শুক্রবার ● ২৪ জুন ২০১৬
প্রথম পাতা » অর্থ-বাণিজ্য » কোটচাঁদপুর জমজমাট আমের বাজার সংরক্ষনের অভাবে ব্যবসায়ীদের লোকসান
কোটচাঁদপুর জমজমাট আমের বাজার সংরক্ষনের অভাবে ব্যবসায়ীদের লোকসান
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: (১০ আষাঢ় ১৪২৩ বাংলা : বাংলাদেশ সময় বিকাল ৫.৪৩মিঃ) ঝিনাইদহের কোটচাদপুরে গড়ে উঠেছে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বৃহত্তম আমের হাট৷ কালীগঞ্জ থেকে কোটচাদপুরে প্রবেশ পথে এই আম বাজার চোখে পড়ে৷ অন্য স্থানের চেয়ে তুলনামূলকভাবে আমের দাম কম হওয়ায় প্রতিদিন এই বাজারে প্রায় ৫০ লাখ টাকার আম বেচাকেনা হয়৷ দেশীয় জাতের, ল্যাংড়া, গোপালভোগ, হিমসাগর, বোম্বাইসহ বিভিন্ন জাতের আম এখান থেকে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে৷ স্থানীয় ব্যবসায়ীরা এসব আম সংরক্ষণের জন্য একটা ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছেন৷
সিলেটের আম ব্যবসায়ী জয়নাল আবেদিন বলেন, এই এলাকা এখন আমের জন্য বিখ্যাত৷ গত সাতদিন হলো ঝিনাইদহের কোটচাদপুরে অবস্থান করছি৷ এই এলাকার আমের সাইজ ও কালার ভাল৷ তাই এখান থেকে কম দামে কিনে ট্রাক ভরে সিলেটে সরবরাহ করি৷ আম ব্যবসায়ী তোফাজ্জেল হোসেন জানান, সকাল ৭টা থেকে পশ্চিমাঞ্চলের ঝিনাইদহ, কোটচাদপুর, মহেশপুর, চৌগাছা, ঝিকরগাছা, চুয়াডাঙ্গার জীবননগর, হাসাদহ, আলমডাঙ্গা ও দামুড়হুদা এলাকার আম ব্যবসায়ীরা এই বাজারে আম বিক্রির জন্য নিয়ে আসেন৷ এখান থেকে প্রতিদিন গড়ে ছোট-বড় ৫০ ট্রাক আম দেশের বিভিন্নস্থানে সরবরাহ করা হচ্ছে৷ ঢাকা,বরিশাল,সিলেট, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন আমের জুস কোম্পানির প্রতিনিধিরা এখান থেকে আম ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছে৷
কোটচাঁদপুরের আম ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল লতিফ জানান, এই বাজারে সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা পর্যনত্ম আম বিক্রি করা হয়৷ এখানে ল্যাংড়া আম ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা মণ, হিমসাগর ৮৫০ থেকে ৯৫০টাকা মণ ও অন্যান্য জাতের আম ৭০০-৮০০ টাকা দরে বিক্রি করা হয়৷ এছাড়াও এখানে দেশীয় জাতের আটির আম ৫০০-৬৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে প্রতি মণ৷
তিনি জানান, কোটচাঁদপুরের আমের বাজারে প্রায় ২০০ জন ব্যবসায়ী আছেন৷ আম বাজারে স্থায়ী আমের দোকান আছে ৭০টির মতো৷
কোটচাঁদপুর আম ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি সঞ্জয় বিশ্বাস জানান, তারা সরাসরি আম চাষি ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে আম ক্রয় করনি৷ এখানে আম পাকানোর জন্য কোনো রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা হয় না৷ যার কারণে এখানকার আমের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে৷ আমের ব্যবসা ২-৩ মাস থাকে৷ তিনি আরো জানান, যদি সরকার এখানে আম সংরক্ষণের ব্যবস্থা করতো তাহলে এখান থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে আম সরবরাহ করা যেতো৷