মঙ্গলবার ● ২৬ জুলাই ২০১৬
প্রথম পাতা » করোনা আপডেট » বিশ্বনাথে ময়লার স্তুপ: দূর্গন্ধে অতিষ্ঠ পথচারী-শিক্ষার্থীরা
বিশ্বনাথে ময়লার স্তুপ: দূর্গন্ধে অতিষ্ঠ পথচারী-শিক্ষার্থীরা
বিশ্বনাথ ( সিলেট ) প্রতিনিধি :: সিলেটের বিশ্বনাথে উপজেলা সদরের প্রানকেন্দ্র অবস্থিত ‘হাজী মফিজ আলী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজ’র সামনে জমাট বাঁধা ময়লা-আবর্জনার স্তুপ অতিষ্ঠ করে তুলেছে শিক্ষার্থী এলাকাবাসীকে৷ বালিকা বিদ্যালয়ের কয়েকশ গজ দূরে রয়েছে একটি মাদরাসাও৷ ময়লা-আবর্জনার স্তুপের দূর্গন্ধে বাঁধাগ্রস্থ হচ্ছে প্রতিষ্ঠানগুলোর পাঠ কার্যক্রম৷ চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে পথচারী ও উপজেলার অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের৷
উপজেলা পরিষদ সড়ক ও বিশ্বনাথ-রামপাশা সড়কের এবং উপজেলা পরিষদের ডাকবাংলার মধ্যেবর্তি স্থানে নতুনবাজার এলাকার ব্যবসায়ী ও বাসা-বাড়ির ময়লা-আবর্জনা ফেলার কারণে জনগুরুত্বপূর্ণ এস্থানে ময়লা-আবর্জনার এমন স্তুপ হয়েছে৷ প্রশাসনের নাকের ডগায় দিন দিন সরকারি খোলাস্থানে এভাবে ময়লা-আবর্জনা ফেলা হলেও তা রোধে গ্রহণ করা হয়নি কোনো পদক্ষেপ৷ ফলে বর্তমানে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে পথচারী-শিক্ষার্থী’সহ উপজেলাবাসীকে ৷ উপজেলা অডোটেরিয়ামের জন্য প্রস্তাবিত এস্থানে ফেলা ময়লা-আবর্জনার স্তুপের দূর্গন্ধে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে পরিবেশ৷ অনেক সময় পথচারীদের অনেকেই এসব স্থানে প্রশ্রাবও করে থাকেন৷ অথচ এর আশে পাশে রয়েছে একাধিক ব্যাংক-বীমা, এনজিও, সহস্রাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বাস-সিএনজি-লাইটেস স্ট্যান্ডও৷
ময়লা-আবর্জনা ও মাটি ফেলে এবং ৪-৫ ফুট দৈর্ঘ্যের একটি ড্রেইন নির্মাণ করে ইতিমধ্যে ভরাট করা হয়েছে প্রায় ১২০ ফুট দৈর্ঘ্যের ‘রাজার খাল’৷ ময়লার সুত্মপের পাশ দিয়ে বাধ্যহয়েই প্রতিদিন শিক্ষার্থীসহ উপজেলার কয়েক হাজার মানুষকে চলাফেরা করতে হয়৷ জনগুরুত্বে কথা বিবেচনা করে দ্রুত এস্থান থেকে ময়লা-আবর্জনার স্তুপ সরানো দাবি করেছেন উপজেলাবাসী৷
ময়লা-আবর্জনা ফেলার জন্য একটি নির্দিস্ট স্থান নির্ধারণ না করার কারণে এবং উপজেলার কোথাও ডাসবিন না থাকার কারণে যত্রতত্র ফেলা হচ্ছে ময়লা-আবর্জনা৷ ময়লা-আবর্জনার স্তুপ থেকে ছড়াচ্ছে রোগ-জীবানু৷
পথচারী আবদুর রকিব বলেন, নানান প্রয়োজনে প্রতিদিন সড়কটির পাশ দিয়ে অনেক বারই যাতায়াত করতে হয়৷ দূর্গন্ধের কারণে নাকে-মুখে রুমাল দিয়ে যাতায়াত করি৷ চলাচলের জন্য বিকল্প কোন সড়ক না থাকার কারণে বাধ্য হয়েই এলাকাবাসীকে আবজর্নার স্তুপের পাশ দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে৷
শিক্ষার্থী রিমা বেগম, আনোয়ারা বেগম ও শিক্ষার্থী আবদুল করিম, সারোয়ার হোসেন বলেন, দিন দিন ময়লা-আবর্জনার সত্মুপের দূর্গন্ধ বৃদ্ধি পাচ্ছে৷ এতে পরিবেশ নষ্ঠ হওয়ার পাশাপাশি শিৰার্জনেও ব্যঘাত ঘটছে৷ দ্রুত এস্থান থেকে এসব বর্জ্য অপসারণ করে এস্থানে ময়লা-আবর্জনা ফেলা বন্ধ করতে হবে৷
বিশ্বনাথ নতুনবাজার বণিক সমিতির সভাপতি শামীম আহমদ বলেন, বাজারের কোথাও ময়লা-আবর্জনা ফেলার নির্দিস্ট কোন স্থান না থাকার কারণে ব্যবসায়ী বাধ্য হয়েই এখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলছেন৷ একটি স্থান নিধারণ করা হলে ব্যবসায়ীরা সেখানে আর ময়লা আবর্জনা ফেলবেন না৷
হাজী মফিজ আলী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজ’র অধ্যক্ষ নেহারুন নেছা বলেন, ময়লা-আবর্জনা স্তুপের দূর্গন্ধে পরিবেশ দূষণের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্থ করছে পাঠদান কার্যক্রম৷ দ্রুত এস্থান থেকে বর্জ্য অপসারণ না করা হলে মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবে শিক্ষার্থীদের মানসিকতার৷ পরিবেশ দুষণ থেকে মুক্তি পেতে হলে বাজারের একাধিক স্থানে ডাসবিন নির্মান করতে হবে৷
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ মাশহুদুল কবীর বলেন, এব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে৷
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সুহেল আহমদ চৌধুরী বলেন, সমন্ব্বয় কমিটির আগামী সভায় বিষয়টি উপস্থাপন করে এব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে৷