শনিবার ● ২৩ জুলাই ২০১৬
প্রথম পাতা » ঢাকা » আওয়ামী ওলামা লীগসহ সমমনা ১৩ দলের মানববন্ধন
আওয়ামী ওলামা লীগসহ সমমনা ১৩ দলের মানববন্ধন
ঢাকা প্রতিনিধি :: (৮ শ্রাবণ ১৪২৩ বাংলা : বাংলাদেশ সময় দুপুর ৩.৩৮মিঃ) ঢাকা জাতীয় প্রেসক্লাবে ২৩ জুলাই শনিবার সকালে আওয়ামী ওলামা লীগসহ সমমনা ১৩ দলের বিশাল মানববন্ধন অনুষ্টিত হয়। তাদের দাবি, ১. সন্ত্রাসীদের দমনের সহযোগীতার নামে এদেশে যে কোনো রাষ্ট্রের সেনাবাহিনী পাঠানোর অপচেষ্টা ওলামা লীগ রুখে দিবে। বিশেষ করে এই দেশে আইএস তৈরীর আমেরিকান ষড়যন্ত্রে এবং এদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম দখলের আমেরিকান খাহেশ রুখে দেয়ার জন্য ওলামা লীগ সর্বাত্মক জনমত গড়ে তুলবে।
২. পাঠ্যপুস্তকে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জীবনী মুবারক এবং হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম উনাদের বর্ণনা এবং ইসলামী আদর্শ ও মূল্যবোধের আলোকপাত নেই বলেই শিক্ষার্থীরা ইসলাম থেকে দূরে সরে সন্ত্রাসবাদে দিক্ষিত হচ্ছে। এর অবসান ঘটাতে হবে।
৩. যেসব মিডিয়ার হঠকারীতায় বিডিআর বিদ্রোহ এবং গুলশান হত্যাকা- পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অসুবিধা রয়েছে তাদের এবং যেসব মিডিয়া ও মিডিয়াকর্মী সন্ত্রাসীদের সাথে গোপন সম্পর্ক রাখে এবং তাদের এজেন্ট হয়ে কাজ করে তাদেরকে চিহ্নিত করতে হবে। এ ধরণের মিডিয়া লাইসেন্স বাতিল করতে হবে।
৪. মোসাদের সাথে জড়িত উগ্র সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসী ও গয়েশ্বর মার্কা হিন্দু এবং জামাত-জোট এজেন্ট- যারা এদেশে আইএস সৃষ্টিসহ বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করতে চায়, বিশেষ করে বর্তমানে ‘সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা হিন্দু নির্যাতন করছে’ বলছে এবং ‘বর্তমান সরকারের আমলে বেশি হিন্দু নিপীড়ণ হচ্ছে’ অপপ্রচার চালাচ্ছে তাদের কঠোরভাবে প্রতিহত করতে হবে। পাশাপাশি কাশ্মীরসহ সারা ভারতে যে অবর্ণনীয় মুসলিম নির্যাতান চলছে সরকারকে তার তীব্র প্রতিবাদ জানাতে হবে।
৫. ঈদের ছুটি ৯ দিন করার জন্য ওলামা লীগের দাবী মেনে নেয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ। এ ছুটি অব্যাহত রাখতে হবে। এবং আগামী কুরবানী ঈদেও ষড়যন্ত্রকারীদের নির্দিষ্ট স্থানে কুরবানীর প্রচারণা প্রতিহত করতে হবে।
৬. ১৫ই আগষ্টকে জাতীয় শাহাদাত দিবস ঘোষণা করতে হবে। এবং বিশেষ বাজেট ঘোষণা করে দেশের ১৫ লাখ মসজিদে বিশেষ মীলাদ মাহফিল ও তাবারুকের ব্যবস্থা করতে হবে।
৭. পিস টিভি বন্ধের জন্য সরকারকে আন্তরিক মোবারকবাদ। পাশাপাশি পিস টিভি মতাদর্শের জামাতী মালানা তারেক মনোয়ারের মতো মালানাদের মাহফিল নিষিদ্ধ করতে হবে। এবং তাদের গ্রেফতার করতে হবে। নেপালে ভারতীয় টিভি চ্যানেল বন্ধ হলে, চীনে পর্ণগ্রাফী বন্ধ হলে বাংলাদেশে নয় কেন ?
৮. পাক-ভারত যুদ্ধের সময়ে ঘোষিত শত্রু সম্পত্তি এখন রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি। অর্পিত সম্পত্তির মোড়কে এটা কারো তুলে দেয়া যাবে না। ভারতে শত্রু সম্পত্তি এখনো মুসলমানদের ফেরত দেয়নি। অবিলম্বে অর্পিত সম্পত্তি আইন বাতিল করতে হবে। রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষা করতে হবে।
৯. ঢাকার বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে। শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতি জেলায়ই উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে হবে। তাহলে সন্ত্রাসী ছাত্রদের তথ্য নেয়া ও মনিটরিং সহজ হবে।
১০. যে অর্থমন্ত্রী নিজেকে নিজে প্রতিবন্ধি বলে, তার নিজেরই অব্যাহতি নেয়া উচিৎ। কৃষকের উপর কর আরোপ এবং আখ চাষ বন্ধ করণের প্রতিবন্ধী খাহেশ বাস্তবায়ন করতে দেয়া যাবেনা। পাটের মতো চিনি শিল্পকেও ঘুরে দাড়াতে সাহায্য করতে হবে।
বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগসহ সমমনা ১৩টি ইসলামিক দলের উদ্যোগে ১০ দফা দাবীতে আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক বিশাল মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে বক্তারা ১০টি বিষয়ে বিভিন্ন দাবী তুলে ধরেন।
ইসলাম বর্জিত কুফরী শিক্ষানীতি- ২০১০ বাতিল করতে হবে। পাঠ্যক্রমে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, হযরত আবু রসূলিনা ও উম্মু রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, হযরত নবী রসূল আলাইহিমুস সালাম, হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম, হযরত ছাহাবাই কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম, হযরত মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম, হযরত আউলিয়া-কিরাম রহমতুল্লাহিম আলাইহিমগণের জীবনী ও আদর্শের আলোকপাত নেই বলেই শিক্ষার্থীরা ইসলাম থেকে দূরে সরে সন্ত্রাসবাদে দিক্ষিত হচ্ছে। এর অবসান ঘটাতে হবে।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ইসলাম বর্জিত শিক্ষানীতির কারণে দেশে ছাত্র-ছাত্রীরা সন্ত্রাসবাদে দীক্ষা নিচ্ছে। অথচ ইসলামে সন্ত্রাসবাদ সম্পূর্ণ হারাম। পবিত্র কুরআন শরীফের বিভিন্ন আয়াত শরীফে এবং বিভিন্ন হাদীস শরীফে সন্ত্রাসবাদ ও সস্ত্রাসী তৎপরতা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।