শিরোনাম:
●   মহালছড়িতে আওয়ামীলীগ নেতা গ্রেফতার ●   প্রফেসর কামাল উদ্দিন চৌধুরী কলেজের রজতজয়ন্তী উৎসব ●   শাহরাস্তিতে আন্তর্জাতিক ক্বেরাত সম্মেলন অনুষ্ঠিত ●   পানছড়ি ৩ বিজিবি’র পক্ষ থেকে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সাথে বড়দিনের শুভেচ্ছা বিনিময় ●   ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে তরুণের আত্মহত্যা ●   দ্রুত বাজার নিয়ন্ত্রণের ডাক দিয়েছে গণতন্ত্র মঞ্চ ●   ভোটকেন্দ্রে শূন্যভোটের মাধ্যমে পার্বত্যবাসী ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে প্রত্যাখ্যান করেছে ●   ফ্যাসিবাদের প্রেতাত্মারা নানা সুরতে আবির্ভুত হওয়ার পাঁয়তারা করছে ●   কাউখালীতে উইভ এনজিওর অবহিতকরণ সভা ●   খাগড়াছড়িতে ইত্তেফাকের ৭২ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত ●   বেগম রোকেয়া এ্যাওয়ার্ড পেলেন সাংবাদিক সাব্বির ●   বারইয়ারহাট ঔষধ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ফারুক,সম্পাদক ইউসুফ ●   দীঘিনালায় গলায় ফাঁস দেয়া যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার ●   ট্রাক্টরের চাকায় পিষ্ট হয়ে মা নিহত, ছেলে আহত ●   পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের পরিচালনা বোর্ড ২য় সভা অনুষ্ঠিত ●   রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের মাসিক সভা অনুষ্ঠিত ●   মোরেলগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন ●   মানিকছড়িতে ট্রাকের নীচে মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু ●   আল ফালাহ ইসলামি একাডেমীর সবক প্রদান অনুষ্ঠান ●   ১১ দফা অবহিতকরণে আত্রাইয়ে আলোচনা সভা ●   পার্বতীপুর রেলওয়ে ইর্য়াডের আম গাছে যুবকের আত্মহত্যা ●   রংধনু ক্লাবের কার্যকরী পরিষদ গঠিত ●   কাউখালী তাহেরিয়া রশিদা সুন্নিয়া দাখিল মাদরাসার সভা ●   পাকুন্দিয়ায় ইয়ুথ পিস অ্যাম্বাসেডর গ্রুপ গঠিত ●   বৈরী আবহাওয়ায় ও শীতের তীব্রতায় বাড়ছে কৃষকের দুশ্চিন্তা ●   কোন হটকারিতায় গণঅভ্যুত্থানের অর্জন নষ্ট করা যাবেনা ●   তরফভাইখাঁ সমাজকল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ ●   মিরসরাইয়ে শীতার্তের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ ●   ঈশ্বরগঞ্জে জিয়াউর রহমান স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন ●   লংগদু এস এস সি পরীক্ষার্থীদের শিক্ষা সামগ্রী বিতরন
রাঙামাটি, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১



CHT Media24.com অবসান হোক বৈষম্যের
বৃহস্পতিবার ● ১৫ অক্টোবর ২০১৫
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » আরাকান আর্মির নেতা রেনিন সো’র সাথে সন্তু লারমা ও দেবাশীষ রায়ের ছবি !
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » আরাকান আর্মির নেতা রেনিন সো’র সাথে সন্তু লারমা ও দেবাশীষ রায়ের ছবি !
বৃহস্পতিবার ● ১৫ অক্টোবর ২০১৫
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

আরাকান আর্মির নেতা রেনিন সো’র সাথে সন্তু লারমা ও দেবাশীষ রায়ের ছবি !

