বুধবার ● ২০ জুলাই ২০১৬
প্রথম পাতা » অপরাধ » ঝিনাইদহে পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে শিবির নেতা নিহত
ঝিনাইদহে পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে শিবির নেতা নিহত
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: ঝিনাইদহ সদর উপজেলার আড়ুয়াকান্দি কবরাস্থানে পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে সাইফুল ইসলাম মামুন (২৫) নামে এক শিবির নেতা নিহত হয়েছেন৷ ১৮ জুলাই সোমবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে৷ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের দাওয়াহ ও ইসলামীক স্টডিজ বিভাগর মাস্টার্স শেষ বর্ষের ছাত্র সাইফুল শৈলকুপা উপজেলার মুচড়াপাড়া পুটিমারী গ্রামের লুত্ফর রহমানের ছেলে৷
ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি হরেন্দ্রনাথ সরকার জানান, ঝিনাইদহ সদর থানা পুলিশের একটি টহলদল ঝিনাইদহ-মাগুরা সড়কে আড়ুয়াকান্দি নামক স্থানে পৌঁছালে শিবিরের নেতা-কর্মীরা পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে ৪/৫ টি হাতবোমা ছুড়ে মারে৷ পুলিশের আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালালে উভয় পক্ষের মধ্যে কমপক্ষে ২০ মিনিট গুলি বিনিময় হয়৷ বন্দুকযুদ্ধ শেষে শিবির নেতা-কর্মীরা পালিয়ে গেলে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ সাইফুলের লাশ উদ্ধার করা হয়৷
ওসি আরো জানান, বন্দুকযুদ্ধের পর ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র, গুলি, ৫টি বোমা ও ৩টি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে৷ এ সময় পুলিশের দুই কনষ্টেবল ফয়সাল হোসেন ও সুমন হোসেন আহত হয়েছেন বলেও তিনি জানান৷ শিবির নেতা সাইফুলের লাশ ময়না তদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে৷
অন্যদিকে সাইফুলের বাবা লুত্ফর রহমান অভিযোগ করেন, গত ১ জুলাই (শুক্রবার) রাত ২.১৫টার সময় শহরের পবহাটী গ্রামের টুলু মিয়ার বাড়ির ছাত্রাবাস থেকে পুলিশ তার ছেলেকে আটক করে নিয়ে যায়৷ সাইফুলের আটকের খবর ০১৯২৬-৯০৬২০১ নাম্বারের মোবাইল ফোন থেকে জানানো হয়৷ বাবার ভাষ্যমতে খবর পেয়ে শনিবার দুপুরে তিনি ও প্রতিবেশি কাজিপাড়া গ্রামের তপন কুমার ঘোষ ঝিনাইদহ সদর থানায় খাবার দিতে আসেন৷
এ সময় দুর থেকে দেখেন সাইফুল থানা হাজতে আছে ৷ দুর থেকে তাদের ইশারাও হয়৷ বিকাল ৩টার দিকে খাবার দিতে গেলে থানা থেকে জানানো হয় সাইফুল নামে থানায় কেও নেই৷
সাইফুলের মামাতো ভাই ব্যবসায়ী নাসির উদ্দীন জানান, সাইফুলকে পুলিশ গ্রেফতারের পর আমরা ফুলহরি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জামিরুল ইসলাম বিপুল ও শৈলকুপার এমপি ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী আব্দুল হাইকে জানায়৷ তারা বলেছিলেন শিবির করলে আমরা কিছুই করতে পারবো না৷ এর পর থেকে আমরা চুপ হয়ে যায়৷
নাসির জানান, পুলিশের হাতে আটকের ১৮ দিন পর মঙ্গলবার সকালে শুনছি সাইফুল পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে মারা গেছে৷
বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজবাহার আলী শেখ জানান, নিহত সাইফুল শিবিরের ভাটই অঞ্চলের সাধারন সম্পাদক ছিলেন৷
এ ছাড়া তিনি ফুলহরি ইউনিয়নের সাবেক মাদ্রাসা বিষয়ক সাধারন সম্পাদক ও শিবিরের সাথী ছিলেন বলে জানান৷ তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা ছিল৷ বন্দুক যুদ্ধের আগে সাইফুলকে আটকের কথা অস্বীকার করেন তিনি৷