মঙ্গলবার ● ২১ জুন ২০১৬
প্রথম পাতা » অর্থ-বাণিজ্য » কালীগঞ্জ শিল্প নগরীতে ৩০ হাজার শ্রমিকের কর্মসংস্থান হচ্ছে
কালীগঞ্জ শিল্প নগরীতে ৩০ হাজার শ্রমিকের কর্মসংস্থান হচ্ছে
মুহাম্মদ আতিকুর রহমান আতিক, গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি :: (৭ আষাঢ় ১৪২৩ বাংলা : বাংলাদেশ সময় রাত ১০.০৪মিঃ) গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার শীতলক্ষা নদীর তীর ঘেঁষে আন্তর্জাতিক মান সম্পন্ন সিমেন্ট উত্পাদন প্রতিষ্ঠান স্থাপিত হয়৷ প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বর্হিবিশ্বে বাংলাদেশের তৈরী সিমেন্ট রফতানি করে দেশের জন্য বৈদেশীক মুদ্রা অর্জন করছে৷ ফলে এলাকায় শিল্প কারখানা স্থাপনের জোয়ারের চিত্র ফুটে উঠে৷ কর্মস্থান সৃষ্টি হওয়ায় উপজেলার খলাপাড়া, মূলগাঁও ও বিভিন্ন গ্রামেরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের প্রায় কয়েক হাজার শ্রমিক চাকুরী করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে৷ কমে গেছে চুরি ডাকাতি, বৃদ্ধি পেয়েছে জমির মূল্য৷ এলাকায় ব্যবসা বানিজ্যের উন্নতি ঘটে বেকারের হার অনেকাংশে কমে গেছে৷ প্রাণ আরএফএল, সেভেন সার্কেল ও হামিম গ্রুপ-এ (রিফাত গার্মেন্টস) ৩০ হাজার শ্রমিকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হচ্ছে৷
শিল্প নগরীর রূপকার হিসেবে সেভেন সার্কেল (বাংলাদেশ) লিঃ চর মিরপুরে অবস্থানের পর তাদের অনুসরণ করে প্রাণ আরএফএল, সিয়াম বাংলা হোয়াইট সিমেন্ট লিমিটেড, আর, কে, জুট মিল্স এন্ড ফ্রুটস, আবুল খায়ের সিরামিকস, হামিম গ্রুপসহ কালীগঞ্জে বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান তাদের ব্যাবসা স্থাপন করায় সেভেন সার্কেল লিমিটেডকে শিল্প নগরী সহায়ক ও রূপকার মনে করেন অনেকে৷ প্রতিষ্ঠানটি শিক্ষা, চিকিত্সা, সাংস্কৃতিক, সামাজিক উন্নয়ন, মসজিদ মাদ্রাসায়সহ জাতীয় সমস্ত কর্মকান্ডে সার্বিকভাবে সহযোগীতা করে আসছেন৷
১৯৯৯ সালে প্রতিষ্ঠানটি স্থাপনের জন্য উপজেলার দেওপাড়া সংলগ্ন নদী-ঘেঁষা চরমিরপুর মৌজাটি পছন্দ করেন৷ স্থানীয়দের সহযোগীতায় শেখ বোরহান আহাম্মেদের নিবির তত্তাবধানে ও প্রচেষ্টায় ৭০ বিঘা জমি ক্রয় করে ২০০০ সালে কারখানাটি স্থাপন করে উত্পাদনে যায়৷
চট্টগ্রামের সুনামধন্য সম্বান্ত পরিবারের সদস্য এম কামাল এ পাশা, মোহাম্মেদ আলী পাশা ও ইকরাম আহম্মেদ খানের যৌথ অক্লান্ত পরিশ্রমে তাদের স্বপ্নের প্রতিষ্ঠানটি স্থাপন করেন৷ কারখানার আয়তন বৃদ্ধির লক্ষে ইতিমধ্যে আরো ২’শ বিঘা জমি ক্রয় করে কাজ করে যাচ্ছেন৷ সিমেন্ট প্লান্টের পাশাপাশি ২টি ব্যাগ প্লান্ট করা হয়েছে৷ সিমেন্ট তৈরীর পর অতিরিক্ত কাচাঁমালের মিশ্রনে হলোব্রিক্স নামে আরো একটি শাখা করা হয়েছে৷ যে রং বে-রংঙ্গের হলো ব্রিক্স ঢাকা বা বিভিন্ন পৌর এলাকার ফুটপাতে বিছানো হয়৷ পানিপথে মালামাল পরিবহনের জন্য নিজস্ব প্রযুক্তিতে একটি কার্গো শিপইয়ার্ড কারখানা স্থাপন করেছেন৷ যেখানে বর্তমানে ৩৫টি কার্গো জাহাজ রয়েছে৷
সড়ক পথে মালামাল পরিবহনের জন্য ২৫০টি ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান নিয়ে আরটিডি নামক একটি ট্রান্সপোর্ট পরিবহন শাখা রয়েছে৷ নিজেদের বিদ্যুত্ চাহিদা মেটানোর জন্য সিংগাপুরের সাথে যৌথভাবে শুং-শিন নামে বিদ্যুত্ উত্পাদন কারখানা স্থাপন করে ১৫ মেঘাওয়াট বিদ্যুত্ চাহিদা পুরন করছে৷ আবার শুং শিন এডিবল ওয়েল লিঃ নামে একডি ডিপো ও নিজস্ব পেট্রোল পাম্প রয়েছে৷
স্থানীয় গরীব অসহায় ও কর্মচারীদের সূ-চিকিত্সা প্রদানের জন্য এ এইচ মেমোরিয়াল হাসপাতাল নামে একটি চার তলা বিশিষ্ট ডায়গনষ্টিক সেন্টার চালু করেছেন৷ পাশেই একটি মসজিদ স্থাপন করায় স্থানীয় মুসুল্লিগণের নামাজের তেমন সমস্যা হয়না৷
এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের উর্ধতন কর্মকর্তার সাথে আলাপ করলে তিনি আমাদের গাজীপুর জেলা প্রতিনিধিকে জানান, আমাদের মালিক পক্ষ শিল্পবান্ধব৷ প্রতিষ্ঠানটি গড়ে উঠতে অনেকে সহায়তা করেছেন যার ফলে এলাকার অনেক বেকার ছেলে/মেয়েরা কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছে৷ মালিক পক্ষকে স্থানীয় জনগন ও প্রশাসন সর্বদা সহায়তা করে আসছেন৷