মঙ্গলবার ● ৫ জুলাই ২০১৬
প্রথম পাতা » অপরাধ » ঝিনাইদহে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন টার্গেট কিলিংয়ের বিরুদ্ধে
ঝিনাইদহে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন টার্গেট কিলিংয়ের বিরুদ্ধে
ঝিনাইদহ জেলা প্রতিনিধি :: ঝিনাইদহে সেবায়েত শ্যামানন্দ দাস, পুরোহিত আনন্দ গোপাল গাঙ্গুলী ও গুলশানে বিদেশী হত্যাসহ সারাদেশে টার্গেট কিলিং এর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে খুন-ধর্ষণ-জঙ্গিবাদ বিরোধী গণআন্দোলন ঝিনাইদহ জেলা শাখা৷ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে শ্রেণী-পেশার মানুষ কর্মসুচিতে অংশগ্রহণ করেন৷
এ সময় ঢাকা থেকে আসা বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা সেবায়েত শ্যামানন্দ দাস হত্যাকান্ডর স্থান পরিদর্শন করেন৷ ৪ জুলাই সোমবার দুপুর ১ টার দিকে ঝিনাইদহ সদরের মধুপুর শ্রী শ্রী রাধামদন গোপাল বিগ্রহ মঠের সামনে এ কর্মসুচি পালিত হয়৷ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে, গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সভাপতি কমরেড মন্টু ঘোষ, কেন্দ্রীয় যুব ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুলস্নাহ কাফী রতন, উদীচী শিল্পী গোষ্ঠির সহ-সাধারণ সম্পাদক জামশেদ আনোয়ার তপন, ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় নেতা শিলামী শুভ, ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক নেতা তারিক হাসানসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্ধ উপস্থিত ছিলেন৷
কমরেড মন্টু ঘোষ বলেন, আমরা আপনাদের দুঃখ ভাগাভাগি করতে এসেছি৷ এভাবে মানুষ হত্যা চলতে পারে না৷ আমাদেরকে আরো সজাগ হতে হবে৷ সন্ত্রাসীদের ভয়ে ভীতু হওয়া যাবে না৷ ঐক্যবদ্ধভাবে তাদেরকে প্রতিহত করতে হবে৷ এক শ্রেণীর নরপিশাচরা এ ধরনের কর্মকান্ড করছে৷
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার ঝিনাইদহ সদর উপজেলার শ্যামানন্দ দাস (৫০) নামের এক সেবায়েতকে মোটরসাইকেলে ৩ দুর্বৃত্ত এসে কুপিয়ে হত্যা করে৷ সে উত্তর কাষ্টসাগরা গ্রামের শ্রী শ্রী রাধারমন মঠ মন্দিরের গোসাই ও নড়াইল সদর উপজলার মুশুড়ি গ্রামের কিরন সরকারের ছেলে৷
এর আগে গত ৭ জুন মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার নলডাঙ্গা ইউনিয়নের খড়াসিং ও সোনাইখালীর মাঠের মধ্যে মহিষা ভাগাড় নামক স্থানে আনন্দ গোপাল গাঙ্গলী (৬৪) নামে এক হিন্দু পুরোহিত কুপিয়ে ও জবাই করে হত্যা করে৷ সে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার নলডাঙ্গা সোনাইখালী মন্দিরের পুরোহিত ছিল৷ নিহত আনন্দ ঝিনাইদহ সদর উপজেলার করতিপাড়ার মৃত সত্য গোপাল গাঙ্গলীর ছেলে৷
এদিকে বিএনপি জামায়াতের মদদপুষ্ট সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে ঝিনাইদহ জেলা ছাত্রলীগ৷ সোমবার দুপুরে জেলা ছাত্র লীগের কার্যালয় থেকে মিছিলটি বের হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে৷ পরে পায়রা চত্বরে গিয়ে মিছিলটি শেষ হয়৷
সেখানে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাকিল আহম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক রানা হামিদসহ অন্যান্য ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ৷ সমাবেশে ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ দেশব্যাপী সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ, গুপ্তহত্যা বন্ধে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান৷