রবিবার ● ৩ জুলাই ২০১৬
প্রথম পাতা » অপরাধ » হরিণাকুন্ডু পৌরসভায় গোপনে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে নিয়োগ পায়তারা ফাঁস
হরিণাকুন্ডু পৌরসভায় গোপনে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে নিয়োগ পায়তারা ফাঁস
হরিণাকুন্ডু (ঝিনাইদহ) থেকে ফিরে এসে, ঝিনাইদহ জেলা প্রতিনিধি ::(১৯ আষাঢ় ১৪২৩ বাংলা : বাংলাদেশ সময় রাত ১০.০৬মিঃ) ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু পৌরসভায় গোপনে নাম সর্বস্ব পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে নিয়োগ দেওয়ার পায়তারা ফাঁস হয়ে পড়েছে৷ পত্রিকার অস্তিত্ব না থাকায় জেলা প্রশাসকের দপ্তর থেকে নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়েছে৷ ১৫ জুলাই ছাড়পত্রের মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে৷
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় সরকার বিভাগের পৌর-২ শাখার উপ-সচিব কাজী আসাদুজ্জামান স্বাক্ষরিত পৌর-২/৪৬.০৬৪.০১১.৩২.০২.৪৫৩.২০১১/৩০৯ নং স্মারকে হরিণাকুন্ডু পৌরসভায় স্যানিটারী ইন্সপেক্টর ও সড়ক বাতি পরিদর্শক এ দুটি পদে দুই জন কর্মচারী নিয়োগের নিম্মিত্তে ছাড়পত্র দেয়া হয় এবং ৬ মাসের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে মর্মে নির্দেশক্রমে ছাড়পত্র দেয় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়৷
অভ্যন্তরীন সমষ্যা এবং নিয়োগ নিয়ে সৃষ্ট জটিলতার কারণে ৬ মাস মেয়াদ পূর্ণ হলেও দুটি পদের নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারেনি পৌর কর্তপক্ষ ৷ এরপর ২ মাস মেয়াদ বৃদ্ধি করে আবারো ছাড়পত্র দেয় স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়৷
পৌরসভার কর্মচারী চাকুরী বিধিমালা ১৯৯২ এবং এ সংক্রান্ত অন্যান্য বিধিবিধান যথাযথভাবে অনুসরণপূর্বক একটি জাতীয় দৈনিক ও একটি স্থানীয় দৈনিক পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে বলা হলেও তা করেনি সচিব৷
অথচ অসত্ উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য গোপনে শুধু মাত্র নাম সর্বস্ব পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেয় সচিব সন্তোষ কুমার হাজরা, কনজারভেন্সি সুপার ভাইজার হাবিব ও চাকরি প্রার্থীরা৷ হরিনাকুন্ডুর পৌর মেয়র নিয়াগ কর্তা হলেও তাকে না জানিয়ে গোপনে বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়৷ বাছাই কমিটি গঠন করে উলেস্নখিত পদসমূহে প্রার্থী বাছাইপূর্বক নিয়োগ পক্রিয়া সম্পন্ন করার বিধান থাকলেও তা করা হয়েছে অতি গোপনে৷
আঈীনত প্রত্রিকায় প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে ছাড়পত্র নম্বর ও তারিখ উল্লেখ করতে হবে৷ আবেদনপত্র গ্রহণের জন্য অনত্মত ১৪ দিন সময় প্রদানের কথা থাকলেও তাও করা হয়েছে গোপনে রাতের আধারে৷ আর এ সব কিছু করা হয়েছে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে৷ প্রার্থীদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয়া হয়েছে লাখ লাখ টাকা৷
অতি গোপনে নিয়োগ সম্পন্ন করতে পৌরসভার সচিব সনত্মোষ কুমার হাজরা, কনজারভেন্সি সুপার ভাইজার ও চাকরি প্রার্থীরা মিলে নাম সর্বস্ব পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেয়৷ উক্ত পত্রিকার বিজ্ঞপ্তি নিয়ে জেলা প্রশাসকের দপ্তরে নিয়োগ পরীক্ষার দিন ধার্য করতে এলে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মেজাব-এ রহমত সাফ জানিয়ে দেন যে, পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছে এ পত্রিকার কোন অস্তিত্ব নাই৷
কাজেই নিয়োগ দেয়া যাবে না৷ কাজেই মনোকষ্ট নিয়ে সেখান থেকে ফিরে যেতে হয় নিয়োগ কর্তাদের৷ গোটা হরিণাকুন্ডুতে এ নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে নানা গুঞ্জন৷
এলাকাবাসি বহুল প্রচারিত দৈনিকে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সুষ্ঠু প্রক্রিয়ায় নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করতে জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রতি আহবান জানান৷