শনিবার ● ২৩ জুলাই ২০১৬
প্রথম পাতা » জাতীয় » স্বাধীনতার পক্ষের শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে অপশক্তিকে রুখতে হবে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাধীনতার পক্ষের শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে অপশক্তিকে রুখতে হবে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
সোহেল রানা, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি :: (৮ শ্রাবণ ১৪২৩ বাংলা : বাংলাদেশ সময় রাত ৮.৫৭মিঃ) দেশের অগ্রযাত্রা ত্বরান্বিত করে একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জনে যখন আওয়ামীলীগ সরকার কাজ করছে ঠিক তখনই একটি অপশক্তি দেশকে অস্থিতিশীল করতে ধর্মের নামে মানুষ হত্যা করে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির পায়তারা করছে৷ অপশক্তির কাছে মাথা নত না করে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তিকে ঐক্যব্ধ হয়ে অপশক্তিকে রুখতে হবে৷
২৩ জুলাই শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে জেলা আইন শৃংখলা কমিটির সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্য মোহাম্মদ নাসিম মন্ত্রী এসব কথা বলেন৷
তিনি বলেন, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে আওয়ামীলীগ এবং অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে জঙ্গী-সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধ কমিটি গঠন করার আহবান জানিয়ে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, শুধু কমিটি গঠন করলেই চলবে না সকলকে মাঠে থাকতে হবে৷
এ সময় মন্ত্রী সকল অভিভাবকদের বলেন, আপনার সন্তানকে মোবাইল কিনে দেন, ল্যাপটপ কিনে দিয়েছেন, কিন্তু তারা কি করছে খোঁজ খবর নিন৷ সন্তানদের সকল বিষয়ে খোঁজ-খবর নেয়া অভিভাবকদের দায়িত্ব ও কর্তব্য৷
মোহাম্মদ নাসিম বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট আমলে দেশে জঙ্গীবাদের উত্থান ঘটেছিল৷ ওই সময় ৬২ জেলায় একযোগে বোমা বিস্ফোরণ, ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলা, হবিগঞ্জে কিবরিয়া হত্যাসহ অসংখ্য জঙ্গী হামলার ঘটনা ঘটেছে৷ বাংলা ভাই ও শায়খ আব্দুর রহমানের মত জঙ্গী খালেদা জিয়ার আমলে সৃষ্টি হয়েছিল৷ ২০০৯ সালে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর কঠোর হসত্মে জঙ্গীবাদ দমন করা হয়েছে৷
তিনি গুলশান ট্রাজেডি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর প্রশংসা করে বলেন, ভারতের বোম্বে হামলা নিয়ন্ত্রণ করতে ৭২ ঘন্টা সময় লেগেছিল৷ সেখানে শতাধিক মানুষের প্রাণহানির ঘটনা ঘটে৷ সরকারের দুরদর্শী সিদ্ধান্তে গুলশান হামলার ঘটনা মাত্র কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে৷ ১৩ জন জীবিত মানুষকেও উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে৷
জেলা প্রশাসক বিলস্নাল হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক সাবেক মন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া, সিরাজগঞ্জ জেলা পরিষদ প্রশাসক ও সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাস, সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিলস্নাত মুন্না, সিরাজগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য গাজী ম. ম আমজাদ হোসেন মিলন, পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহম্মেদ, চেম্বার অব কমাসের্র প্রেসিডেন্ট আবু ইউসুফ সূযর্্য, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি এ্যাড. কে এম হোসেন আলী হাসান ও সিরাজগঞ্জ পৌর মেয়র সৈয়দ আব্দুর রউফ মুক্তা প্রমূখ৷