বুধবার ● ৩ আগস্ট ২০১৬
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » পার্বত্য চট্টগ্রামে বিজিবি’র যাতায়াতের জন্য হেলিকপ্টার দেয়া হয়েছে
পার্বত্য চট্টগ্রামে বিজিবি’র যাতায়াতের জন্য হেলিকপ্টার দেয়া হয়েছে
ডেস্ক :: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, পার্বত্য চট্রগ্রামের দুর্গম এলাকার ক্যাম্পগুলোতে সহজে যাতায়াতের জন্য বিজিবি’কে হেলিকপ্টার দেয়া হয়েছে। এখন আগের চাইতে আরো দ্রত সীমান্ত নিরাপত্তায় বিজিবি’র সদস্যরা কাজ করতে পারবে।
মন্ত্রী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে নিজস্ব এয়ার উইং ও হেলিকপ্টার যুক্তকরণের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সরকার এ সিদ্ধান্ত নেয়। সম্প্রতি বিজিবি’র কমান্ডার কনফারেন্সে ৪টি হেলিকপ্টার যুক্তকরণ ও এয়ার উইং তৈরির প্রস্তাব দেয়া হয়। কনফারেন্সে সমাপনী দিনে উপস্থিত হয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিজিবি’র এ যৌক্তিক দাবি পূরণে সরকারের শতভাগ ইচ্ছার কথা জানিয়েছিলেন।
রোববার সকালে চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার বর্ডার গার্ড ট্রেনিং সেন্টার অ্যান্ড স্কুলে বিজিবি’র ৮৮তম রিক্রুট ব্যাচের সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
বায়তুল ইজ্জত বিজিবি’র ট্রেনিং সেন্টারে এসময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিজিবি’র নতুন এভিয়েশন ভবনের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। বাইতুল ইজ্জত বিজিবি’র ট্রেনিং সেন্টার থেকে বিজিবি’র হেলিকপ্টার পরিচালনা করা হবে।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) প্রথম নারী সৈনিক হিসেবে ৯৭ জন নারী সদস্য নতুন দিগন্তের উন্মোচন করতে যাচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, তোমরাই বিজিবিতে প্রথম মহিলা সৈনিক। মনে রেখ বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে মহিয়সী নারীদের অংশগ্রহণ, অবদান ও আত্মত্যাগ অবিস্মরণীয়। আজ নারীরা বিভিন্ন অঙ্গনে যথাযথ যোগ্যতা ও কর্মদক্ষতার স্বাক্ষর রাখছে। আশা করছি অন্যান্য বাহিনীর নারী সৈনিকদের মতো তোমরাও কর্মক্ষেত্রে তোমাদের যোগ্যতা-দক্ষতা প্রমাণ করতে পারবে।
বিজিবি’র ৮৮তম রিক্রুট ব্যাচের সমাপনী কুচকাওয়াজে ৯৭ জন নারীসহ এক হাজার ১৪৪ জন নবীন সৈনিক অংশ নেন।
তিনি বলেন, বিজিবি’র বেতনের শতকরা ৩০ ভাগ সীমান্ত ভাতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। বার্ষিক ছুটি এক মাসের পরিবর্তে ২ মাস করা হয়েছে। প্রয়োজনীয়তা বুঝে এয়ার উইংয়ের অনুমোদন দিয়েছে সরকার।
সবার উদ্দেশে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আজ থেকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের একজন সদস্য হিসেবে তোমাদের ওপর অর্পিত হলো দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার মহান দায়িত্ব। এ বাহিনীর চারটি মূলনীতি— মনোবল, ভ্রাতৃত্ববোধ, শৃঙ্খলা ও দক্ষতা। এগুলোর প্রতি বিশ্বস্ত থেকে এবং তা হৃদয়ে ধারণ করে আগামীতে অর্পিত দায়িত্ব আরও নিষ্ঠার সাথে পালন করতে হবে।
প্যারেড কমান্ডার মেজর আবু রাসেল সিদ্দিকীর নেতৃত্বে প্যারেডের শুরুতে মাঠের পূর্ব দিক থেকে প্রবেশ করেন সুবেদার মোতালেব। মাঠের দক্ষিণ দিক থেকে বাদক দল নিয়ে প্রবেশ করেন গ্রাউন্ড মাস্টার লুৎফর রহমান। পশ্চিম দিক থেকে আসেন নায়েব সুবেদার আব্দুর রাশেদ ও সহকারী পরিচালক মো. আলী আজগর সরদার। নায়েব সুবেদার জিল্লুর রহমানের নেতৃত্বে পতাকাবাহী দল মাঠে প্রবেশ করে। প্যারেডে অংশ নেয় সর্বমোট ১৩টি কোম্পানি। এ কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান শেষে ৮৮তম ব্যাচের সৈনিকদের শপথবাক্য পাঠ করান ক্যাপ্টেন আহম্মদ মির্জা।
এতে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডিজি বিজিবি’র মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ, ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং মেজর জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর কবির তালুকদার, ১০ পদাতিক ডিভিশনের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং মেজর জেনারেল আতাউল হাকিম সারওয়ার হাসান, সাতকানিয়ার সংসদ সদস্য অধ্যাপক আবু রেজা মোহাম্মদ নেজামুদ্দীন নদভী, চন্দনাইশ এলাকার সংসদ সদস্য মো. নজরল ইসলাম চৌধুরী ও বর্ডার গার্ড ট্রেনিং সেন্টার অ্যান্ড স্কুলের কমান্ড্যান্ট ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আনোয়ার শফিক প্রমুখ।