মঙ্গলবার ● ২১ জুন ২০১৬
প্রথম পাতা » খেলা » খেলোয়াড়দের মাসল ইনজুরি ও করণীয়
খেলোয়াড়দের মাসল ইনজুরি ও করণীয়
মোহাম্মদ ইয়াহিয়া ::(৭ আষাঢ় ১৪২৩ বাংলা : বাংলাদেশ সময় রাত ১০.১৬মিঃ) muscle-fiber Types : প্রতিটি মানব দেহে দুই প্রকার মাসল ফাইবার বৃদ্ধমান রয়েছে।
প্রথমটি হলো : Fast Twitch Fibers
দ্বিতীয়টি হলো : slow Twitch Fibers
খেলোয়াড়দের Fast Twitch Fibers টি হলো তার দেহের রেসিং কার এর মতো। যা তাকে গতি বৃদ্ধি করে তাকে সর্বোশেষ প্রান্তে নিয়ে যেতে সহযোগিতা করে।
আর slow Twitch Fibers মাসলটি হলো নির্জীব। যার মধ্যে নেই কোন ক্ষীপ্ততা, নমনীয়তা ও গতি থাকে না। এই মাসলের অধিকারীরা কখনও ভালো স্পোর্টসম্যান হতে পারে না। তবে ইদানিং স্পোর্টস ক্রীড়া বিজ্ঞানী/ কিংসোলোজিস্টদের মতে অপ্রাপ্ত বয়সী (১৪ বছরের নিচে) বালক-বালিকাদের মধ্যে বৈজ্ঞানিক উপারে পরীক্ষান্তে প্রমাণীত হয়েছে যে, পরিপূর্ণ বিজ্ঞান সম্মত ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে slow Twitch Fibers মাসলকে Fast Twitch Fibers মাসলে এ পরিনত করা সম্ভব।
খেলোয়াড়দের যেসব কারণে মাসল পুল করে : মাসল হলো মানব দেহে গাড়ীর ইঞ্জিনের মত। ওভার লোড, স্ট্রেচিং, লেস ওয়ার্মিং আপ, অমনোযোগী, প্রোপার রেস্ট ও nutrition, গ্লাইকোজিন এর অভাবে খেলোয়াড়রা মাসল পুলের স্বীকার হয়ে থাকেন। এছাড়া, smooth surfaces মাসল ইনজুরির অন্যতম কারণ।
তাছাড়া, নার্ভাস সিস্টেম সমস্ত শরীরের সাথে সম্বনয় সাধন করে থাকে। মাসলের ভুমিকা মানব দেহে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ব্রেন থেকে সংকেত মাসলে আসে এবং পরবর্তীকালে তা তাৎক্ষনিক ব্রেনে ফিরে যায়।
আমরা প্রতিদিন যে সমস্ত খাবার খাই তা ক্যামিকেলের মত শরীরের অঙ্গ-প্রতঙ্গ ও মাসলে ছড়িয়ে পরে। খেলা বা অনুশীলনের সময় খেলোয়াড়রা যে মাসল ইনজুরিতে আক্রান্ত হয়ে থাকেন তা খাবারের মাধ্যমে আবারও আঘাত প্রাপ্ত মাসল গুলিকে সতেজ করে তোলে। তখন খেলোয়াড়দের প্রয়োজন হয় অতিরিক্ত প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার।
প্রতিটি খেলোয়াড়ই শরীরের অতিব গুরুত্বপূর্ণ মাসল হলো হ্যামস্ট্রিং, কাপ ও থাই মাসল। আমাদের দেশে প্রায় খেলোয়াড়রা এই তিনটি মাসল ইনজুরিতে আক্রান্ত হয়ে থাকেন।
মাসল পুল হলে করণীয় :
১. খেলা বা অনুশীলনের সময় মাসল পুল করলে প্রাথমিক অবস্থায় আক্রান্ত স্থানে রবফ দিতে হবে।
২. কোচ/ ফিজিও এর পরামর্শ অনুযায়ী খেলা বা অনুশীলন থেকে বিরত থাকতে।
৩. নি ক্যাপ/ ক্রেপ ব্যান্ডিস দিয়ে আঘাত জনিত স্থানে ব্যান্ডেস করে রাখা যেতে পারে।
এরপর কোচ বা ফিজিও এর পরামর্শ অনুযায়ী পর্যায় ক্রমে যা করা প্রয়োজন :
১. ১০-১৫মিনিট ধীরে ধীরে ঘাসের উপর ওয়ার্মিং আপ করতে হবে (ফাট ফুটে)।
২. এছাড়া, সাইকিং, সাঁতার, ওয়াল বার, জিমে লেগ প্রেস (লাইট/উই দ্য উট ওয়েট), স্ট্রেচিং এবং হাল্কা পার্টনার এক্সারসাইস করা যেতে পারে।
৩. তাছাড়া, ঠান্ডা ও গরম পানি টাওয়াল ভিজিতে/বদনার নল দিয়ে ব্যাথা স্থানে ২-৩ মিনিট পর্যন্ত পানি দেয়া যেতে পারে।
৪. ব্যাথা স্থানে কোন ক্রীম দিয়ে ম্যাসাস না করাই ভালো।
৫. পরবর্তী সময়ে স্পোর্টস মেডিসিন ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহন করা যেতে পারে।
লেখক : প্রশাসক বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম, সাবেক জাতীয় এ্যাটলেটিক প্রশিক্ষক।