শুক্রবার ● ২৯ জুলাই ২০১৬
প্রথম পাতা » অপরাধ » শৈলকুপার মেয়রের বিরুদ্ধে গোপন টেন্ডারের অভিযোগ
শৈলকুপার মেয়রের বিরুদ্ধে গোপন টেন্ডারের অভিযোগ
ঝিনাইদহ জেলা প্রতিনিধি :: (১৪ শ্রাবণ ১৪২৩বাংলা: বাংলাদেশ সময় বিকাল ৫.৪৩মিঃ) ঝিনাইদহের শৈলকুপা পৌরসভার মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আশরাফুল আজমের বিরুদ্ধে গোপন টেন্ডার ও সরকারি অর্থ তছরুপের অভিযোগ উঠেছে৷ তার এই অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ ও ভুক্তভোগী ১০টি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসকের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন৷অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, শৈলকুপা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আশরাফুল আজম দ্বিতীয়বারের মত মেয়র নির্বাচিত হয়ে দুর্নীতিতে আরো বেপরো হয়ে উঠেছেন৷ তিনি সরকারি নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে গোপন টেন্ডার করে কাজ ভাগাভাগী করে নিচ্ছেন৷
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ২০১৫-১৬ অর্থবছরের গুরুত্বপূর্ন অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্পে ৬টি রাসত্মা নির্মানের জন্য ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ আসে৷ কিনু্তু মেয়র আশরাফুল আজম, পৌরসভার সচিব নুর মাহমুদ, নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম, উপ-সহকারী প্রকৌশলী ওবায়দুল রহমান, দুই কাযর্্য সহকারী মন্টু, হাফিজ ও মেয়রের আস্থা ভাজন ঠিকাদার রাসু কাজীর সমন্বয়ে গড়ে ওঠা সিন্ডিকেট ভাগ করে নিয়েছেন৷
টেন্ডার গোপন করার কারণে সিডিউল বিক্রি বাবদ সরকারের প্রায় ২০ লক্ষ টাকা গাচ্ছা দিতে হয়েছে৷ প্রকাশ্য টেন্ডার করলে ঠিকাদারগন কমপক্ষে পনের শতাংশ নিম্নদরে দাখিল করতো৷ ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে বরাদ্দকৃত দেড় কোটি টাকার টেন্ডার গোপন করার পক্রিয়া করা হচ্ছে বলেও লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে৷ মেয়র টেন্ডার গোপন করেই ক্ষ্যানত্ম থাকেনি৷ তিনি বিভিন্ন ভূয়া বিল ভাউচার তৈরী করে লাখ লাখ টাকা আত্মসাত্ করে চলছেন৷
এ ব্যাপারে শৈলকুপা পৌরসভার মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আশরাফুল আজমের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির কথা অস্বীকার করে জানান, বিধি মোতাবেক টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে৷ অভিযোগ কারী ঠিকাদারগনকে অনৈতিক সুবিধা না দেওয়ায় আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে এ সব মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছে বলে আমি মনে করি৷