মঙ্গলবার ● ১৯ জুলাই ২০১৬
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » বেস্ট পেপার এওয়ার্ড পেলেন চুয়েটের অধ্যাপক ড. কৌশিক দেব
বেস্ট পেপার এওয়ার্ড পেলেন চুয়েটের অধ্যাপক ড. কৌশিক দেব
আমির হামজা, রাউজান প্রতিনিধি :: (৪ শ্রাবণ ১৪২৩ বাংলা: বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭.২৩মিঃ) ইংল্যান্ডের পোটর্সমাউথ ইউনিভার্সিটিতে অনুষ্ঠিত ‘হিউম্যান সিস্টেম ইন্ট্যার্যাকশন ( HSI2016)’ শীর্ষক নবম আর্ন্তজাতিক কনফারেন্সে বেস্ট পেপার এওয়ার্ড পেয়েছেন চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. কৌশিক দেব। সম্প্রতি (৬-৮ জুলাই, ২০১৬ খ্রি:) অনুষ্ঠিত এ কনফারেন্সে ‘স্টেয়ারওয়েজ ডিটেকশন এন্ড ডিসটেন্স ইস্টিমেশন এপ্রোচ বেইজড্ অন থ্রি কানেকটেড পয়েন্ট এন্ড ট্রায়াঙ্গুলার সিমিলারিটি’ (Stairways Detection and Distance Estimation Approach Based on Three Connected Point and Triangular Similarity ) শীর্ষক প্রবন্ধের জন্য তিনি অন্য দুজন সহ-লেখকসহ এ এওযার্ড পান। সহ লেখকগণ হলেন মি. মো: খলিলুজ্জামান এবং মি. ক্যাং হিউন ( Kang-Hyun)। উক্ত গবেষণাটি দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের বিশেষ উপকারে আসবে বলে গবেষকরা জানান। এদিকে এ গৌরবময় অর্জনের জন্য অধ্যাপক ড. কৌশিক দেবকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম।
উক্ত প্রবন্ধে উল্লেখ করা হয় যে, ‘‘বর্তমানে সকল সিস্টেম স্বয়ংক্রিয় হয়ে আসার সাথে সাথে স্বয়ংক্রিয় সিঁড়ি (stair) আরোহনের পদ্ধতির প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। এছাড়াও দৃষ্টি প্রতিবন্ধী মানুষদের জন্য সিঁড়ির উপস্থিতি এবং তার কাছ থেকে সিঁড়ির দুরত্ব তাকে জানানোর ব্যবস্থা করার প্রয়োজনীয়তাও বিদ্যমান। এই সকল গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে এই গবেষণা প্রবন্ধটি উপযুক্ত হিসেবে কাজ করবে। এই গবেষণা প্রবন্ধের মূল উদ্দেশ্য কোন অজানা পরিবেশে সিঁড়িযুক্ত ইমেজ বা ছবি থেকে সিঁড়ির অঞ্চল সনাক্ত করা এবং ক্যামেরা থেকে উক্ত সিঁড়ি অঞ্চলের আনুমানিক দুরত্ব নির্ণয় করা। এই গবেষণা কোন স্বশাষিত সিঁড়ি আরোহন পরিভ্রমন (autonomous stair climbing navigation) এর জন্য এবং দৃষ্টি প্রতিবন্ধী (vision impaired) মানুষের এলার্ম সিস্টেম ( alarm system) এর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই গবেষণা প্রবন্ধে সিঁড়ি অঞ্চল সনাক্তকরণ ও ক্যামেরা থেকে সিঁড়ি অঞ্চলের দুরত্ব নির্ণয়ের জন্য দুটি কাঠামো (framework) প্রস্তাব করা হয়। প্রথম কাঠামো (framework) এ সিঁড়ির কিছু প্রাকৃতিক (natural) এবং অন্যান্য (unique) বৈশিষ্ট্যকে নিয়ামক হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এই বৈশিষ্ট্যগুলোর মাধ্যমে সিঁড়ির অঞ্চলের ন্যায্যতা (validate) ও সত্যতা (justify) প্রতিপাদন করে সিঁড়ির অঞ্চল সনাক্ত করা হয়। সিঁড়ি অঞ্চল সনাক্তকরণের পর দ্বিতীয় কাঠামো দ্বারা ক্যামেরা থেকে সনাক্তকৃত সিঁড়ি অঞ্চলের দুরত্ব নির্ণয় করা হয়। এই দুরত্ব নির্ণয়ের মাধ্যমে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী মানুষেরা তাদের হাঁটার গতি এবং সিঁড়ির প্রথম ধাপে তাদের পায়ের উচ্চতা বজায় রাখতে সক্ষম হবে। প্রস্তাবিত কাঠামো (framework) এর মাধ্যমে অজানা পরিবেশে বাস্তবসম্মত মিলিসেকেন্ড সময়ে (real-time)indoor এবং outdoor এর সিঁড়ির অঞ্চলকে সনাক্ত করা যাবে এবং সনাক্তকৃত অঞ্চলের দুরত্ব ক্যামেরা থেকে নির্ণয় করা যাবে।’’