---

অনলাইন ডেক্স :: রূপকথার রহস্যময় চরিত্রের মতো বরাবরই রহস্যময় রেনিন সো। ১৯৯৭ সালে তিনি বাংলাদেশে আসেন খনি সন্ধানের কথা বলে। তবে স্থানীয়দের কাছে তখন নিজের পরিচয় দেন চিকিৎসক হিসেবে। সেই তিনি-ই গ্রেফতার হয়েছেন মিয়ানমারের বিদ্রোহী সংগঠন আরাকান লিবারেশন পার্টির (এএলপি) নেতা পরিচয়ে। তাকে চিনতেন পার্বত্য অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ সংগঠন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির শীষ নেতা জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা ওরফে সন্তু লারমা। চিনতেন চাকমা সার্কেল চীফ ব্যারিষ্টার দেবাশীষ রায়ও। রেনিন সো’র ফেসবুক প্রোফাইল থেকে এ ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও ছবি মিলেছে। তবে গ্রেফতারের আশঙ্কা থাকায় সম্প্রতি অ্যাকাউন্টটি বন্ধ করে দেন তিনি। এছাড়াও গ্রেফতারের পর বাসা থেকে উদ্ধার হয়েছে তার নেদারল্যান্ডসের পাসপোর্টও।

---

ছবি: বাংলা ট্রিবিউন

রাঙামাটি জেলার প্রত্যন্ত এলাকা রাজস্থলীতে রেনিন সো’র রহস্যঘেরা তিন তলা বাড়ি।

বান্দরবানের রাজস্থলী উপজেলার ইসলামপুর আদর্শ নতুন পাড়া এলাকা থেকে মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) রাতে বিজিবির হাতে গ্রেফতার হন রেনিন সো। সে সময় ওই এলাকার একটি অর্ধনির্মিত আধা-পাকা বাড়িতে ল্যাপটপে কাজ করছিলেন তিনি। বহু বছর ধরে তাকে ও তার কর্মকাণ্ড নিয়ে যে রহস্য ঘুরপাক খাচ্ছিল, গ্রেফতারের ঘটনা তাতে নতুন মাত্রা যোগ করে। তাকে গ্রেফতারের পর পুলিশ, বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন সূত্রে এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
---

রাজস্থলী থানা পুলিশের দায়ের করা দু’টি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি এই রেনিন সো। রাঙামাটির রাজস্থলীতে স্থানীয় এক মারমা তরুণীকে বিয়ে করেন তিনি। এরপর গত এক দশক ধরে সেখানেই বসবাস করে আসছিলেন। এখানে তার নিজস্ব বাড়িও রয়েছে। রহস্যময় আচরণ করলেও মোটামুটি সামাজিক জীবন ছিল তার। পরিবারকে নিয়মিতভাবেই সময় দিতেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তার বাড়িতে প্রচুর লোকজনের যাতায়াত ছিল। এলাকাবাসীর কাছে তারা ছিলেন অপরিচিত। তবে কেউ জানতে চাইলে তাদের আত্মীয় বলে পরিচয় দিতেন তারা। তবে ঘূর্ণাক্ষরেও এলাকার কেউ টের পায়নি এখানে থেকেই তিনি পরিচালনা করতেন মিয়ানমারে নিষিদ্ধ আরকান লিবারেশন পার্টির মতো দল।

বাড়িতে কর্মরত রেনিন।

---

তবে তিনি যে পাহাড়ে যেতেন এবং গভীর অরণ্যে তার সংগঠনকে নিয়মিতভাবে প্রশিক্ষণ দিতেন এ বিষয়ে এলাকার কেউ কোনও তথ্য দিতে পারেনি। তবে পাহাড়ে এএলপি’র আধিপত্য ও চাঁদাবাজি চলতো এবং দলটিও সাধারণ পাহাড়ি নাগরিকদের কাছে পরিচিত ছিল।অনেকেই এ দলকে ‘ ফিফটি থাউজেন্ড পার্টি’ নামেও চিনতো। কারণ, জুমের ফসল ওঠার পরে জুমচাষিদের কাছে এরকম অঙ্কের চাঁদা চাওয়া হতো চরমপন্থী এ সংগঠনের পক্ষে।বড় পাহাড় যাদের দখলে তারা এমন অঙ্কের চাঁদা দিতে বাধ্যও হতো। তবে দলটির নেতা রেনিন সো’কে চিনতো না কেউ। এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তি হিসেবে রেনিন সো’র সঙ্গে পরিচয় ছিল জনসংহতি সমিতি’র কেন্দ্রীয় সভাপতি সন্তু লারমারও পরিচয় ছিল। চাকমা রাজা দেবাশীষ রায়ও তাকে চিনতেন। এর প্রমাণ হিসেবে তাদের সঙ্গে রেনিন সো’র হাসিমুখে তোলা ছবিও উদ্ধার হয়েছে তার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে। তবে এসব বিশিষ্ট ব্যক্তি তাকে কোন পরিচয়ে চিনতেন সে তথ্য এখনও পাওয়া যায়নি।

