শনিবার ● ২ জুলাই ২০১৬
প্রথম পাতা » উপ সম্পাদকীয় » একজন সফল মানুষ লায়ন গনি মিয়া বাবুল
একজন সফল মানুষ লায়ন গনি মিয়া বাবুল
এস এম জহিরুল ইসলাম :: বাংলাদেশের গণমাধ্যম, গণমাধ্যম কর্মী, সমাজ উন্নয়ন, শিক্ষাজগতসহ দেশের সাধারণ মানুষের কাছে লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল একটি পরিচিত এবং আলোকিত নাম। সমাজের বিভিন্ন ক্ষেতে তার রয়েছে আলাদা আলাদা অবদান ও স্বীকৃতি। পেশায় একজন শিক্ষক হলেও একজন সফল সংগঠক, লেখক, কলামিস্ট হিসেবে সকলের কাছে সমাদৃত। ছাত্রজীবন থেকেই তিনি লেখালেখির সাথে জড়িত ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর আর্দশে অনুপ্রাণীত হয়ে স্বাধীনতার চেতনা বাস্তবায়নে ছাত্ররাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। ছাত্র রাজনীতি করার সময় ছাত্রদের রাজনৈতিক দলগুলোর লেজুর ভিত্তিক না হয়ে ছাত্রদের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠার ক্ষেতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি শেরপুর কৃষি প্রশিক্ষণ ইনষ্টিটিউট ছাত্র সংসদের ভিপি ছিলেন এবং বাংলাদেশ কৃষি ডিপ্লোমা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি ছিলেন। এছাড়াও বাংলাদেশ ডিপ্লোমা কৃষিবিদ সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। শিক্ষা জীবনে তিনি একজন মেধাবী ছাত্র ছিলেন। লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল বি.এ, বি.এ.জি.এড, ডিপ-ইন-এগ্রি ডিগ্রি অর্জন করেছেন। কৃষি বিষয় গবেষণা, লেখাপড়া ছাড়াও ধর্মের উপর তিনি যথেষ্ট গবেষণা করেছেন। সমাজের বিভিন্ন সমস্যা, সমসাময়িক লেখা, জনসচেতনতামূলক কলাম ও ফিচার লিখে তিনি যেমন পাঠক সমাজের কাছে সুনাম কুড়িয়েছেন, তেমনী ধর্মীয় বিষয়ে তার লেখা, বক্তৃতা ও গবেষণা অনেক সমৃদ্ধশালী। ব্যক্তি জীবনে লায়ন গনি মিয়া বাবুল বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া সংগঠনের পাশাপাশি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সাথেও জড়িত রয়েছেন। ছাত্রজীবন থেকেই লেখালেখির প্রতি ঝোঁক ছিল। তিনি বিভিন্ন জাতীয় ও আঞ্চলিক পত্রিকায় কাজ করেছেন। যে সকল পত্রিকায় লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল সাংবাদিক হিসেবে কাজ করেছেন তার মধ্যে দৈনিক খবর, দৈনিক গণমুখ, দৈনিক মুক্তসংবাদ, দৈনিক জনসংবাদ উল্লেখযোগ্য। বর্তমানে লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল একাধারে দেশের প্রথম শ্রেণীর দৈনিক, সাপ্তাহিক পত্রিকা থেকে শুরু করে সকল স্তরের গণমাধ্যমে সমানভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
মানুষের মৌলিক অধিকার রক্ষায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন লায়ন গনি মিয়া বাবুল, তিনি জাতীয় পরিবেশ মানবািধকার সোসাইটি (জাপমাস) যার গভ: রেজি: নং-এস-৮৯১৩-এর একজন উপদেষ্টা। তিনি মাটি আর মানুষের ভালবাসায় এক নিরব সমাজসেবক হিসেবে কাজ করছেন। সমাজের অবহেলিত দরিদ্র মানুষের পাশে তিনি দাঁড়ান স্ব-হাস্যে। কন্যা দায়গ্রস্ত পিতাকে দায়মুক্ত করেন নিজের মত করে। দরিদ্র ছাত্র/ছাত্রীদেরকে শিক্ষা সামগ্রী প্রদানসহ বিভিন্ন রকম সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেন লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল। শিক্ষা বিস্তারের জন্য তিনি ইতিমধ্যে তার এলাকায় গড়ে তুলেছেন স্কুল, মসজিদ, মাদ্রাসা, ইসলামী পাঠাগারসহ মানসম্পন্ন অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। লিখেছেন শিক্ষামূলক অনেক বই পুস্তক। লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুলের জন্ম ঢাকার অদূরে গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার টেপিরবাড়ী গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে। তার পিতার নাম মোঃ ইসমাইল হোসেন, মাতা আয়শা খাতুন। তারা ৩ ভাই ও ৩ বোন। তিনি ১ কন্যা ও ২ ছেলের জনক। সম্প্রতি তিনি নানা হয়েছেন। পারিবারিক জীবনেও তিনি সফল।
