মঙ্গলবার ● ৫ জুলাই ২০১৬
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » বান্দরবানের ৩টি নদীর পানি বইছে বিপদসীমার ওপর দিয়ে: ১২টি আশ্রয় কেন্দ্র চালু
বান্দরবানের ৩টি নদীর পানি বইছে বিপদসীমার ওপর দিয়ে: ১২টি আশ্রয় কেন্দ্র চালু
মোহাম্মদ আব্দুর রহিম, বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি:: (২১ আষাঢ় ১৪২৩বাংলা: বাংলাদেশ সময় রাত ৮.২৩ মিঃ) টানা ৩দিনের প্রবল বৃষ্টিপাতে পাহাড়ি ঢলে সাংগু, মাতামহুরী এবং বাঁকখালী নদীতে পানির প্রবাহ বিপদসীমার ৫ থেকে ৬ফুট ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে আজ ৫ জুলাই মঙ্গলবার সকাল থেকে ৷
মাঝারি বর্ষণ অব্যাহত থাকায় জেলায় ব্যাপক এলাকা বন্যায় তলিয়ে যাবার আশংকা দেখা দিয়েছে৷ সোমবার ভোর রাতেই তালিয়ে গেছে জেলা শহর এবং লামা উপজেলা সদরের নিচু এলাকার শত শত ঘরবাড়ি৷ বান্দরবান শহর এবং লামা উপজেলা সদরে ১২টি বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র খুলেছে প্রশাসন ও পৌরকর্তৃপক্ষ ৷
এসব আশ্রয় কেন্দ্রে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত প্রায় ৩০০ পরিবার আশ্রয় গ্রহণ করেছে৷ তাদের মাঝে খিচুুড়ি বিতরণ করা হচ্ছে৷ পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিতে বসবাসরত পরিবারগুলোকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে৷
বান্দরবান শহরের অদুরে পুলপাড়া এলাকায় প্রবল বর্ষণে পাইনছাড়া খালে বানের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রায় ২০ফুট নিচে তলিয়ে গেছে বেইলিসেতু ও সড়কপথ ৷ ফলে জেলা সদরের সাথে রাঙামাটির সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে মঙ্গলবার ভোর থেকেই৷ টানা বর্ষণে উজান থেকে নেমে আসা পানিতে বান্দরবান-চট্টগ্রাম প্রধান সড়কের বাইতুল ইজ্জত, দৌরিয়ারহাট ও আমতলী এলাকা তলিয়ে যাওয়ায় দুপুর থেকেই অতিঝুকিতে যানবাহন চলাচল করছে৷ রাতেই এ সড়কপধ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে সারাদেশের সাথে বান্দরবান জেলা সদরের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে৷
জেলা শহর এবং লামা উপজেলা সদরের নিচু এলাকাসমুহ বানের পানিতে তলিয়ে গেছে৷ বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতির আশংকা করা হচ্ছে৷ প্রবল বর্ষণজনিত কারণে পবিত্র ইদুল ফিতর মসজিদ ভিত্তিক অনুষ্ঠিত হবে বলেও প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছে৷