---

ছবি: রেনিনের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে সংগৃহীত

এবিষয়ে কথা বলার জন্য জনসংহতি সমিতির সন্তু লারমা ও চাকমা সার্কেল চীফ  দেবাশীষ রায়ের সঙ্গে বাংলা ট্রিবিউনের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে তারা কেউ ফোন ধরেননি।

তিনি নেদারল্যান্ডসের অভিবাসী নাগরিক এমন পাসপোর্টও মিলেছে তার ঘর থেকে। ফেসবুকের ফ্যামিলি অ্যালবাম ঘেঁটে দেখা গেছে, দেশটিতে সপরিবারে ঘুরে এসেছেন তিনি।

অভিযোগ রয়েছে, নিজের বাসা থেকেই তিনি আরাকান আর্মির কার্যক্রম পরিচালনা করছিলেন। গত আগস্টে বান্দরবানের থানচিতে বিজিবির একটি টহল দলের ওপর আরাকান আর্মির হামলার দুইদিন পর রাজস্থলীকে আরাকান আর্মির এই নেতার বাড়িটির খোঁজ মেলে।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত ২৬ আগস্ট কাপ্তাই ১১আরই ব্যাটালিয়নের সেনা সদস্যরা রাজস্থলীতে বিলাসবহুল ওই বাড়িটি ঘেরাও করে রাখেন। তারপর রাত ১০ টার দিকে যৌথবাহিনী অভিযান চালিয়ে ঘর থেকে আরকান বাহিনীর মং ইয়াং রাখাইন নামের সদস্যকে আটক করেন। আরাকান বাহিনীর জলপাই রংয়ের তিন সেট পোশাকসহ ৩০ গজ থান কাপড়, ৩টি ল্যাপটপ, ২টি ডিজিটাল ক্যামেরা, ১টি মডেমসহ মোবাইল সেট উদ্ধার করা হয়। এসময় বাড়ির বাইরে থেকে ২টি বিদেশি ঘোড়া ও ৩টি মোটরসাইকেলও উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারের পর থেকেই যৌথবাহিনীর অভিযান অব্যাহত ছিল। মূলত এরপর থেকেই আরাকান নেতা ডা. রেনিন সো সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর বিভিন্ন তথ্য বের হতে শুরু করে।

---

ছবি: রেনিনের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে সংগৃহীত

রাজস্থলীর প্রত্যন্ত তাইতং পাড়া ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের মেম্বার রেইন নে সু জানান, রেনিন সো স্থায়ীভাবেই রাজস্থলীতে বসবাস করছিলেন। তবে তার বাড়ি থেকে আরাকান আর্মির সদস্য গ্রেফতারের পরপরই প্রত্যন্ত এই এলাকার জনগণের মধ্যে সন্দেহ তৈরি হয়। রেনিন সো’র বাড়িতে প্রায়ই অচেনা লোকজন আসতো। তাদের আত্মীয় বলে পরিচয় দেওয়া হতো। তবে তার গতিবিধি নিয়ে সবসময় সন্দেহ ছিল স্থানীয়দের কাছে। চিকিৎসক হিসেবে পরিচয় দিলেও তিনি কখনও রোগী দেখতেন না বলেও জানান রেইন নে সু।

চাকমা সার্কেল চীফ (রাজা) দেবাশীষ রায়ের সঙ্গে রেনিন সো।

প্রসঙ্গত গত আগস্টে বান্দরবানের থানচিতে বিজিবির একটি টহল দলের ওপর আরাকান আর্মির হামলার দুইদিন পর রাজস্থলীতে রেনিন সো’র ওই বাড়িটির খোঁজ মেলে। মং ইয়াং রাখাইনকে গ্রেফতারের একদিন পরে ২৭ আগস্ট বাড়ির দুই কেয়ার টেকারকেও আটক করা হয়। এদের মধ্যে মং ইয়ং রাখাইন ও এক কেয়ারটেকার ইতোমধ্যেই ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে নিজের নেতা হিসেবে রেনিন সো’কে চিহ্নিত করেছে। রেনিন সো নিজেও পলাতক অবস্থায় তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে বেশ কয়েকটি ভিডিও বার্তা ছাড়েন এবং বিভিন্ন পোস্ট দিয়ে বাংলাদেশ সরকারকে হুমকিও দিয়েছিলেন।