দীর্ঘদিন যাবত লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল লায়নিজমের সাথে জড়িত। লায়ননিজমে ইতোমধ্যে তিনি এমজেএফ পদকও লাভ করেছেন। এই ক্লাবের মাধ্যমে তার নিজ এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অসংখ্য মানুষকে চু চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছেন। বহু প্রতিভার অধিকারী লায়ন গনি মিয়া বাবুল দেশের একজন স্বনামধন্য কবি। তার কবিতা দেশ ও বিদেশের পাঠক সমাজে ইতোমধ্যে পাঠক প্রিয়তা পেয়েছে। তার সমাজ সচেনতামূলক লেখাও দেশের গন্ডি পেড়িয়ে অনলাইনের সহযোগীতায় বিশ্বের বাংলা ভাষাভাষি মানুষের হৃদয় কেড়েছে। লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল অসংখ্যা, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া সংগঠনের সাথে জড়িত রয়েছেন। তার মধ্যে সভাপতি হিসাবে যেসব সংগঠনের দায়িত্ব পালন করছেন তার মধ্যে বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদ, কবি সংসদ বাংলাদেশ, শ্রীপুরের কাছম আলী ন্যাশনাল আইডিয়াল স্কুল, বাংলাদেশ সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি (কৃষি), গাজীপুর জেলার শ্রীপুরের টেপিবাড়ী পশ্চিমপাড়া মরহুম কাছম আলী বাড়ী জামে মসজিদ, টেপিরবাড়ী পশ্চিম পাড়া জামে মসজিদ ভিত্তিক পাঠাগার অন্যতম। বাংলাদেশের একটি ঐতিহ্যবাহী সামাজিক সংগঠন “নিরাপদ সড়ক চাই” এর কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করছেন লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল। এ ছাড়াও তিনি নিরাপদ সড়ক চাই গাজীপুর জেলা শাখার উপদেষ্টা। বর্তমানে তিনি বেশ কয়েকটি সংবাদপত্র ও সংবাদ সংস্থার গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করছেন। এর মধ্যে সংবাদ সংস্থা ও অনলাইন দৈনিক, ফেয়ার নিউজ সার্ভিস লিঃ এফএনএস’র নির্বাহী সম্পাদক, প্রধান উপদেষ্টা সাহিত্য অনলাইন অন্যধারা২৪, প্রধান উপদেষ্টা, সাপ্তাহিক নবজাগরণ ও সাপ্তাহিক লোকালয়। সংবাদপত্র ও সংবাদ সংস্থার পাশাপাশি বেশ কয়েকটি সাংবাদিক সংগঠনের সাথেও তার সম্পৃক্ততা রয়েছে। এর মধ্যে কার্যকরী সভাপতি জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা, প্রধান উপদেষ্টা গাজীপুর জেলা রিপোর্টার্স ক্লাব, উপদেষ্টা রুর্যাল জার্নালিস্ট ফাউন্ডেশন (আরজেএফ), তিনি একজন কবি হিসেবে যেমন পরিচিতি লাভ করছেন, তেমনি কবিদের সংগঠিত করে বিভিন্ন সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদ অলংকৃত করেও দায়িত্ব পালন করছেন। এর মধ্যে কবি সংসদ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান। জাতীয় কবিতা পরিষদ, গাজীপুর জেলা শাখার উপদেষ্টা, কবি গোবিন্দ একাডেমী’র নির্বাহী সদস্য উল্লেখযোগ্য। লায়নিজমকে আরও গতিশীল করার জন্যও তিনি গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে কাজ করছেন। তার মধ্যে রিজিয়ন চেয়ারম্যান, লায়ন্স ক্লাবস ইন্টারন্যাশনাল- ৩১৫ বি-২, বাংলাদেশ, প্রেসিডেন্ট লায়ন্স ক্লাব অব ঢাকা পল্টন এর দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও তিনি অসংখ্য সামাজিক ও মানবাধিকার সংগঠনের সাথে জড়িত রয়েছেন, সামাজিক পরিবেশ ও মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা, নির্বাহী সদস্য, ডিপ্লোমা কৃষিবিদ ইনষ্টিটিউশন, প্রধান উপদেষ্টা, কাছম আলী স্মৃতি সংঘ, শ্রীপুর-গাজীপুর, প্রচার সম্পাদক, গাজীপুর জেলা জনকল্যাণ সমিতি, ঢাকা। অডিটর বাংলাদেশ সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি উল্লেখযোগ্য। সমাজের বিভিন্ন ক্ষেতে বিশেষ অবদানের জন্যে ইতোমধ্যে অসংখ্য পদক ও সম্মননা লাভ করেছেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল:
সমাজসেবায় সচিত্র পত্রিকা সম্মাননা স্বর্ণপদক- ২০০২ই, শ্রেষ্ঠ সংগঠক হিসেবে মানবাধিকার পদক ২০০৫ইং, শ্রেষ্ঠ সংগঠক হিসেবে নওরোজ সম্মানা পদক- ২০০৬, শ্রেষ্ঠ সংগঠক হিসেবে চিত্রলোক সম্মাননা পদক- ২০০৬ইং, শ্রেষ্ঠ সংগঠক হিসেবে ঝুমুর সম্মাননা পদক- ২০০৬ইং, শ্রেষ্ঠ সংবাদপত্রসেবী হিসেবে গাজীপুর জেলা রিপোর্টার্স ক্লাব সম্মাননা পদক- ২০০৬ ইং, শ্রেষ্ঠ সংগঠক হিসেবে স্বাধীনতা দিবস সম্মাননা পদক- ২০০৭ইং, শ্রেষ্ঠ সংগঠক হিসেবে যুবশক্তি সম্মাননা পদক- ২০০৭ইং, শ্রেষ্ঠ সংগঠক হিসেবে সচেতন নাগরিক সমাজ পদক- ২০০৭, শ্রেষ্ঠ সংগঠক হিসেবে হিউম্যান রাইসট রিভিউ সোসাইটি সম্মাননা- ২০০৭ইং, শ্রেষ্ঠ সংগঠক হিসেবে আরজেএফ স্বর্ণ পদক- ২০০৮ইং, শিক্ষা ক্ষেতে বিশেষ অবদানের জন্যে ডি.এইচ.আর সম্মাননা পদক- ২০০৮ইং, শ্রেষ্ঠ সংগঠক হিসেবে হেড ইন্টারন্যাশনাল এ্যাওয়ার্ড- ২০০৮ইং, সাহিত্যে শব্দশীলন সাহিত্য পুরস্কার- ২০০৮ইং, শিক্ষাবিস্তারে অবদানের জন্যে সাপ্তাহিক অপরাধ বিচিত্রা পুরস্কার-২০০৮ইং, সাহিত্যে কবি শামসুর রাহমান স্মৃতি পুরস্কার- ২০০৯, সফল সংগঠক হিসেবে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ সমিতি পদক- ২০১০, গবেষণায় এশিয়া ছিন্নমূল মানবাধিকার পদক- ২০১১, গবেষণায় মাওলানা আকরাম খাঁ পদক- ২০১১, শ্রেষ্ঠ সংগঠক হিসেবে লায়ন্স ক্লাব গভর্ণর সম্মাননা পদক- ২০১১, সফল সমাজসেবক হিসেবে লায়ন্স ক্লাবস্ ইন্টারন্যাশনাল এমজেএফ পদক-২০১২, শ্রেষ্ঠ সংগঠক হিসেবে শিশির বিন্দু মাদকবিরোধী সম্মাননা পদক-২০১২, গবেষণায় ফাল্গুণী সম্মাননা পদক-২০১২, শ্রেষ্ঠ সংগঠক হিসেবে পল্লী বার্তা সম্মাননা পদক- ২০১২। লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল বিভিন্ন গোলটেবিল বৈঠকে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করে সরকার ও দেশবাসীর নজর কেড়েছেন। এর মধ্যে গত তত্বাবধায়ক সরকারের সময় জাতীয় প্রেসকাবে “দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি-জনগণের নাভিশ্বাস উত্তরণের উপায়” শক্তিশালী স্থানীয় সরকার উন্নয়নের বাহক, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রায় আমাদের করণীয়, মুক্তিযুদ্ধের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি, মানবাধিকার উন্নয়নে পুলিশ ও গণমাধ্যমের ভূমিকা, সুষ্ঠু ও নিরপে নির্বাচনে গণমাধ্যমের ভূমিকা, বর্তমান রাজনৈতিক সংকট উত্তরণে মুক্তিযোদ্ধাদের ভূমিকা উল্লেখযাগ্য।
লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল রচিত বা সম্পাদিত বই সমূহ: মুন্নী প্রকাশন কর্কৃক প্রকাশিত ‘ছোটদের শিক্ষামূলক ছড়া ও গল্প,’ নিমন্ত্রণ, শুভ্রতা চলে গেছে নীড়ে, একটি কবিতা, ভালোবাসতে বাসতে, সিডর-ধ্বস্ত বকুলতলা, নীল জলে প্রেম, একটি বক্তৃতার পংতিমালা, নবম শ্রেণীর কৃষি শিক্ষা সহায়ক বই, কিছু কথা, কৃষি ডিপ্লোমা ভর্তি সহায়ক বই।