শুক্রবার ● ২৪ জুন ২০১৬
প্রথম পাতা » অপরাধ » প্রধান শিক্ষক মীরা দত্ত বদলীর আদেশ অমান্য করে ৪৪০ দিন পর কর্মস্থলে যোগদান
প্রধান শিক্ষক মীরা দত্ত বদলীর আদেশ অমান্য করে ৪৪০ দিন পর কর্মস্থলে যোগদান
আলীকদম (বান্দরবান) প্রতিনিধি :: (১০ আষাঢ় ১৪২৩ বাংলা : বাংলাদেশ সময় রাত ১০.৪৫মিঃ) দীর্ঘ ৪৪০ পর অবশেষে কর্মস্থলে যোগদান করলেন আলীকদমের এক শিক্ষক ৷ ২০১৫ সালের ১৫ মার্চ তাকে আলীকদম উপজেলার আমতলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে কুরুক পাতা মৈত্রী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদানের জন্য বদলী আদেশ দেয়া হয় ৷ তিনি এই আদেশ অমান্য করে বিনা ছুটিতে এতদিন কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন ৷ এর আগে বদলী আদেশ অমান্য করে একবছর একমাস ১৯ দিন পর আকস্মিক পূর্বের কর্মস্থলেই গিয়ে হাজিরা খাতা ও মাসিক প্রতিবেদন (এমআর) ফরমে স্বাক্ষর করেছিলেন বদলী আদেশপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ৷ এ ঘটনা ঘটেছে বান্দরবান পার্বত্য জেলার আলীকদম উপজেলায় ৷ তবে কর্তৃপক্ষের বদান্যতায় শেষ রক্ষা হলো ওই প্রধান শিক্ষকের!
তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, আমতলী পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের নির্দেশে প্রধান শিক্ষক মীরা দত্তকে বদলীর নির্দেশ জারী করেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষক অফিসার ৷ ওই আদেশে প্রধান শিক্ষককে ২০১৫ সালের ১৫ মার্চের মধ্যে প্রধান শিক্ষক মীরা দত্তকে আলীকদম উপজেলার কুরুকপাতা মৈত্রী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদান করতে বলা হয় ৷ কিন্তু এ আদেশ অমান্য করে বদলীকৃত কর্মস্থলে যোগদানে বিরত থাকেন মীরা দত্ত ৷ চিকিত্সা ছুটির নামে তিনি কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকেন দিনের পর দিন ৷ সে সময় এ চিকিত্সা ছুটির কোনরকম অনুমোদনও নেননি এই শিক্ষক ৷ অথচ এ ধরণের ছুটি অনুমোদনের ক্ষেত্রে জেলা সিভিল সার্জনের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তের প্রয়োজন আছে বলে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায় ৷
এদিকে, বদলী আদেশ জারীর এক বছর একমাস ১৯দিনের মাথায় গত ২ মে পূর্বের কর্মস্থল আমতলী পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে শিক্ষক হাজিরা ও মাসিক প্রতিবেদন (এমআর) ফরমে স্বাক্ষর করেন ওই প্রধান শিক্ষক ৷ এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের এসএমসি সভাপতি নুরুল ইসলাম ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন ৷ তিনি বলেন, প্রধান শিক্ষক মীরা দত্তের একগুয়েমি, রুক্ষ্ম আচরণ, ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকের সাথে দুর্ব্যবহার, কর্মস্থলে অনুপস্থিতি, উপবৃত্তির অর্থ আত্মসাত সংক্রান্ত ১০৭ জন স্বাক্ষরিত অভিযোগের জেরে প্রধান শিক্ষক মীরা দত্তকে বদলী করা হয় ৷ কিন্তু মীরা দত্ত কর্তৃপক্ষের আদেশ অমান্য করেন দীর্ঘদিন ৷
এ ব্যাপারে আমতলী পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, বদলী আদেশ জারীর একবছরের অধিক সময় পরও প্রধান শিক্ষক মীরা দত্ত এ স্কুলের আলমিরার চাবি ও আনুষাঙ্গিক নথিপত্র বুঝিয়ে দেননি ৷ এ কারণে দাপ্তরিক কাজে নানা সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে ৷
এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ ইলিয়াছ বলেন, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের নির্দেশে উনি (মীরা দত্ত) কুরুকপাতা মৈত্রী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদান করেছেন’ ৷