বুধবার ● ১৪ অক্টোবর ২০১৫
প্রথম পাতা » করোনা আপডেট » বিশ্বনাথে জনবল সংকট: ৮মাস ধরে বন্ধ স্বাস্থ্য কেন্দ্র
বিশ্বনাথে জনবল সংকট: ৮মাস ধরে বন্ধ স্বাস্থ্য কেন্দ্র
মোঃ আবুল কাশেম,বিশ্বনাথ ( সিলেট ) প্রতিনিধি:: প্রবাসী অধু্যষিত সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার দেওকলস ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রটি দীর্ঘ ৮ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে৷ জনবল সংকট থাকায় স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন এলাকার প্রায় অর্ধশতাধিকেরও বেশী রোগীরা৷ রোগীদের আসা-যাওয়া না থাকায় পরগাছা বেষ্টিত পরিবেশ নিয়েই দাড়িয়ে আছে স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মূল দুটি স্থাপনা৷ এর একটি স্বাস্থ্য কেন্দ্র, অন্যটি ডাক্তারদের কোয়ার্টার৷ সঠিক রৰণাবেৰণের অভাবে স্বাস্থ্য কেন্দ্রতে জমে আছে ময়লা-আবর্জনার স্তুপ৷ দু’বছর ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকার কারণে নষ্ট হচ্ছে কোয়ার্টারের টিন ও দরজা-জানালা৷ অথচ কেন্দ্রটিতে আসবাবপত্রের সংকট সবসময়ই বিদ্যমান ছিল৷ তবে উপজেলা পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. নজরম্নল ইসলাম বলেন, দূর্গম এলাকায় স্বাস্থ্য কেন্দ্রটির অবস্থানের কারণে এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা নাজুক হওয়ায় এ সমস্যা দেখা দিয়েছে৷
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সরকারীভাবে ইউনিয়নের কজাকাবাদ গ্রামের পূর্বদিকে বাসিয়া নদীর তীরে একটি পরিবেশবান্দব জায়গায় ওই স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি স্থাপন করা হয়৷ যার তিনদিকে ধানৰেত আর দক্ষিণ দিকে নদী৷ কেন্দ্রটিতে প্রতিদিন চিকিত্সা সেবা নিতেন এলাকার প্রায় অর্ধশতাধিক রোগী৷ দীর্ঘ প্রায় ৮মাস ধরে জনবল সংকটের কারণে স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি বন্ধ থাকায় এসকল রোগীরা রয়েছেন সেবা বঞ্চিত৷ এতে বাধ্য হয়ে কেউ কেউ এলাকার হাতুড়ে ডাক্তাদের শরণাপন্ন হচ্ছেন৷ আবার অনেক গরীব অসহায় রোগীরা কষ্ট করে হলেও উপজেলা সদরে গিয়ে প্রাথমিক চিকিত্সাসহ অন্যান্য রোগের চিকিত্সা নিতে বাধ্য হচ্ছেন৷ এতে চিকিত্সা বাবত অতিরিক্ত খরচ গুণতে হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় লোকজন৷ এৰেত্রে বেশী ভুক্তভোগী হচ্ছেন নিম্ন আয়ের মানুষরা৷ শুধু অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার বাহানা করে সেখানে যেতে অনিচ্ছুক রয়েছেন ডাক্তারসহ অন্যান্য পদে কর্মরতরা৷ অথচ বিশ্বনাথ-জগন্নাথপুর সড়ক থেকে ওই স্বাস্থ্য কেন্দ্র্র পর্যনত্ম একটি পাকা সড়ক রয়েছে৷ স্বাস্থ্য কেন্দ্রটিতে একজন মেডিকেল অফিসার, একজন উপ-সহকারি মেডিকেল অফিসার, একজন পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা, একজন ফার্মাসিষ্ট, একজন আয়া ও একজন নিরাপত্তা প্রহরীসহ মোট ৬টি পদ রয়েছে৷ ওই ৬টি পদের সবকটি পদই শুন্য থাকায় দীর্ঘ ৮মাস ধরে বন্ধ রয়েছে স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি৷
বিগত দিনে সপ্তাহে দু’দিন দশঘর স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে একজন ডাক্তার গিয়ে রোগীদের সেবা দিতেন৷ বর্তমানে তিনিও কেন্দ্রটিতে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন৷ সাজিদ আলী (৪৮) নামের স্থানীয় এক ব্যক্তি জানান, প্রতিদিন প্রায় অর্ধশতাধিক রোগীরা গিয়ে ওই কেন্দ্রতে চিকিত্সা সেবা নিতেন৷ কোনো ডাক্তার না থাকায় প্রায় ৮মাস ধরে এসকল রোগীরা সেবা বঞ্চিত রয়েছেন৷ আপলোড : ১৩ অক্টোবর ২০১৫ : বাংলাদেশ : সময় : রাত ১১.৫৯ মিঃ