজন মানুষের বিপদে এগিয়ে এসে তাঁকে সাহায্য করা। সাধারণ শিক্ষার্থীরাই তাঁদের সহপাঠীর বিপদে এগিয়ে এসে নিজেদের উদ্যোগে সাহায্যের হাত বাড়িয়েছেন। টাকা জালিয়াতিসহ পেটানোর মতো কোনো ঘটনায় ঘটেনি। সাংবাদিকদের ব্যাপারে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে বলেন, কিছু ছাত্ররা বিভিন্ন পত্রিকার সাংবাদিক পরিচয়ে এ ধরনের মিথ্যা ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য ছাত্রলীগকে কলুষিত করার অপচেষ্টা করছে মাত্র।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল হক বলেন, স্বাক্ষর জালিয়াতির বিষয়টি ছাত্রলীগ কখনই সমর্থন করে না। বিষয়টির সাথে শেকৃবি ছাত্রলীগের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এখনও পর্যন্ত জাহিদুল ইসলাম বাবুর মানবিক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীদের থেকে সাহায্যের কোনো টাকাই সংগ্রহ করেননি।
উল্লেখ্য, স্বাক্ষরের সত্যতা যাচাইয়ে ডেপুটি রেজিস্ট্রার চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল ফারুক গত ৪ জুন প্রতিটি আবাসিক হলে একটি বিজ্ঞপ্তি দেন। সেখানে স্বাক্ষরকারী শিক্ষার্থীদের নাম উল্লেখ করে তাঁদের সম্মতি দেওয়ার ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়।