শনিবার ● ৯ জুলাই ২০১৬
প্রথম পাতা » কৃষি » র্যাবের স্থায়ী ইউনিট স্থাপনের দাবি বান্দরবান আওয়ামীলীগের
র্যাবের স্থায়ী ইউনিট স্থাপনের দাবি বান্দরবান আওয়ামীলীগের
বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি:: (১৫ আষাঢ় ১৪২৩ বাংলা: বাংলাদেশ সময় রাত ৮.২৮মিঃ) বান্দরবানে সন্ত্রাসীদের হাতে অপহৃত দলীয় নেতা মংপু মারমাকে ২৮দিন অতিবাহিত হওয়ার পরও উদ্ধার করতে না পারায় জেলা আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ এবং আইনশৃংখলা বাহিনীর নিস্ক্রিয়তার কঠোর সমালোচনা করেছেন৷ তিনি বান্দরবান জেলা সদরের অদুরে নিজগ্রাম জামছড়িমুখ পাড়া থেকে গত ১৩জুন রাতে সন্ত্রাসীদের হাতে অপহৃত হন৷ বান্দরবানসহ পাহাড়ে ব্যাপক ও প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস, অপহরণ, গুম ও হত্যাযজ্ঞের জন্যে পার্বত্য জনসংহতি সমিতির লালিত-পালিত সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের দায়ী করে আওয়ামীলীগ নেতারা বলেছেন, অবিলম্বে অপহৃত দলীয় নেতাকে মুক্তি প্রদান, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারসহ সন্ত্রাসীদের নির্মূলে প্রশাসন ও সরকারি বাহিনীগুলোর অভিযান আরো জোরদার করতে হবে৷ নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করেন, পার্বত্য জনসংহতি সমিতি পাহাড়ে আওয়ামীলীগ নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার শুরু করেছে এবং নানামুখি হুমকি-ধামকি দিয়ে বেড়াচ্ছে,সাধারণ মানুষ জনসংহতি সমিতির ঘৃণ্য তত্পরতার বিরুদ্ধে ক্রমেই সোচ্চার হয়ে উঠছেন৷ নেতৃবৃন্দ পার্বত্য তিন জেলায় বিরাজমান সন্ত্রাসবাদ ও সন্ত্রাসী নির্মূলে র্যা-এর ৩টি স্থায়ী ক্যাম্প স্থাপনেরও দাবি জানান৷ মংপু মারমা উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত পাড়ায় পাড়ায় সন্ত্রাস ও সন্ত্রাসী তত্পরতা রোধে জনমত গঠনে সভা-সমাবেশ অব্যাহত রাখা হবে, জেলার ৩৩টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভায় সন্ত্রাস দমনে কমিটিও গঠন করার ঘোষণা দেন নেতৃবৃন্দ৷ তাঁরা অভিযোগ করেন, জনসংহতি সমিতি তাদরে লালিত সশস্ত্র বাহিনী দিয়ে আওয়ামীলীগের সক্রিয় নেতা-কর্মীদের অপহরণ, গুম ও হত্যার নীলনক্সা তৈরি করা হয়েছে৷
৯ জুন শনিবার দুপুরে জেলা আওয়ামীলীগের দলীয় অফিসে আয়োজিত সন্ত্রাস বিরোধী আওয়ামীলীগের অবস্থান নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি একেএম জাহাংগীর এসব কথা জানান৷ এ সময় পৌরমেয়র ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মো.ইসলাম বেবী, পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য ও দলের জেলা কমিটির যুগ্নসম্পাদক লক্ষীপদ দাস, শীর্ষ নেতা রাংলাই ম্রো এবং পাপন বড়ুয়াসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন৷