স্থানীয়রা জানান, ১৯৯৭ সালে গ্যাসের খনির সন্ধানে রেনিন সো রাজস্থলী আসেন। পরে তিনি পশ্চিমে তাইতং পাড়ায় অংসুইপ্রু মারমা নামে এক ব্যক্তির মেয়েকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকে তিনি রাজস্থলীতে আসতেন এবং লোকজনকে বলতেন তিনি বিদেশে একজন চিকিৎসক। ২০০৪ সালের দিকে রাজস্থলী তাইতং পাড়া কার্বারি রেমাংসু রাখাইন এর শ্যালিকার জামাতা অনুমং মারমার কাছ থেকে ৫০ শতক জায়গা কিনে প্রায় তিন কোটি টাকা খরচ করে তিনতলা বিলাসবহুল বাড়িটি নির্মাণ করেন।

রেনিন সো’র বাড়ি থেকে উদ্ধার করা আরাকান লিবারেশন পার্টির সদস্যদের ব্যবহৃত পোশাক

কিন্তু তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, জায়গটি এখনো অনুমং মারমার নামেই রয়েছে। বাড়িটিতে ঢুকতে এবং গেস্টরুমে রয়েছে দুইটি দামি সিসি ক্যামেরা। গত কয়েক মাস আগে রাজস্থলী উপজেলার প্রায় ২০০ ভান্তে নিয়ে ধর্মীয় অনুষ্ঠান প্রবজ্জ্যা পালন করেন। সেখানে বিভিন্ন শ্রেণির প্রায় দুই-তিন হাজার মানুষকে আপ্যায়ন করেন। অথচ উপজেলার অধিকাংশ জনপ্রতিনিধি অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন না।

অন্যদিকে গত ২৮জুলাই সিলেটের ছাতক থেকে আরাকান বাহিনীর প্রয়োজনে রেনিন সো রাখাইন ১২টি ঘোড়া ক্রয় করে রাজস্থলী নিয়ে আসেন। আসার পথে বাঙ্গালহালিয়া আর্মি ক্যাম্পের কমান্ডারের চেক পোস্টে ঘোড়াগুলো পরিবহনের কাগজপত্র চাইলে ঘোড়ার মালিক হিসেবে ডা. রেনিন সো রাখাইন এর নামে রশিদ দেখানো হয়। রশিদগুলোতে লেখা ছিল সিলেট থেকে ঘোড়াগুলো বান্দরবান জেলায় পরিবহন হবে। অথচ বাঙ্গালহালিয়া থেকে ঘোড়াগুলো বান্দরবান না নিয়ে রাজস্থলীতে তার বিলাসবহুল বাড়িতে নিয়ে যান। বেশ কিছুদিন রেখে পরে গত এক মাস আগে টানা বর্ষণের সময় একটি মিনি ট্রাকে করে ১০টি ঘোড়া বান্দরবান নিয়ে যান। তারপর থেকেই গোয়েন্দা বিভাগ বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেন।

এরই প্রেক্ষিতে গত ২৬ আগস্ট বান্দরবান জেলায় থানচি উপজেলার রেমাগ্রী ইউনিয়নের বড়মোদক এলাকায় সকাল ৯টার সময় বিজিবি’র সঙ্গে মিয়ানমার আরাকান রাজ্যের আরাকান আর্মির (এএ) বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। ঘটনার সূত্র ধরে বিজিবি তিন্দু ও আন্দারমানিক এলাকা থেকে ১৩টি ঘোড়া আটক করে। আটক ঘোড়াগুলো তিন্দু ক্যাম্পে নিয়ে আসা হলে আরাকান বাহিনী ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। তারই প্রেক্ষিতে কাপ্তাই ১১আরই ব্যাটালিয়ানের নেতৃত্বে সেদিনই রাজস্থলীতে রেনিন সোর বাড়িটি ঘিরে রাখা হয়।

