শুক্রবার ● ২৯ জুলাই ২০১৬
প্রথম পাতা » প্রকৃতি ও পরিবেশ » বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে বন্যা পরিস্থিতি আরো অবনতি : ৪২ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে লেখাপড়া বন্ধ
বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে বন্যা পরিস্থিতি আরো অবনতি : ৪২ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে লেখাপড়া বন্ধ
বগুড়া জেলা প্রতিনিধি :: উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলের পানিতে বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে যমুনা নদীতে পানি আরও বৃদ্ধি পেয়েছে৷ গত বৃহস্পতিবার সারিয়াকান্দিতে পানি বিপদ সীমার ৩০ সে.মিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়৷ পানি বৃদ্ধির ফলে যমুনা নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের পূর্ব এলাকায় ৬ ইউনিয়নে প্রায় অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী ও ৪২ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় চত্ত্বরে পানি উঠে পড়ায় শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে আসা বন্ধ করে দিয়েছে৷ পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার চালুয়াবাড়ী, হাটশেরপুর, কাজলা, কর্ণিবাড়ী, চন্দনবাইশা, বোহাইল, কামালপুর, সদর ও কুতুবপুর ইউনিয়ানের আংশিক এলাকায় যমুনা নদীর পানি ঢুকে পড়ায় নিচু এলাকার বসতবাড়ি ঘরে ২ থেকে ৩ ফুট পানি ঢুকে পড়েছে৷ এসব পানিবন্দী মানুষ ঘরের মধ্য উচু মাচা তৈরি করেছেন৷ আবার কেউ কেউ বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে উচু স্থানে কোন মতে মাথা গুজার ঠাই করে নিয়েছেন৷ ইতিমধ্যে স্থানীয় সংসদ সদস্য আব্দুল মান্নান আনুষ্ঠানিক ভাবে বোহাইল, কামালপুর, চন্দনবাইশা ও কুতুবপুর ইউনিয়নের জিআর এর চাল বিতরণ উদ্বোধন করেছেন৷ এসময় উপজেলা প্রকল্প বাসত্মবায়ন কর্মকর্তা মোঃ সরওয়ার আলম ও সংশিস্নষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানগণ উপস্থিত ছিলেন৷ পানিবন্দী জনগন অভিযোগ করে বলেন, তাদের বিশুদ্ধ পানি, খাদ্যের অভাব ছাড়াও গরম্ন-ছাগল নিয়ে তারা চরম দূর্ভোগে রয়েছেন৷ যে টুকু ত্রাণের চাল বিতরণ করা হয়েছে তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম৷ পানি উন্নয়ন বোর্ড উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী (এসডিই) মোঃ আবু সাঈদ জানান, যমুনায় পানি ২ থেকে ৩ দিন আরও বাড়তে পারে৷ উপজেলা প্রকল্প বাসত্মবায়ন ও ত্রাণ কর্মকর্তা সারওয়ার আলম বলেন, এরই মধ্য প্রায় ৫০ মে.টন জিআর চাল বিতরণ করা হয়েছে৷ এছাড়াও বনার্তদের জন্য প্রয়োজনীয় ত্রাণ সামগ্রী মজুদ রয়েছে৷ উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ রফিকুল আলম জানান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া একে বারে বন্ধ হয়নি৷ তবে স্থানীয় ম্যানিজিং কমিটির ব্যবস্থাপনায় পাঠদান কার্যক্রম সচল রয়েছে৷