বৃহস্পতিবার ● ১৫ অক্টোবর ২০১৫
প্রথম পাতা » জাতীয় » পাহাড়ে ৪অপহরণের ঘটনা
পাহাড়ে ৪অপহরণের ঘটনা
মোঃ আব্দুর রহিম বান্দরবান প্রতিনিধি :: বান্দরবান ও রাঙামাটি জেলার সীমান্ত এলাকা থেকে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের হাতে অপহৃত ২ পর্যটকসহ ৪জনকে উদ্ধারে নিরাপত্তা বাহনিী,বিজিবি ও পুলিশের যৌথ অভিযান অব্যাহত রয়েছে ৷ গত ৩ অক্টোবর এ ৪জন পৃথক স্থান থেকে অপহৃত হলেও তাদের কোন সন্ধান বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত পাওয়া যায়নি বলে সরকারি সুত্রগুলো বলেছে ৷ তবে বুধবার সকাল থেকে দুর্গম ও সীমান্ত এলাকাজুড়েই যৌথ বাহিনীর অভিযান আরও জোরদার করা হয়েছে ৷ ৬দিন রুমা উপজেলা সদরে অবস্থান করে যৌথ বাহিনীসহ স্থানীয়দের সাথে সাক্ষত শেষে বুধবার বিকেলে ঢাকায় ফিরে গেছেন অপহৃত মুন্না ও জাকিরের ২ স্বজনরা ৷ তারা গত শুক্রবার (৯ অক্টোবর)অপহৃতদের বিষয়ে খোঁজ-খবর নিতে ঢাকা থেকে বান্দরবান এসেছিলেন ৷ ঢাকায় ফিরে যাবার প্রাক্কালে অপহৃতদের স্বজন পরিচদানকারী আবদুর রব ও আরাফাত হোসেন রাসেল জেলা সদরের সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে জানান, রুমা উপজেলা ও জেলা সদরে যৌথ বাহিনী এবং পাহাড়ি নেতৃবৃন্দ তাদেরকে আশ্বস্ত করেন, শিগগিরই অপহৃতদেরকে উদ্ধার করা সম্ভব হবে, চেষ্টা চলছেই ৷ যৌথ বাহিনী এ লক্ষ্যে তাদের অভিযান আরও জোরদার করেছে, প্রয়োগ করা হচ্ছে নানামুখি কৌশলও ৷
এদিকে বান্দরবানের দুর্গম রেমাক্রিপ্রাংসা ইউনিয়নের গ্রামপ্রধান ফাইসিং কারবারী, ইউপি সদস্য অনন্দ্র ত্রিপুরা,মংসাং ম্রো এবং রুমা বাজারের ব্যবসায়ী জয়পালকে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা জিজ্ঞাসাবাদ করছেন গত মঙ্গলবার থেকে ৷
অপরদিকে রাঙামাটি জেলার রাজস্থলী উপজেলার কাছে ইসলামপুর এলাকার একটি ঘর থেকে আরাকান আর্মির শীর্ষ নেতা একাধিক মামলায় পলাতক আসামী ডা.রেনিন সুকে যৌথ বাহিনী বুধবার ভোররাতে গ্রেফতার করেছেন ৷ তাকে আদালত ৫ দিন রিমান্ড মনজুর করায় ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে ৷ স্থানীয়রা আশা করছেন, আরাকান লিবারেশন পার্টির নামে অস্ত্রধারীদের হাতে অপহৃত হওয়া ২পর্যটক এবং ২জন স্থানীয় পাহাড়ি গাইডের অবস্থান সম্পর্কে গুরুতপুর্ণ তথ্য উদঘাটিত হতে পারে ৷ সেই লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে যৌথ বাহিনী ৷
সীমান্ত ও দুর্গম এলাকা থেকে অপহৃতদের উদ্ধারে বিজিবি সহযোগিতা চাওয়ায় তাতে বিএসএফ ছাড়া দিয়েছে বলে বিজিবি সুত্র জানায় ৷ গত সোমবার বিজিবি সহযোগিতা চায় বিএসএফের ৷ আপলোড : ১৫ অক্টোবর ২০১৫ : বাংলাদেশ : সময় : রাত ২.৩৩মিঃ