প্রসঙ্গত, গত দেড়মাস ধরে হন্যে হয়ে খোঁজা আরাকান আর্মির এই নেতাকে মঙ্গলবার মধ্যরাতে (১৪অক্টোবর) রাজস্থলী উপজেলার ইসলামপুর আদর্শ নতুন পাড়া এলাকা থেকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। পরে তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় রাঙামাটির অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাবরিনা আলীর আদালতে হাজির করা হলে আদালত তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রাজস্থলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওহিদুল্লাহ সরকার জানান, সো রাজস্থলী থানায় দায়ের করা দুটি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। আটকের পর বুধবার তার বিরুদ্ধে বিদেশি মুদ্রা রাখার অভিযোগে রাজস্থলী থানায় আরও একটি মামলা দায়ের করা হয়। ওহিদুল্লাহ জানান, আটকের সময় আরাকান আর্মির নেতা রেনিন সো’র কাছ থেকে ৪১ হাজার ১২০ ভারতীয় রুপি, ১টি নেদারল্যান্ডের পাসপোর্ট, ৬টি ক্রেডিট কার্ড, ১টি ল্যাপটপ, ২টি মোবাইল সেট ও বাংলাদেশি ৫৫ টাকা জব্দ করা হয়।

গভীর অরণ্যের ভেতরে নিয়মিত প্রশিক্ষণ নিতো আরাকান লিবারেশন পার্টির সদস্যরা।

রাজস্থলী থানা সুত্রে জানা যায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রেনিন সো রাজস্থলীর গাইন্দ্যা ইউনিয়ন থেকে নাগরিক সনদ ও জন্ম সনদ নিয়েছেন বলে জানান।

আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে, আগস্টে রাজস্থলীতে তার বাড়িটি চিহ্নিত হওয়ার পর সেখান থেকে অভিযান পরিচালনার মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে রেনিন সো সরে পড়েছিলেন। এরপর তিনি প্রথমে মায়ানমার ও পরে ভারতে গিয়ে আশ্রয় নেন। ভারতের দিল্লিতে তিনি থাকতেন এবং সেখান থেকে তিনি তার বাহিনীর কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেন বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেন।

এদিকে ফেসবুকে রেনিন সো’র ফেসবুক প্রোফাইল থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে তোলা ছবি ও তার কার্যক্রমের প্রায় সব ছবি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। রেনিন সো’র সঙ্গে রাঙামাটির অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তির ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল বলেও তথ্য পাওয়া গেছে।

সূত্র: বাংলা ট্রিবিউনের





প্রধান সংবাদ এর আরও খবর

ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে তরুণের আত্মহত্যা ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে তরুণের আত্মহত্যা
দ্রুত বাজার নিয়ন্ত্রণের ডাক দিয়েছে গণতন্ত্র মঞ্চ দ্রুত বাজার নিয়ন্ত্রণের ডাক দিয়েছে গণতন্ত্র মঞ্চ
ভোটকেন্দ্রে শূন্যভোটের মাধ্যমে পার্বত্যবাসী ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে প্রত্যাখ্যান করেছে ভোটকেন্দ্রে শূন্যভোটের মাধ্যমে পার্বত্যবাসী ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে প্রত্যাখ্যান করেছে
ফ্যাসিবাদের প্রেতাত্মারা নানা সুরতে আবির্ভুত হওয়ার পাঁয়তারা করছে ফ্যাসিবাদের প্রেতাত্মারা নানা সুরতে আবির্ভুত হওয়ার পাঁয়তারা করছে
পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের পরিচালনা বোর্ড ২য় সভা অনুষ্ঠিত পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের পরিচালনা বোর্ড ২য় সভা অনুষ্ঠিত
১১ দফা অবহিতকরণে আত্রাইয়ে আলোচনা সভা ১১ দফা অবহিতকরণে আত্রাইয়ে আলোচনা সভা
কাউখালী তাহেরিয়া রশিদা সুন্নিয়া দাখিল মাদরাসার সভা কাউখালী তাহেরিয়া রশিদা সুন্নিয়া দাখিল মাদরাসার সভা
পাকুন্দিয়ায় ইয়ুথ পিস অ্যাম্বাসেডর গ্রুপ গঠিত পাকুন্দিয়ায় ইয়ুথ পিস অ্যাম্বাসেডর গ্রুপ গঠিত
কোন হটকারিতায় গণঅভ্যুত্থানের অর্জন নষ্ট করা যাবেনা কোন হটকারিতায় গণঅভ্যুত্থানের অর্জন নষ্ট করা যাবেনা
লংগদু এস এস সি পরীক্ষার্থীদের শিক্ষা সামগ্রী বিতরন লংগদু এস এস সি পরীক্ষার্থীদের শিক্ষা সামগ্রী বিতরন

আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)