বুধবার ● ২৯ জুন ২০১৬
প্রথম পাতা » অপরাধ » মাটিরাঙ্গায় স্বামী-স্ত্রী দুজনকে কুপিয়ে হত্যা
মাটিরাঙ্গায় স্বামী-স্ত্রী দুজনকে কুপিয়ে হত্যা
মাটিরাঙ্গা প্রতিনিধি :: খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার মাটিরাঙ্গা উপজেলায় মো. এনামুল হক (৫০) ও মোছা. পারভীন আকতার (৩৫) নামে স্বামী-স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা ৷ ২৮ জুন মঙ্গলবার বিকালের দিকে মাটিরাঙ্গা উপজেলার বেলছড়ি ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের মরা তাইফা এলাকার মকবুল এর লেকের পাড়ে এ ঘটনা ঘটে ৷ এ হত্যাকান্ড কে বা কারা সংগঠিত করেছে তা কেউ নিশ্চিত করে বলতে না পারলেও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এ হত্যাকান্ড ঘটে থাকতে পারে বলে ধারনা করছে নিহতদের আত্মীয়স্বজন ৷ এদিকে স্বামী স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার খবর পেয়ে শত শত নারী পুরুষ ভীড় করে দুর্গম পাহাড়ী এলাকা মরা তাইফা এলাকার মকবুল এর লেকের পাড়ে৷ নিহত মো. এনামুল হকের ছেলে মো. সালাউদ্দিন (১০) এ সাংবাদিকদের জানায়, মঙ্গলবার বিকাল তিনটার দিকে তার মা বাবা তাদের বাড়ি থেকে দুই কিলোমিটার দুরে মরা তাইফা’র তাদের ইজারা নেয়া লেকে মাছ ধরতে ও লাকড়ি আনতে যান ৷ সন্ধ্যার মধ্যে তাদের ফিরে আসার কথা থাকলেও সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত হলেও তারা ফিরে আসেনি জানিয়ে সে বলে তখন ছোট দুই ভাইকে নিয়ে না খেয়েই ঘুমিয়ে পড়ে সে৷ বুধবার সকালে ঘুম ভেঙ্গেও মা বাবাকে দেখতে না পেয়ে প্রতিবেশী আমির হোসেন সহপাঠিকে নিয়ে লেকের পাড়ে গিয়ে মা বাবার মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে সে ফিরে এসে বিষয়টি স্থানীয়দের জানায় ৷
নিহত এনামুল হক ও পারভীন আক্তারের চার ছেলের মধ্যে বড় ছেলে চট্টগ্রামের একটি বিস্কুট ফ্যাক্টরিতে শ্রমিকের কাজ করলেও ছোট তিন ছেলে মা বাবার সাথেই থাকতো ৷ মা বাবাকে হারিয়ে একেবারেই নির্বাক তিন শিশুপুত্র ৷ তারা কোথায় যাবে কার কাছে আশ্রয় হবে তাদের কিছুই জানে না শিশুগুলো ৷ নিঃশব্দ কাঁন্নার সাগরে ভাসছে তারা ৷ ঘটনাস্থল থেকে দুই কিলোমিটার দুরে পরে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে মাটিরাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সাহাদাত হোসেন টিটো ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল যান ৷ এর পরপরই ঘটনাস্থলে ছুটে যান খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মো. মজিদ আলী ও সহকারী পুলিশ সুপার (রামগড় সার্কেল) কাজী মো. হুমায়ুন রশীদ ৷ পরে সেখান থেকে স্বামী-স্ত্রীর লাশ উদ্ধার করে মাটিরাঙ্গা থানা পুলিশ ৷ এ হত্যাকান্ডের বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে না পারলেও মাটিরাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সাহাদাত হোসেন টিটো বলেন, হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটনে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে ৷ আর লাশ ময়না তদন্তের জন্য খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হবে বলেও জানান তিনি ৷