বুধবার ● ২৯ জুন ২০১৬
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » রাস্ত নয় যেন মরন ফাঁদ
রাস্ত নয় যেন মরন ফাঁদ
উত্তম কুমার পাল হিমেল, নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ)থেকে :: ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সাথে সংযুক্ত নবীগঞ্জের জনতার বাজার টু মৌলভীবাজার সড়কের আথানগীরি থেকে শতক গজনাইপুর পর্যন্ত রাস্তা বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে৷ দীর্ঘ দিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীসহ হাজার হাজার মানুষদের৷ সড়কটি যেন এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে৷ অভিযোগ রয়েছে, উক্ত সড়ক নির্মাণ কাজে নিম্নমানের মালামাল ব্যবহার করায় সড়কের অনেকস্থানে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে যানচলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে৷ এতে প্রায়ই উক্ত সড়কে যানবাহন ও পথচারীরা দুর্ঘটনার শিকা্র হতে হচ্ছে৷ সড়কের দুরাবস্থা দেখার যেন কেউ নেই..? সড়কের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্ত হয়ে বেহাল দশা বিরাজ করছে৷ এর মধ্যে বৃষ্টি হলে পানি জমে গর্তগুলোতে কাদা, নর্দমা একাকার হয়ে সড়কটি যেন পুকুরে পরিনত হয়৷
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নবীগঞ্জ উপজেলা থেকে মৌলভীবাজার জেলা সদরে সাথে যোগাযোগের একমাত্র বাইপাস সড়ক হিসেবে ওই সড়কই এক সময় বেশি চলাচল করতো উপজেলার মানুষ৷ এমনকি মৌলভীবাজারের সিমান্ত এলাকা আথানগীরি ও নবীগঞ্জের শতক, তারালিয়া, লামরোহ, মাহমদপুর, গজনাইপুরসহ ১০/১২টি গ্রামের প্রায় কয়েক হাজার মানুষের চলাচলের জন্য একমাত্র ভরসা এই সড়কটি৷ এর মধ্যে উল্লেখিত গ্রাম গুলো থেকে প্রায় ৩/৪ হাজার শিক্ষার্থী প্রতিদিন দিনারপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও দিনারপুর কলেজে যাওয়া আসা করে৷ কিন্তু বছর দিনেরও বেশী সময় ধরে সড়কের বেশীর ভাগ অংশে কার্পেটিং উঠে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে৷ এতে যানবাহন চলাচলে মারাত্মক অসুবিধার সৃষ্টি হচ্ছে সেই সাথে বিপাকে পড়েছেন স্কুল কলেজে পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীরা৷ গর্তগুলোতে বৃষ্টির পানি জমে যেন পুকুরে পরিনত হয়ে যায়৷ সড়কটি খানা খন্দকের কারনে সড়কে দুর্ঘটনা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে৷ এতে অনেক প্রাণহানীসহ পঙ্গুত্ব বরণ করতে হচ্ছে সাধারন মানুষদেরকে৷ এ ছাড়া সড়কে দ্রুতগামী যানবাহনগুলো সড়কের ভাঙ্গার কারনে একটি অপরটিকে ওভারট্যাক করতে বেকায়দায় পড়তে হচ্ছে৷ এর জন্য ওই সড়কে যানচলাচল আগের তুলনায় অনেকটা কমে গেছে৷
কেজি পড়ুয়া এক ছাত্রী এ প্রতিবেদককে জানায়, “আমরা শতক থেকে প্রায় ২/৩ কিঃমিঃ জায়গা পায়ে হেঠে কলেজে যাই৷ কারণ আমারে চলাচলের প্রধান এই সড়কের এমন অবস্থা হয়েছে যে যেখানে যেতে ২০/৩০ মিনিটে কলেজে পৌছার কথা সেখানে লেগে যায় ১ ঘন্টারও বেশি সময়৷ সড়কের দশা বেহাল হওয়ায় আগের মতো গাড়ী পাওয়া যায়না তাই অপেক্ষা করে সময় নষ্ট না করে আমরা পায়ে হেটেই কলেজে যাই৷ হেটে গিয়ে অনেকটা ক্লান্ত হয়ে যাই যার কারনে ক্লাসে তেমন মনযোগ থাকেনা৷ বিশেষ করে চরম বিপাকে পড়তে হয় পরিক্ষার সময় ৷ কারণ পরিক্ষার নির্দিষ্ট সময়ে উপস্থিত হওয়া যায়না৷ তাই রাস্তা মেরামতের জন্য উপজেলা চেয়ারম্যান মহোদয় ও কর্তৃপক্ষের প্রদক্ষেপ গ্রহনের জন্য দৃষ্টি আকর্ষন করছি৷”
স্কুলে যাতায়াতের প্রধান সমস্যা কি এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে দিনারপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী জানায়, ” কি আর বলবো স্কুলে যাওয়ার মূল সমস্য এই সড়কটি৷ সড়কের অবস্থা এত খারাপ হওয়ায় প্রতিদিন স্কুলে যেতে মন চায়না৷ এর মধ্যে এখন প্রতিদিনই বৃষ্টি হয়, সামান্য বৃষ্টি হলেই আমাদের সমস্যায় পড়তে হয়৷ কারন রাস্তয় অনেক বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে গর্তের মধ্যে ময়লা জমে থাকে আর এই ময়লা বৃষ্টির পানি পেলে ভাগাড় হয়ে যায়৷ ফলে ভাল জামা পড়ে গেলে আর জামা ভাল থাকে না রাস্তার কাদায় নোংড়া হয়ে যায়৷ তাই সড়কটি সংস্কার করার জন্য সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের কাছে জোর দাবী জানাচ্ছি৷”